আরও ১১ লাখ প্রিপেইড গ্যাস মিটার, ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৯: ৫০
Thumbnail image

গ্রাহক পর্যায়ে আরও ১১ লাখ ৩৫ হাজার প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এর মধ্যে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এলাকায় সাড়ে ৬ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড গ্যাস মিটার সংযোজনে অর্থায়ন পেয়েছে সরকার। 

আজ মঙ্গলবার প্রিপেইড গ্যাস মিটার প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। 

স্মার্ট গ্যাস মিটারিংয়ের মাধ্যমে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্লিন এনার্জির রূপান্তর সহজ হবে বলে আশা করা হয়। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধ করা সম্ভব এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রূপান্তরমূলক ও পরিচালন দক্ষতা বাড়বে। ইউনিফাইড মিটারিং ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে একটি স্বয়ংক্রিয় ওয়েবভিত্তিক ব্যবস্থাপনা সিস্টেম সংযুক্ত থাকে এই স্মার্ট মিটারে। 

এদিকে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৭ লাখ প্রিপেইড গ্যাস মিটার কেনার জন্য জাপান ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল কো–অপারেশনের (জেবিক) সঙ্গে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে জ্বালানি বিভাগ। 

চুক্তি শেষে জানানো হয়, প্রাকৃতিক গ্যাসের চুরি ও অপচয় রোধে গ্রাহক পর্যায়ে আরও ১১ লাখ ৩৫ হাজার প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এর মধ্যে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের জন্য ৭ লাখ এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্রাহকদের জন্য ৪ লাখ ৩৫ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে। 

এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চাহিদা অনুসারে ৩০ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে। জাপান ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল কো–অপারেশন, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি এই তিন ব্যাংকের সহযোগিতায় সব খাতে গ্যাস বিতরণে মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। 

জ্বালানি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় এক যুগ আগে দেশে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ লাখের মতো মিটার স্থাপন করেছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো। বিতরণকারী সংস্থা প্রথাগত বিলিং ব্যবস্থার বদলে প্রিপেইড মিটার চালু করার পর গ্রাহকদের গ্যাসের জন্য মাসিক খরচ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। প্রিপেইড মিটারবিহীন গ্রাহক মাসে গড়ে ৭০ ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করেন। অপর দিকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহক মাসে গড়ে মাত্র ৩০ ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত