অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য হ্রাসের প্রচেষ্টায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা কোভিড-১৯। মানবেতিহাসে ভয়াবহতম অভূতপূর্ব এই মহামারি শুরুর বছরেই নতুন করে সাত কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। করোনার আঘাতে প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিক সংকট ও বিশ্বমন্দায় পড়েছে, ২০২০ সালে গড় জিডিপি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারে কমেছে।
কিন্তু অর্থনীতির এসব পরিসংখ্যানের আড়ালে চাপা পড়ে গেছে অপরিমেয় মানবিক ভোগান্তি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বিশ্বজুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দেড় কোটির বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যার পেছনে মহামারিকে কারণ হিসেবে ধরা হয়। আর তাই মানব পুঁজির ওপর করোনার নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর তরুণ প্রজন্ম।
কোভিডের সময় ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণদের ডেটা বিশ্লেষণে তৈরি ‘করোনার প্রভাবে মানবপুঁজির ক্ষয় ও করণীয়’ বিষয়ে সদ্য প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে এই পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, পরিস্থিতি উত্তরণের পথ না বের করা হলে মানুষের পুঁজি সঞ্চয়, উপার্জন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে। সমাধান না হলে সময়ের সঙ্গে সমস্যা আরও বাড়বে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, জীবনচক্রের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মানবপুঁজিতে ব্যাপক আঘাত হেনেছে কোভিড-১৯। এর প্রভাবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে লাখ লাখ শিশু ও তরুণের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই প্রজন্মের সম্ভাব্য জীবনকালের উপার্জন থেকে মোট ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির ফলে লাখ লাখ শিশু টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিচর্যায়ও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। একাধিক দেশে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুরা প্রাথমিক ভাষা ও সাক্ষরতার ৩৪ শতাংশের বেশি এবং গণিতে শিক্ষার ২৯ শতাংশের বেশি ভুলে গেছে। স্কুল বন্ধ এবং অকার্যকর দূরবর্তী শিক্ষার কারণে শিক্ষার্থীরা শেখার হার কমে গেছে এবং তারা যা শিখেছিল, তা-ও ভুলে গেছে। গড়ে স্কুল বন্ধের প্রতি ৩০ দিনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩২ দিনের শিক্ষা হারিয়েছে।
মহামারির আগে কর্মরত থাকা ৪ কোটি মানুষ ২০২১ সালের শেষে চাকরি হারিয়েছে। যুব বেকারত্বের প্রবণতা বেড়েছে। ২০২১ সালে একাধিক দেশে ২৫ শতাংশ তরুণ শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণের বাইরে রয়ে যায়।
গবেষণায় পাওয়া তথ্য বলছে, কোভিডের ধাক্কার কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর আজকের শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ গড় বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত হারাতে পারে। বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের এই প্রজন্মের সম্ভাব্য জীবনকালের উপার্জন থেকে মোট ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। উপার্জনের ক্ষতির অর্থ হতে পারে নিম্ন উৎপাদনশীলতা, বৃহত্তর অসমতা ও আগামী কয়েক দশক ধরে সামাজিক অস্থিরতা।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, এই ক্ষতি পুনরুদ্ধার করতে জনগণের জন্য সব দেশকে বিনিয়োগ বাড়াতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে। দারিদ্র্য হ্রাস ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হলো মানবপুঁজি। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সংকট ও ধাক্কা মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার জন্য পুঁজি অপরিহার্য।
যেসব নীতিমালার সুপারিশ করল বিশ্বব্যাংক
প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপুঁজির ক্ষতি কমাতে হলে টিকা এবং পুষ্টি প্রচারাভিযান চালাতে হবে। প্যারেন্টিং প্রোগ্রামের আওতা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য নগদ সহায়তা বাড়াতে হবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে শিখতে পারে, তার জন্য প্রশিক্ষণের সময় বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার মৌলিক দিক ঠিক রেখে পাঠ্যক্রমকে সহজবোধ্য করতে হবে।
যুবকদের জন্য প্রশিক্ষণ, কাজের মধ্যস্থতা, উদ্যোক্তা প্রোগ্রাম এবং নতুন কর্মীভিত্তিক উদ্যোগের জন্য সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘ মেয়াদে দেশগুলোকে স্থিতিস্থাপক মানব উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ধাক্কাগুলোর জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত ও সাড়া দিতে পারে।
বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য হ্রাসের প্রচেষ্টায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা কোভিড-১৯। মানবেতিহাসে ভয়াবহতম অভূতপূর্ব এই মহামারি শুরুর বছরেই নতুন করে সাত কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। করোনার আঘাতে প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিক সংকট ও বিশ্বমন্দায় পড়েছে, ২০২০ সালে গড় জিডিপি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারে কমেছে।
কিন্তু অর্থনীতির এসব পরিসংখ্যানের আড়ালে চাপা পড়ে গেছে অপরিমেয় মানবিক ভোগান্তি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বিশ্বজুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দেড় কোটির বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যার পেছনে মহামারিকে কারণ হিসেবে ধরা হয়। আর তাই মানব পুঁজির ওপর করোনার নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর তরুণ প্রজন্ম।
কোভিডের সময় ২৫ বছরের কম বয়সী তরুণদের ডেটা বিশ্লেষণে তৈরি ‘করোনার প্রভাবে মানবপুঁজির ক্ষয় ও করণীয়’ বিষয়ে সদ্য প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে এই পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, পরিস্থিতি উত্তরণের পথ না বের করা হলে মানুষের পুঁজি সঞ্চয়, উপার্জন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে। সমাধান না হলে সময়ের সঙ্গে সমস্যা আরও বাড়বে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, জীবনচক্রের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মানবপুঁজিতে ব্যাপক আঘাত হেনেছে কোভিড-১৯। এর প্রভাবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে লাখ লাখ শিশু ও তরুণের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই প্রজন্মের সম্ভাব্য জীবনকালের উপার্জন থেকে মোট ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির ফলে লাখ লাখ শিশু টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিচর্যায়ও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। একাধিক দেশে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুরা প্রাথমিক ভাষা ও সাক্ষরতার ৩৪ শতাংশের বেশি এবং গণিতে শিক্ষার ২৯ শতাংশের বেশি ভুলে গেছে। স্কুল বন্ধ এবং অকার্যকর দূরবর্তী শিক্ষার কারণে শিক্ষার্থীরা শেখার হার কমে গেছে এবং তারা যা শিখেছিল, তা-ও ভুলে গেছে। গড়ে স্কুল বন্ধের প্রতি ৩০ দিনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩২ দিনের শিক্ষা হারিয়েছে।
মহামারির আগে কর্মরত থাকা ৪ কোটি মানুষ ২০২১ সালের শেষে চাকরি হারিয়েছে। যুব বেকারত্বের প্রবণতা বেড়েছে। ২০২১ সালে একাধিক দেশে ২৫ শতাংশ তরুণ শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণের বাইরে রয়ে যায়।
গবেষণায় পাওয়া তথ্য বলছে, কোভিডের ধাক্কার কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর আজকের শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ গড় বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত হারাতে পারে। বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের এই প্রজন্মের সম্ভাব্য জীবনকালের উপার্জন থেকে মোট ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। উপার্জনের ক্ষতির অর্থ হতে পারে নিম্ন উৎপাদনশীলতা, বৃহত্তর অসমতা ও আগামী কয়েক দশক ধরে সামাজিক অস্থিরতা।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, এই ক্ষতি পুনরুদ্ধার করতে জনগণের জন্য সব দেশকে বিনিয়োগ বাড়াতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে। দারিদ্র্য হ্রাস ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হলো মানবপুঁজি। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সংকট ও ধাক্কা মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার জন্য পুঁজি অপরিহার্য।
যেসব নীতিমালার সুপারিশ করল বিশ্বব্যাংক
প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপুঁজির ক্ষতি কমাতে হলে টিকা এবং পুষ্টি প্রচারাভিযান চালাতে হবে। প্যারেন্টিং প্রোগ্রামের আওতা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য নগদ সহায়তা বাড়াতে হবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে শিখতে পারে, তার জন্য প্রশিক্ষণের সময় বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার মৌলিক দিক ঠিক রেখে পাঠ্যক্রমকে সহজবোধ্য করতে হবে।
যুবকদের জন্য প্রশিক্ষণ, কাজের মধ্যস্থতা, উদ্যোক্তা প্রোগ্রাম এবং নতুন কর্মীভিত্তিক উদ্যোগের জন্য সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘ মেয়াদে দেশগুলোকে স্থিতিস্থাপক মানব উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ধাক্কাগুলোর জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত ও সাড়া দিতে পারে।
ঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
২১ মিনিট আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য পরিশোধে আগ্রহী ছিল না। এতে চুক্তিটির বাস্তবায়ন হুমকির মধ্যে পড়ে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি রক্ষার জন্য আদানি স্থানীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তাঁদের এই বিদ্যুৎ কিনতে রাজি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
২ ঘণ্টা আগে