অনলাইন ডেস্ক
জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে নতুন করে ২৯৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের এই বর্ধিত সক্ষমতার ৮৩ শতাংশই নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে এসেছে। আগের বছর এই হার ছিল ৮১ শতাংশ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে এশিয়ার দেশগুলো এগিয়ে আছে। যেমন—২০২২ সালে চীন নবায়নযোগ্য খাত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে ১৪১ গিগাওয়াট। একই বছরে ভারত উৎপাদন করেছে ১৫ দশমিক ৭ গিগাওয়াট। এর ফলে আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে ব্যাপক। যেমন—নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করায় ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে তেল কম আমদানিতে আগের বছরের চেয়ে ভারতের ৪২০ কোটি ডলার ব্যয় কম হয়েছে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ক্লিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের পথে হাঁটছে। তবে বাংলাদেশ এখনো নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পুরো নির্ভরশীল হওয়ার জন্য তৈরি নয়। এর অন্যতম কারণ প্রয়োজনীয় ভূমির অভাব। জ্বালানির উচ্চ চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য খাত বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সহজ ও সস্তা সমাধান। তবে জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত না করে জমির ব্যবস্থা করা কঠিন। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির আলোচনায় মাথায় রাখতে হবে, জমি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ উপযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে কিনা। তবে জমির ওপর চাপ কমাতে বিকল্প হিসেবে পতিত জমি, ছাদের ওপর ও সাগরতীর ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয় বোর্ডের (বিপিডিবি) সঞ্চালন কোম্পানি পিজিসিবির তথ্যানুসারে, সন্ধ্যায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ। গত ১৯ এপ্রিল রাত ৯টায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। কিন্তু দিনের বেলায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট। বছরের অন্য দিনগুলোতেও দিনে-রাতে এমন তারতম্য থাকে।
সন্ধ্যার সর্বোচ্চ চাহিদার সময় নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে উদ্বেগ আছে। তবে বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য আরও গভীরে যেতে হবে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের শিল্প খাতে বিদ্যুতের চাহিদা খুব একটা বাড়েনি। এর একটি কারণ—কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বজুড়ে বিপর্যস্ত সরবরাহ চেইন এখনো সেই অর্থে পুনঃস্থাপিত হতে পারেনি। আরেকটি কারণ-সম্প্রতি নানামাত্রিক ভূরাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এসব সংকট ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে দেশজুড়ে ৯৭টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করায় সামনের দিনগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়তে পারে।
বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে যেভাবে নবায়নযোগ্য খাত ভূমিকা রাখতে পারে
গত বছর থেকে বাংলাদেশ দিনে এবং সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে। পর্যায়ক্রমিক লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে তখন জ্বালানি ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে লোডশেডিং না করে সর্বোচ্চ এই চাহিদা মেটানোর উপায় দেখিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ)। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যুক্ত করে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা রেখা বিশ্লেষণ করে আইইইএফএ বলছে, বিদ্যমান বিদ্যুৎ কাঠামোতে অনায়াসে আরও ১৭০০-৩৪০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ যোগ হতে পারে। এতে করে দিনের বেলায় সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা পূর্ণ করা সম্ভব। পাশাপাশি বিদ্যুতের দামও কমানো সম্ভব। একইভাবে সন্ধ্যায় ২৫০০ থেকে ৪০০০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব।
তবে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ-উভয়ের জন্যই জমি পাওয়া বড় সমস্যা। তবে আলাদা গ্রিড বসিয়ে এবং ছাদের ওপর প্যানেল বসিয়ে কয়েক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া যেহেতু ৯৭টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমির ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেহেতু সঠিক ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে বৃহদাকারে সৌর প্যানেল বসানো সম্ভব। এর বাইরেও সেচের চাহিদা মেটাতে ছোট আকারের প্যানেল ব্যবহার করা হয়।
এর বাইরে বাংলাদেশের ন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জি ল্যাবরেটরি (এনআরইএল) আগেই জানিয়েছে যে, দেশের উপকূলীয় অঞ্চল বায়ু বিদ্যুৎ বা উইন্ড মিল স্থাপনের জন্য উপযোগী। এনআরইএলের প্রাথমিক মূল্যায়ন থেকে আরও জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা রয়েছে, যেখানে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৫ দশমিক ৭৫ থেকে ৭ দশমিক ৭৫ মিটার। এটা উইন্ডমিল চলার জন্য উপযোগী।
এ ছাড়া দিনের বেলায় সূর্যের আলোর পর্যাপ্ত থাকে বলে তখন সোলার প্যানেল এবং বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় তখন উইন্ডমিল বা বায়ু বিদ্যুৎ দিয়ে চাহিদা মেটাতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তাই ভবিষ্যতে উৎপাদন খাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। কিন্তু এর জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ জরুরি।
তবে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সেদিকে জোরালো আশা দেখা যাচ্ছে না। অনিয়ম-দুর্নীতিসহ সংকটে পড়া আর্থিক খাত, ডলারের বিপরীতে টাকা দাম পড়ে যাওয়া ও সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে সংকট কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়। তখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দেশের জন্য দারুণ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব।
জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে নতুন করে ২৯৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের এই বর্ধিত সক্ষমতার ৮৩ শতাংশই নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে এসেছে। আগের বছর এই হার ছিল ৮১ শতাংশ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে এশিয়ার দেশগুলো এগিয়ে আছে। যেমন—২০২২ সালে চীন নবায়নযোগ্য খাত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে ১৪১ গিগাওয়াট। একই বছরে ভারত উৎপাদন করেছে ১৫ দশমিক ৭ গিগাওয়াট। এর ফলে আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে ব্যাপক। যেমন—নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করায় ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে তেল কম আমদানিতে আগের বছরের চেয়ে ভারতের ৪২০ কোটি ডলার ব্যয় কম হয়েছে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ক্লিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের পথে হাঁটছে। তবে বাংলাদেশ এখনো নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পুরো নির্ভরশীল হওয়ার জন্য তৈরি নয়। এর অন্যতম কারণ প্রয়োজনীয় ভূমির অভাব। জ্বালানির উচ্চ চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য খাত বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সহজ ও সস্তা সমাধান। তবে জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত না করে জমির ব্যবস্থা করা কঠিন। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির আলোচনায় মাথায় রাখতে হবে, জমি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ উপযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে কিনা। তবে জমির ওপর চাপ কমাতে বিকল্প হিসেবে পতিত জমি, ছাদের ওপর ও সাগরতীর ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয় বোর্ডের (বিপিডিবি) সঞ্চালন কোম্পানি পিজিসিবির তথ্যানুসারে, সন্ধ্যায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ। গত ১৯ এপ্রিল রাত ৯টায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। কিন্তু দিনের বেলায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট। বছরের অন্য দিনগুলোতেও দিনে-রাতে এমন তারতম্য থাকে।
সন্ধ্যার সর্বোচ্চ চাহিদার সময় নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কতটা টেকসই হবে তা নিয়ে উদ্বেগ আছে। তবে বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য আরও গভীরে যেতে হবে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের শিল্প খাতে বিদ্যুতের চাহিদা খুব একটা বাড়েনি। এর একটি কারণ—কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বজুড়ে বিপর্যস্ত সরবরাহ চেইন এখনো সেই অর্থে পুনঃস্থাপিত হতে পারেনি। আরেকটি কারণ-সম্প্রতি নানামাত্রিক ভূরাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এসব সংকট ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে দেশজুড়ে ৯৭টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করায় সামনের দিনগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়তে পারে।
বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে যেভাবে নবায়নযোগ্য খাত ভূমিকা রাখতে পারে
গত বছর থেকে বাংলাদেশ দিনে এবং সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে। পর্যায়ক্রমিক লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে তখন জ্বালানি ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে লোডশেডিং না করে সর্বোচ্চ এই চাহিদা মেটানোর উপায় দেখিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ)। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যুক্ত করে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা রেখা বিশ্লেষণ করে আইইইএফএ বলছে, বিদ্যমান বিদ্যুৎ কাঠামোতে অনায়াসে আরও ১৭০০-৩৪০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ যোগ হতে পারে। এতে করে দিনের বেলায় সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা পূর্ণ করা সম্ভব। পাশাপাশি বিদ্যুতের দামও কমানো সম্ভব। একইভাবে সন্ধ্যায় ২৫০০ থেকে ৪০০০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব।
তবে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ-উভয়ের জন্যই জমি পাওয়া বড় সমস্যা। তবে আলাদা গ্রিড বসিয়ে এবং ছাদের ওপর প্যানেল বসিয়ে কয়েক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া যেহেতু ৯৭টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমির ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেহেতু সঠিক ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে বৃহদাকারে সৌর প্যানেল বসানো সম্ভব। এর বাইরেও সেচের চাহিদা মেটাতে ছোট আকারের প্যানেল ব্যবহার করা হয়।
এর বাইরে বাংলাদেশের ন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জি ল্যাবরেটরি (এনআরইএল) আগেই জানিয়েছে যে, দেশের উপকূলীয় অঞ্চল বায়ু বিদ্যুৎ বা উইন্ড মিল স্থাপনের জন্য উপযোগী। এনআরইএলের প্রাথমিক মূল্যায়ন থেকে আরও জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা রয়েছে, যেখানে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৫ দশমিক ৭৫ থেকে ৭ দশমিক ৭৫ মিটার। এটা উইন্ডমিল চলার জন্য উপযোগী।
এ ছাড়া দিনের বেলায় সূর্যের আলোর পর্যাপ্ত থাকে বলে তখন সোলার প্যানেল এবং বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় তখন উইন্ডমিল বা বায়ু বিদ্যুৎ দিয়ে চাহিদা মেটাতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তাই ভবিষ্যতে উৎপাদন খাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। কিন্তু এর জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ জরুরি।
তবে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সেদিকে জোরালো আশা দেখা যাচ্ছে না। অনিয়ম-দুর্নীতিসহ সংকটে পড়া আর্থিক খাত, ডলারের বিপরীতে টাকা দাম পড়ে যাওয়া ও সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে সংকট কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়। তখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দেশের জন্য দারুণ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্যদের জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ব্যাংক এবং বেসিস-এর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
৪০ মিনিট আগেদেশে গত বোরো মৌসুমের পরই বাড়তে থাকে চালের দাম। ক্রেতাদের আশা ছিল, আমন মৌসুম শুরু হলে দাম কমবে। কিন্তু আশা দুরাশাই রয়ে গেছে এখন পর্যন্ত। মোকামে আমন ধান আসতে শুরু করলেও চালের বাজারে খুব একটা প্রভাব নেই। শুধু তা-ই নয়, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েও পণ্যটির দাম কমিয়ে আনতে পারছে না।
২ ঘণ্টা আগেআসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
১১ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
১১ ঘণ্টা আগে