মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
উন্নয়ন প্রকল্পের অতিরিক্ত খরচ কমানো এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিলের কারণে সরকারের অর্থছাড় কমেছে। এই কম অর্থছাড়ের ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রকল্পের বাস্তবায়নের হারও কমে গেছে, যা গত ৭ বছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবদনের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়নে ৫০ হাজার ২ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে, যা ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি আইএমইডির কাছে গত এক যুগের সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়ন। এমনকি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর অর্থছাড়ের পরিমাণ এটিই সর্বনিম্ন। গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড় হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। গতকাল মঙ্গলবার আইএমইডির এডিপি বাস্তবায়নের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে সরকার বড় ধরনের কাটছাঁট করতে চায় এবং তার প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নে। তবে এই কাটছাঁটের ছোঁয়া লাগেনি বড় বরাদ্দ পাওয়া এলজিইডি ও বিদ্যুৎ খাতে। বরাবরের মতো উন্নয়ন আরেকটু পিছিয়ে পড়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে, যেখানে গতানুগতিক হোঁচট যেন থামতে চায় না।
অর্থনীতিবিদেরা জানান, দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে এবং রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হচ্ছে, তাই সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। চলতি বাজেটে অপচয়মূলক ব্যয় কমানোর সুযোগ রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকল্পের গুরুত্ব অনুযায়ী বরাদ্দ করা উচিত। যেসব মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে, সেগুলো সম্পন্ন করাই সর্বোত্তম। তবে যেগুলোর কাজ এখনো শুরু হয়নি বা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলো বাতিল করা উচিত।
চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা।
আইএমইডির তথ্যমতে, শুধু গত ডিসেম্বর মাসে অর্থছাড় হয়েছে ১৫ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে ছাড় হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের এডিপি বাস্তবায়নের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ; যা টাকার অঙ্কে অগ্রগতি হয়েছে ৯০৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আইএমইডির সাবেক সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকল্প বেশি প্রয়োজনীয়, কোনটির প্রয়োজনীয়তা কম, তা যাচাই-বাছাই চলছে। প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সবচেয়ে কম অর্থছাড় করেছে, ৪ হাজার ৯৩৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা (০.১৪%) ব্যয় হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যার ৪৭ লাখ টাকা (০.৩৩%) ব্যয় হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জন্য ৭৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (০.৯০%) খরচ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ৪২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে ৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা (২.৬৪%) ব্যয় হয়েছে। সুরক্ষা সেবা ও জননিরাপত্তা বিভাগ যথাক্রমে ৪.১২% ও ৪.২৬% ব্যয় করেছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের অতিরিক্ত খরচ কমানো এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিলের কারণে সরকারের অর্থছাড় কমেছে। এই কম অর্থছাড়ের ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রকল্পের বাস্তবায়নের হারও কমে গেছে, যা গত ৭ বছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবদনের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়নে ৫০ হাজার ২ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে, যা ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি আইএমইডির কাছে গত এক যুগের সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়ন। এমনকি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর অর্থছাড়ের পরিমাণ এটিই সর্বনিম্ন। গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড় হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। গতকাল মঙ্গলবার আইএমইডির এডিপি বাস্তবায়নের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে সরকার বড় ধরনের কাটছাঁট করতে চায় এবং তার প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নে। তবে এই কাটছাঁটের ছোঁয়া লাগেনি বড় বরাদ্দ পাওয়া এলজিইডি ও বিদ্যুৎ খাতে। বরাবরের মতো উন্নয়ন আরেকটু পিছিয়ে পড়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে, যেখানে গতানুগতিক হোঁচট যেন থামতে চায় না।
অর্থনীতিবিদেরা জানান, দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে এবং রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হচ্ছে, তাই সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। চলতি বাজেটে অপচয়মূলক ব্যয় কমানোর সুযোগ রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকল্পের গুরুত্ব অনুযায়ী বরাদ্দ করা উচিত। যেসব মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে, সেগুলো সম্পন্ন করাই সর্বোত্তম। তবে যেগুলোর কাজ এখনো শুরু হয়নি বা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলো বাতিল করা উচিত।
চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা।
আইএমইডির তথ্যমতে, শুধু গত ডিসেম্বর মাসে অর্থছাড় হয়েছে ১৫ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে ছাড় হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের এডিপি বাস্তবায়নের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ; যা টাকার অঙ্কে অগ্রগতি হয়েছে ৯০৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আইএমইডির সাবেক সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকল্প বেশি প্রয়োজনীয়, কোনটির প্রয়োজনীয়তা কম, তা যাচাই-বাছাই চলছে। প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সবচেয়ে কম অর্থছাড় করেছে, ৪ হাজার ৯৩৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা (০.১৪%) ব্যয় হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যার ৪৭ লাখ টাকা (০.৩৩%) ব্যয় হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জন্য ৭৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (০.৯০%) খরচ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ৪২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে ৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা (২.৬৪%) ব্যয় হয়েছে। সুরক্ষা সেবা ও জননিরাপত্তা বিভাগ যথাক্রমে ৪.১২% ও ৪.২৬% ব্যয় করেছে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কেনাকাটায় গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে এবারও থাকছে বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট সুবিধা। মেলা থেকে পছন্দের পণ্য ও সেবা নিয়ে বিকাশ অ্যাপ থেকে কিউআর স্ক্যান করে, পেমেন্ট গেটওয়ে বা অ্যাপে...
১৯ মিনিট আগেমাসরুর আরেফিন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন। সম্প্রতি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী তিন বছরের জন্য তাঁর পুনর্নিয়োগে অনুমতি দিয়েছে।
৩১ মিনিট আগেপরিবর্তিত বাস্তবতায়ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধরে রেখেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তারা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ ছাড়া পরবর্তী দুই অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের প্রক্ষেপণও করা হয়েছ
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা কার্যক্রম মূল্যায়নের জন্য ইন্টারন্যাশনাল শিপ অ্যান্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটির (আইএসপিএস) একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামে আসছে। ২১-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চার সদস্যের প্রতিনিধিদলটি চট্টগ্রামে অবস্থান করবে। এ সময়ে তাঁরা বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা, নিরাপত্তা কার্যক্রম এবং সং
৫ ঘণ্টা আগে