
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আদানি পাওয়ারের বিরুদ্ধে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া কর সুবিধার তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে শিল্পগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে। এক নথির ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে ২০১৭ সালে একটি চুক্তি করে। এই চুক্তির আওতায় পূর্ব ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার হয়। তবে ঢাকা বলছে, তারা এখন এই চুক্তি পুনরায় আলোচনা করতে চায়।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ ও দুই পক্ষের মধ্যে আদান-প্রদানকৃত চিঠিপত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং ছয়জন বাংলাদেশি কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এই চুক্তি সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো দরপত্র ছাড়াই অনুমোদন দিয়েছিলেন এবং এটি বাংলাদেশের অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ চুক্তির তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল।
২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে সরবরাহ শুরু হওয়ার পর থেকে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে বেশ কিছু বকেয়া পায়। আদানির দাবি, তারা বাংলাদেশের কাছে কয়েক শ মিলিয়ন ডলার পাবে। তবে এই বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষমতা এখন পর্যাপ্ত। দেশ এখন আদানি পাওয়ারের সরবরাহ ছাড়াই চলতে পারবে। তবে সব অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এখনো পুরোপুরি কার্যকর নয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনাকে গণতন্ত্র দমন এবং অর্থনীতির অপব্যবস্থাপনার জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচনা করা হয়। তিনি গত দুই দশকের অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন।
রয়টার্স প্রথমবারের মতো প্রকাশ করেছে, কর রেয়াত স্থানান্তর নিয়ে একটি অতিরিক্ত বাস্তবায়ন চুক্তিও বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির সঙ্গে করা হয়েছিল। এ ছাড়া রয়টার্স বাংলাদেশ সরকার যে ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের কথা ভাবছে সেটিও প্রথম প্রকাশ করে। পাশাপাশি আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন কৌঁসুলিরা গত নভেম্বরে আদানির বিরুদ্ধে যে ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছে, তা বাংলাদেশ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে—এই বিষয়টিও রয়টার্সই প্রথম প্রকাশ করে। এই অভিযোগে গৌতম আদানি ও আদানি গ্রুপের আরও সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশে অবশ্য আদানি পাওয়ার কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠেনি। রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা (বাংলাদেশের ক্ষেত্রে) সব চুক্তিগত দায়বদ্ধতা মেনে চলেছে এবং ঢাকা চুক্তি পর্যালোচনা করছে এমন কোনো ইঙ্গিত পায়নি। কর সুবিধা এবং বাংলাদেশের উত্থাপিত অন্যান্য বিষয়ে কোম্পানিটি কোনো অবস্থান প্রকাশ করেনি। তবে আদানি গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে।
আদানি পাওয়ারের কয়লাভিত্তিক গোড্ডা প্ল্যান্ট মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্যই নির্মিত। কোম্পানিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ চুক্তিটি ভারতের বৈদেশিক নীতির উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। ২০১৯ সালে দিল্লি প্ল্যান্টটিকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অংশ ঘোষণা করে। এ কারণে, প্রতিষ্ঠানটি আয়কর এবং অন্যান্য করের ক্ষেত্রে প্রণোদনা পেয়ে থাকে।
আদানি পাওয়ার ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর যে চুক্তি ও বাস্তবায়ন সমঝোতা অনুসারে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর–সংক্রান্ত কোনো অবস্থা পরিবর্তিত হলে তা দ্রুত বাংলাদেশকে জানানোর কথা ছিল। পাশাপাশি, ভারতের সরকারের দেওয়া কর রেয়াত বা অব্যাহতির সুবিধা বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা বাধ্যতামূলক ছিল।
তবে আদানি পাওয়ার এটি করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। বিপিডিবি ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এবং ২২ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে এ সুবিধা প্রদান করার অনুরোধ জানিয়েছিল। বিপিডিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সুবিধা প্রদান করা হলে বিদ্যুৎ ইউনিট প্রতি প্রায় দশমিক ৩৫ সেন্ট সাশ্রয় হতো। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গোড্ডা প্ল্যান্ট ৮ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল। এই হিসাবে প্রায় ২৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের সুযোগ ছিল।
ফাওজুল কবির খান জানান, আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ভবিষ্যৎ আলোচনার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হবে।
শেখ হাসিনা সরকার ২০১০ সালের নভেম্বরে একটি আইন বাতিল করে। যা তাঁর প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়াই কিছু জ্বালানি চুক্তি অনুমোদনের সুযোগ দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার ক্লাইমেট এনার্জি ফাইন্যান্স থিংক ট্যাংকের পরিচালক টিম বাকলি বলেন, এসব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা হবে না, এই বিষয়টি অস্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, নিলাম হলে সবচেয়ে সাশ্রয়ীমূল্য নিশ্চিত হয়।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসের সরকার হাসিনার সময় স্বাক্ষরিত বড় বড় জ্বালানি চুক্তিগুলো পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল নিয়োগ করে। এদিকে, বাংলাদেশের একটি আদালত আলাদাভাবে আদানি চুক্তি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শেখ হাসিনার আমলে হওয়া দুর্নীতি নিয়ে একটি শ্বেতপত্র চলতি বছরের ডিসেম্বরে ১ তারিখ ড. ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উচিত বিদ্যুৎ চুক্তিটি ‘খতিয়ে দেখা’। এই শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে হাসিনার আমলে ‘তড়িঘড়ি করে’ আদানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল।
হাসিনা ভারত চলে যাওয়ার পর থেকে আর প্রকাশ্যে দেখা দেননি। ফলে এই বিষয়ে জানার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর পুত্র ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ রয়টার্সকে বলেন, তিনি আদানি পাওয়ার চুক্তি সম্পর্কে অবগত নন। তবে তিনি ‘নিশ্চিত যে, কোনো দুর্নীতি হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি কেবল অনুমান করতে পারি যে ভারত সরকার এই চুক্তির জন্য লবিং করেছিল। যার কারণে এটি সম্পন্ন হয়েছিল।’
এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় বা অন্যান্য ভারতীয় কর্মকর্তারাও রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে পাওনা অর্থ প্রদানের বিরোধের জেরে গোড্ডা প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয়। রয়টার্সের হাতে আসা ১ জুলাইয়ের এক চিঠিতে কোম্পানি জানায়, তারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। মেয়াদ বাড়ালে বাংলাদেশ প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারত। কোম্পানি জানায়, অর্থ প্রদান না হওয়া পর্যন্ত তারা আর কোনো ছাড় দেবে না।
আদানি পাওয়ারের দাবি, বাংলাদেশের কাছে তাদের পাওনা ৯০০ মিলিয়ন ডলার। বিপিডিবি বলছে, এই বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। ডলারের অভাবে বিপিডিবি যথাযথ অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না বলে কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান।
অক্টোবর মাসে আদানি পাওয়ারকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পরও সরবরাহ কমানোর বিষয়টি বাংলাদেশকে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ করেছে বলে জানান বিপিডিবি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম।
বিরোধের সূত্রপাত মূলত বিদ্যুৎ শুল্কের হিসাব নির্ধারণ নিয়ে, যেখানে ২০১৭ সালের চুক্তি দুটি সূচকের গড় ধরে মূল্য নির্ধারণ করেছে। গোড্ডা থেকে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি খরচ বাংলাদেশে সরবরাহকৃত ভারতীয় বিদ্যুতের গড় মূল্যের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি ছিল, যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ক্রয়ের সারাংশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আদানি পাওয়ারের কাছে এমন সূচক ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছে, যা শুল্ক কমিয়ে আনবে। গত বছর এক সূচকের সংশোধনের পর এটি উত্থাপিত হয়—বলে জানায় বিপিডিবির তিন সূত্র। তবে আদানি পাওয়ার এই বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জানিয়েছে উভয় পক্ষ শিগগিরই বৈঠকে বসবে।
চুক্তিগুলোতে সিঙ্গাপুরে এই বিষয়ে সালিস বা আলোচনা করার কথা উল্লেখ থাকলেও ফাওজুল কবির খান জানান, বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে আদালতের তদন্তের ফলাফলের ওপর। তিনি বলেন, ‘যদি প্রমাণ হয় যে ঘুষ বা অনিয়ম হয়েছে, তাহলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যদি কোনো (চুক্তি) বাতিলের প্রক্রিয়া ঘটে আমাদের সেটি অনুসরণ করতে হবে।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আদানি পাওয়ারের বিরুদ্ধে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া কর সুবিধার তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে শিল্পগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে। এক নথির ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে ২০১৭ সালে একটি চুক্তি করে। এই চুক্তির আওতায় পূর্ব ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার হয়। তবে ঢাকা বলছে, তারা এখন এই চুক্তি পুনরায় আলোচনা করতে চায়।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ ও দুই পক্ষের মধ্যে আদান-প্রদানকৃত চিঠিপত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং ছয়জন বাংলাদেশি কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এই চুক্তি সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো দরপত্র ছাড়াই অনুমোদন দিয়েছিলেন এবং এটি বাংলাদেশের অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ চুক্তির তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল।
২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে সরবরাহ শুরু হওয়ার পর থেকে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে বেশ কিছু বকেয়া পায়। আদানির দাবি, তারা বাংলাদেশের কাছে কয়েক শ মিলিয়ন ডলার পাবে। তবে এই বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষমতা এখন পর্যাপ্ত। দেশ এখন আদানি পাওয়ারের সরবরাহ ছাড়াই চলতে পারবে। তবে সব অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এখনো পুরোপুরি কার্যকর নয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনাকে গণতন্ত্র দমন এবং অর্থনীতির অপব্যবস্থাপনার জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচনা করা হয়। তিনি গত দুই দশকের অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন।
রয়টার্স প্রথমবারের মতো প্রকাশ করেছে, কর রেয়াত স্থানান্তর নিয়ে একটি অতিরিক্ত বাস্তবায়ন চুক্তিও বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির সঙ্গে করা হয়েছিল। এ ছাড়া রয়টার্স বাংলাদেশ সরকার যে ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের কথা ভাবছে সেটিও প্রথম প্রকাশ করে। পাশাপাশি আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন কৌঁসুলিরা গত নভেম্বরে আদানির বিরুদ্ধে যে ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছে, তা বাংলাদেশ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে—এই বিষয়টিও রয়টার্সই প্রথম প্রকাশ করে। এই অভিযোগে গৌতম আদানি ও আদানি গ্রুপের আরও সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশে অবশ্য আদানি পাওয়ার কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠেনি। রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা (বাংলাদেশের ক্ষেত্রে) সব চুক্তিগত দায়বদ্ধতা মেনে চলেছে এবং ঢাকা চুক্তি পর্যালোচনা করছে এমন কোনো ইঙ্গিত পায়নি। কর সুবিধা এবং বাংলাদেশের উত্থাপিত অন্যান্য বিষয়ে কোম্পানিটি কোনো অবস্থান প্রকাশ করেনি। তবে আদানি গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে।
আদানি পাওয়ারের কয়লাভিত্তিক গোড্ডা প্ল্যান্ট মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্যই নির্মিত। কোম্পানিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ চুক্তিটি ভারতের বৈদেশিক নীতির উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। ২০১৯ সালে দিল্লি প্ল্যান্টটিকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অংশ ঘোষণা করে। এ কারণে, প্রতিষ্ঠানটি আয়কর এবং অন্যান্য করের ক্ষেত্রে প্রণোদনা পেয়ে থাকে।
আদানি পাওয়ার ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর যে চুক্তি ও বাস্তবায়ন সমঝোতা অনুসারে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর–সংক্রান্ত কোনো অবস্থা পরিবর্তিত হলে তা দ্রুত বাংলাদেশকে জানানোর কথা ছিল। পাশাপাশি, ভারতের সরকারের দেওয়া কর রেয়াত বা অব্যাহতির সুবিধা বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা বাধ্যতামূলক ছিল।
তবে আদানি পাওয়ার এটি করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। বিপিডিবি ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এবং ২২ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে এ সুবিধা প্রদান করার অনুরোধ জানিয়েছিল। বিপিডিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সুবিধা প্রদান করা হলে বিদ্যুৎ ইউনিট প্রতি প্রায় দশমিক ৩৫ সেন্ট সাশ্রয় হতো। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গোড্ডা প্ল্যান্ট ৮ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল। এই হিসাবে প্রায় ২৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের সুযোগ ছিল।
ফাওজুল কবির খান জানান, আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ভবিষ্যৎ আলোচনার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হবে।
শেখ হাসিনা সরকার ২০১০ সালের নভেম্বরে একটি আইন বাতিল করে। যা তাঁর প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়াই কিছু জ্বালানি চুক্তি অনুমোদনের সুযোগ দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার ক্লাইমেট এনার্জি ফাইন্যান্স থিংক ট্যাংকের পরিচালক টিম বাকলি বলেন, এসব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা হবে না, এই বিষয়টি অস্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, নিলাম হলে সবচেয়ে সাশ্রয়ীমূল্য নিশ্চিত হয়।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসের সরকার হাসিনার সময় স্বাক্ষরিত বড় বড় জ্বালানি চুক্তিগুলো পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল নিয়োগ করে। এদিকে, বাংলাদেশের একটি আদালত আলাদাভাবে আদানি চুক্তি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শেখ হাসিনার আমলে হওয়া দুর্নীতি নিয়ে একটি শ্বেতপত্র চলতি বছরের ডিসেম্বরে ১ তারিখ ড. ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উচিত বিদ্যুৎ চুক্তিটি ‘খতিয়ে দেখা’। এই শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে হাসিনার আমলে ‘তড়িঘড়ি করে’ আদানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল।
হাসিনা ভারত চলে যাওয়ার পর থেকে আর প্রকাশ্যে দেখা দেননি। ফলে এই বিষয়ে জানার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর পুত্র ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ রয়টার্সকে বলেন, তিনি আদানি পাওয়ার চুক্তি সম্পর্কে অবগত নন। তবে তিনি ‘নিশ্চিত যে, কোনো দুর্নীতি হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি কেবল অনুমান করতে পারি যে ভারত সরকার এই চুক্তির জন্য লবিং করেছিল। যার কারণে এটি সম্পন্ন হয়েছিল।’
এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় বা অন্যান্য ভারতীয় কর্মকর্তারাও রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে পাওনা অর্থ প্রদানের বিরোধের জেরে গোড্ডা প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয়। রয়টার্সের হাতে আসা ১ জুলাইয়ের এক চিঠিতে কোম্পানি জানায়, তারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। মেয়াদ বাড়ালে বাংলাদেশ প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারত। কোম্পানি জানায়, অর্থ প্রদান না হওয়া পর্যন্ত তারা আর কোনো ছাড় দেবে না।
আদানি পাওয়ারের দাবি, বাংলাদেশের কাছে তাদের পাওনা ৯০০ মিলিয়ন ডলার। বিপিডিবি বলছে, এই বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। ডলারের অভাবে বিপিডিবি যথাযথ অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না বলে কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান।
অক্টোবর মাসে আদানি পাওয়ারকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পরও সরবরাহ কমানোর বিষয়টি বাংলাদেশকে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ করেছে বলে জানান বিপিডিবি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম।
বিরোধের সূত্রপাত মূলত বিদ্যুৎ শুল্কের হিসাব নির্ধারণ নিয়ে, যেখানে ২০১৭ সালের চুক্তি দুটি সূচকের গড় ধরে মূল্য নির্ধারণ করেছে। গোড্ডা থেকে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি খরচ বাংলাদেশে সরবরাহকৃত ভারতীয় বিদ্যুতের গড় মূল্যের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি ছিল, যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ক্রয়ের সারাংশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আদানি পাওয়ারের কাছে এমন সূচক ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছে, যা শুল্ক কমিয়ে আনবে। গত বছর এক সূচকের সংশোধনের পর এটি উত্থাপিত হয়—বলে জানায় বিপিডিবির তিন সূত্র। তবে আদানি পাওয়ার এই বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জানিয়েছে উভয় পক্ষ শিগগিরই বৈঠকে বসবে।
চুক্তিগুলোতে সিঙ্গাপুরে এই বিষয়ে সালিস বা আলোচনা করার কথা উল্লেখ থাকলেও ফাওজুল কবির খান জানান, বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে আদালতের তদন্তের ফলাফলের ওপর। তিনি বলেন, ‘যদি প্রমাণ হয় যে ঘুষ বা অনিয়ম হয়েছে, তাহলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যদি কোনো (চুক্তি) বাতিলের প্রক্রিয়া ঘটে আমাদের সেটি অনুসরণ করতে হবে।’

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আদানি পাওয়ারের বিরুদ্ধে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া কর সুবিধার তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে শিল্পগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে। এক নথির ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আদানি পাওয়ারের বিরুদ্ধে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া কর সুবিধার তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে শিল্পগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে। এক নথির ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আদানি পাওয়ারের বিরুদ্ধে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া কর সুবিধার তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে শিল্পগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে। এক নথির ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আদানি পাওয়ারের বিরুদ্ধে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া কর সুবিধার তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে শিল্পগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে। এক নথির ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে