সাইফুল মাসুম, ঢাকা
মৎস্য অধিদপ্তরের একটি বড় উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’। এর লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে মৎস্য খাতে টেকসই বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ছয় বছরে চারজন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদলি হয়ে পঞ্চমজন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। পিডি বদলের পাশাপাশি শেষ দিকে এসে বরাদ্দেও কাটছাঁটের কারণে প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। চলতি বছরের জুনে এটি শেষ হওয়ার কথা। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রকল্প থেকে ৮০০ কোটি টাকা বাদ দিয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নানা জটিলতায় এমনিতেই প্রকল্পের গতি ধীর, তার ওপর শেষ সময়ে অর্থ কাটছাঁট এবং পিডি বদল করায় প্রকল্প নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পটিতে পর্যায়ক্রমে পিডি ছিলেন হাসান আহমেদ চৌধুরী, খন্দকার মাহবুবুল হক, আব্দুল আলীম ও জিয়া হায়দার চৌধুরী। প্রকল্পের নতুন পিডি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনজন উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণের উপপরিচালক মঈন উদ্দিন আহমেদ, জরিপ শাখার উপপরিচালক এম এম মনিরুজ্জামান এবং মৎস্য সংরক্ষণের উপপরিচালক বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস। মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকের নিয়োগসংক্রান্ত কমিটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর এম এম মনিরুজ্জামানকে ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি দায়িত্ব নেবেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত পিডি নিজে।
সময় ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটির কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। জানা গেছে, বছরের বাকি দুই মাসেও বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, এর ফলে প্রকল্পের বাকি সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হবে। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পের প্রথম দুই বছর করোনার কারণে কাজ একেবারেই হয়নি।
সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘন ঘন প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করা কঠিন। এখন নতুন পিডি নিয়োগ হলেও প্রকল্পে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, প্রকল্পের অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বাভাবিক নিয়মে কাজ করবেন।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে এতবার প্রকল্প পরিচালক বদলের কারণ কী, সেটা আমরা জানি না। সাধারণভাবে বলতে পারি, ঘন ঘন পিডি বদল প্রকল্পের জন্য কখনোই ভালো হতে পারে না। তবে বর্তমানে বাস্তবতার আলোকেই পিডি বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
প্রকল্পটির আওতাভুক্ত এলাকা হচ্ছে খুলনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ভোলাসহ দেশের ১৬টি উপকূলীয় জেলার ৭৫টি উপজেলা। এর কার্যক্রম মোট চার ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে মৎস্য খাতে টেকসই বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে ২০টি জরিপ চালানো, মৎস্য আহরণের নৌযানে সাড়ে ৮ হাজার জিএসএম এবং বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণের নৌযানে ৫টি এমটিইউ ডিভাইস স্থাপন এবং নৌযানের নিবন্ধন ও মৎস্যজীবীদের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সফটওয়্যার তৈরি করার কাজ। অবকাঠামো ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ৩৫০টি চিংড়ির ক্লাস্টার গঠন এবং এর মধ্যে ৩০০টি ক্লাস্টারকে অনুদান প্রদান, ১৭টি পোস্ট-হারভেস্ট সার্ভিস সেন্টার উন্নয়ন, খাল পুনঃখনন কার্যক্রম, ১০টি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারের আধুনিকায়ন, তিনটি ফিশ হেলথ ডায়াগনস্টিক ল্যাব, তিনটি ফিশ কোয়ারেন্টিন ল্যাব এবং তিনটি পিসিআর ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের একটি বড় উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’। এর লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে মৎস্য খাতে টেকসই বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ছয় বছরে চারজন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদলি হয়ে পঞ্চমজন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। পিডি বদলের পাশাপাশি শেষ দিকে এসে বরাদ্দেও কাটছাঁটের কারণে প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। চলতি বছরের জুনে এটি শেষ হওয়ার কথা। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রকল্প থেকে ৮০০ কোটি টাকা বাদ দিয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নানা জটিলতায় এমনিতেই প্রকল্পের গতি ধীর, তার ওপর শেষ সময়ে অর্থ কাটছাঁট এবং পিডি বদল করায় প্রকল্প নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পটিতে পর্যায়ক্রমে পিডি ছিলেন হাসান আহমেদ চৌধুরী, খন্দকার মাহবুবুল হক, আব্দুল আলীম ও জিয়া হায়দার চৌধুরী। প্রকল্পের নতুন পিডি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনজন উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণের উপপরিচালক মঈন উদ্দিন আহমেদ, জরিপ শাখার উপপরিচালক এম এম মনিরুজ্জামান এবং মৎস্য সংরক্ষণের উপপরিচালক বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস। মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকের নিয়োগসংক্রান্ত কমিটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর এম এম মনিরুজ্জামানকে ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি দায়িত্ব নেবেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত পিডি নিজে।
সময় ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটির কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। জানা গেছে, বছরের বাকি দুই মাসেও বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, এর ফলে প্রকল্পের বাকি সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হবে। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পের প্রথম দুই বছর করোনার কারণে কাজ একেবারেই হয়নি।
সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘন ঘন প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করা কঠিন। এখন নতুন পিডি নিয়োগ হলেও প্রকল্পে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, প্রকল্পের অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বাভাবিক নিয়মে কাজ করবেন।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে এতবার প্রকল্প পরিচালক বদলের কারণ কী, সেটা আমরা জানি না। সাধারণভাবে বলতে পারি, ঘন ঘন পিডি বদল প্রকল্পের জন্য কখনোই ভালো হতে পারে না। তবে বর্তমানে বাস্তবতার আলোকেই পিডি বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
প্রকল্পটির আওতাভুক্ত এলাকা হচ্ছে খুলনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ভোলাসহ দেশের ১৬টি উপকূলীয় জেলার ৭৫টি উপজেলা। এর কার্যক্রম মোট চার ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে মৎস্য খাতে টেকসই বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে ২০টি জরিপ চালানো, মৎস্য আহরণের নৌযানে সাড়ে ৮ হাজার জিএসএম এবং বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণের নৌযানে ৫টি এমটিইউ ডিভাইস স্থাপন এবং নৌযানের নিবন্ধন ও মৎস্যজীবীদের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সফটওয়্যার তৈরি করার কাজ। অবকাঠামো ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ৩৫০টি চিংড়ির ক্লাস্টার গঠন এবং এর মধ্যে ৩০০টি ক্লাস্টারকে অনুদান প্রদান, ১৭টি পোস্ট-হারভেস্ট সার্ভিস সেন্টার উন্নয়ন, খাল পুনঃখনন কার্যক্রম, ১০টি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারের আধুনিকায়ন, তিনটি ফিশ হেলথ ডায়াগনস্টিক ল্যাব, তিনটি ফিশ কোয়ারেন্টিন ল্যাব এবং তিনটি পিসিআর ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে।
দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। উন্নয়নের চেষ্টা চলছে, তবে পরিকল্পনা গ্রহণে দেখা যাচ্ছে বিশৃঙ্খলা। এর পাশাপাশি আইনি জটিলতা এবং বাস্তবায়নের দুর্বলতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি সেবা এবং বিদ্যমান অর্থনীতির নানামুখী সমস্যাও এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
৩ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত বাস্তবতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ যেন স্থবিরতার চাদরে ঢেকে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ১০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। এটি গত ১০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে যেকোনো তিন মাসের হিসাবে সবচেয়ে কম ব
১০ ঘণ্টা আগেইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস সারা দেশে মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিন ইনগোভ্যাক্স এসিডাব্লিউওয়াই সরবরাহ করছে। রাজধানীর ল্যাবএইড, প্রাভা হেলথ, ভাইরোলজি ডিপার্টমেন্ট (বিএসএমএমইউ), প্রিভেন্টাসহ বিভিন্ন ভ্যাকসিন সেন্টারে...
১৪ ঘণ্টা আগেকাঁচামাল সংকটের কারণ দেখিয়ে কারখানা ‘লে-অফ’ করে রাখা বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আল রাজি কমপ্লেক্সে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে