ইইউয়ে ২০২৯-এর পর জিএসপি প্লাস সুবিধা চায় ঢাকা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ২১
Thumbnail image

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে ২০২৯ সালের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইইউয়ের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ জোসেপ বররেলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ এ অনুরোধ জানিয়েছে। 

আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইড লাইনে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইইউয়ের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ জোসেপ বররেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময়ে ইইউয়ের বাজারে অস্ত্র ছাড়া বাংলাদেশি অন্য সব পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য ধন্যবাদ জানান আব্দুল মোমেন। সেই সঙ্গে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্যের এ সুবিধা বাড়ানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

এ সময় ২০২৯ সালের পর বাংলাদেশি পণ্যে জিএসপি প্লাস সুবিধা বাড়াতে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের এ অনুরোধ ইতিবাচক সুপারিশসহ ইইউয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন জোসেপ বররেল। 

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ইইউকে অনুরোধ করে বাংলাদেশ। ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিরূপ প্রভাবের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

জবাবে রোহিঙ্গাদের মানবিকতা দেখানোর জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে ইইউ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জোসেপ বররেল। 

বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে বাংলাদেশ ও ইইউ। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা জোসেপ বররেলকে জানান আব্দুল মোমেন। উন্নত দেশগুলোর ১০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল গঠনের যে প্রতিশ্রুতি তা পূরণে ইইউকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ অর্থের ৫০ শতাংশ জলবায়ু অভিযোজনে ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি। 

এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিবাসী হওয়া মানুষদের দায়িত্ব ভাগাভাগির ওপর জোর দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জোসেপ বররেল। এ সময়ে জোসেপ বররেল এবং একে আব্দুল মোমেন জলবায়ুর প্রভাব প্রশমনে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত