মাছ-মাংস নাগালে নেই, ডিম-সবজির দামও চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০৯: ৪২
আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ১০: ০২

‘মাছ-মাংস তো কিনতে পারি না। তার বদলে পোলাপানগুলারে ডিম খাওয়াইতাম। এখন সেইটাও মনে হয় আর পারা যাবে না।’ বলছিলেন রাজধানীর রামপুরা এলাকার গৃহকর্মী শাহানা আক্তার। আজকের পত্রিকাকে তিনি জানান, গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা হালিতে যেই ডিম কিনেছেন, এ সপ্তাহে তা ৫৫ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ডজন হিসাবে কিনলে দাম সামান্য কম পড়ে। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় বেশি দামে হালি দরে ডিম কিনতে হচ্ছে তাঁকে।

নিত্যপণ্যের বাজারে যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, তাতে শাহানার মতো নিম্ন আয়ের মানুষেরা দুবেলা-দুমুঠো খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাজারে ৬০ টাকা কেজির নিচে খুব কম সবজি পাওয়া যাচ্ছে। মাছের দামও আকাশছোঁয়া। তুলনামূলক সস্তা হিসেবে পরিচিত মাছ ও সবজির দামও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা তাপপ্রবাহকে দায়ী করছেন।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফার্মের বাদামি ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হালি রাখা হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা৷ ডিম বিক্রেতা আল আমীন বলেন, ‘টানা গরমের কারণে অনেক ডিম নষ্ট হইছে। তাই এখন দাম বেশি।’

রামপুরা, মেরাদিয়া, খিলগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ সবজির দাম ৭০-১০০ টাকা কেজি। টমেটো ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০, শসা ৫০-৮০, করলা ৬০-১০০, কাঁকরোল ৯০-১০০, পটোল ৬০-১০০, চিচিঙ্গা ৬০-৮০, ঝিঙা ৬০-৮০, বরবটি ৮০-৯০, মুলা ৬০-৬৫, ঢ্যাঁড়স ৬০-৬৫ টাকা। সস্তার সবজি হিসেবে পরিচিত কাঁচা পেঁপেও ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর কাঁচা মরিচ ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ ৭০-৮০ টাকা ও প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫-৭০ টাকায়।

খিলগাঁও বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, খরার কারণে সবজির উৎপাদন কম। তাই দাম বেশি।

মাছ-মাংসে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ডিম ও শাকসবজির দামে নাকাল নগরবাসী। এতে সংসারের ব্যয়ভার মেটাতে হিমশিম অবস্থায় পড়তে হচ্ছে কম আয়ের পরিবারগুলোকে। ছবিটি গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি সবজির দোকান থেকে তোলা। 	আজকের পত্রিকামসলাপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। শুক্রবার ৭০-৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। রসুন ২২০-২৪০ টাকা, আদা ২৪০-২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ব্রয়লার মুরগি উচ্চমূল্যেই স্থির আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আর সোনালিকা মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০-৪২০ টাকা কেজি দরে।

সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দামও। নদীর মাছ আগে থেকেই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এখন চাষের মাছও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গতকাল বাজারে রুই ৩৬০- ৭০০ টাকা, কাতল ৪৫০-৮০০, চিংড়ি ৮০০-১৪০০, কই ২৮০-৫০০, শিং ৪০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গরিবের মাছ হিসেবে পরিচিত পাঙাশ এবং তেলাপিয়াও আড়াই শ টাকার নিচে মিলছে না।

গরুর মাংস আগের মতোই ৭৫০-৮০০ টাকা, আর খাসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৫০ টাকায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত