স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে বাজেট: চট্টগ্রাম চেম্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ২১: ১৩
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৪, ২১: ৪৮

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট স্মার্ট-উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে বলে মনে করছে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই)। 

গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সিসিসিআই সভাপতি ওমর হাজ্জাজ এ কথা বলেন। 

সিসিসিআই সভাপতি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম অঙ্গীকার এ বাজেট। তৈরি পোশাকের পর তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এ বাজেটে। এ ছাড়া এতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়নসহ স্মার্ট জনগোষ্ঠী তৈরির প্রয়াস রয়েছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা অর্থনৈতিক করিডরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বে-টার্মিনাল, মেঘনা নদী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পানি সরবরাহ এবং চট্টগ্রাম নগরীকে ব্যবসাবান্ধব নগরীতে পরিণত করতে বাজেটে বিশেষ উন্নয়ন বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান তিনি। 

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি বলেন, বাজেটে মোট ব্যয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, মোট আয় ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা এবং মোট ঋণ ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে। ঘাটতি বাজেট মোকাবিলায় বৈদেশিক ঋণের চেয়ে অভ্যন্তরীণ উৎসে গুরুত্ব দেওয়াই দেশীয় সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। 

তিনি বলেন, সরকার ২০২৪-২৭ সালের রপ্তানি নীতি খসড়া চূড়ান্ত করেছে। অথচ দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা শিল্প মন্ত্রণালয়ের গতবারের চেয়ে কম বরাদ্দ শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়ক নয়। তাই এই মন্ত্রণালয়ের বাজেট বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬.৫%-এর মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে দুই বছর যাবৎ মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশেরও বেশি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির এলসিতে ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কর্তনকৃত কর পূর্বের ২% থেকে কমিয়ে ১% নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আশাব্যঞ্জক।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত