রাজস্বনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজ আলাদা হচ্ছে

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
Thumbnail image

রাজস্বনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দুই কার্যক্রমকে আলাদা করার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব প্রশাসন সংক্রান্ত দুটি কাজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক যুগপৎভাবে সম্পাদিত হচ্ছে বিধায় সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় রাজস্ব আহরণ এবং জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা প্রদানে আশানুরূপ সাফল্য মিলছে না বলে অংশীজনেরা মনে করছেন।

করনীতি প্রণয়ন ও নীতি বাস্তবায়ন কাজ একই প্রতিষ্ঠানের ওপর ন্যস্ত থাকায় দেশের সর্বস্তরের জনগণ বিভিন্ন সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আপোষকামিতা, দুর্নীতি ও স্বার্থের সংঘাতের বিষয়ে নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিবই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাকে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আহরণ কাজের পাশাপাশি রাজস্ব নীতি প্রণয়নেও নিয়োজিত থাকতে হয়। ফলে প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায় করা এবং সেলক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দুইজন প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং তিনজন প্রাক্তন সদস্যকে নিয়ে গত ৯ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি গঠন করে সরকার।

ওই কমিটি রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব প্রশাসন পৃথকীকরণ বিষয়ে বিভিন্ন দলিল, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত পর্যালোচনা করে রাজস্ব নীতি প্রণয়ন এবং প্রণীত নীতি বাস্তবায়ন করে রাজস্ব আহরণের দুই কার্যক্রম পৃথকীকরণের সুপারিশ করে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪ (৪) এ উল্লিখিত বিচারকার্য পালনের স্বাধীনতাকে সুসংহতকরণ, অনুচ্ছেদ ৯৫(১)-এ প্রধান বিচারপতির পরামর্শ গ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ প্রয়োগ এবং অনুচ্ছেদ ৯৪ (২) (গ)-এর অধীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অধ্যাদেশ প্রণয়নপূর্বক আইন ও বিচার বিভাগ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করে।

উপদেষ্টা পরিষদ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে ওই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করে।

এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত অধ্যাদেশের নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

এর আলোকে দেশের ১৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জানিয়েছেন। ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নামের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নাম ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতা হত্যা: সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত