মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে আসছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৫৪টি প্রকল্প নিচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দুই থেকে সাত বছর মেয়াদি এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই ব্যয়ের সিংহভাগই আসবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আইএমইডির প্রতিবেদনে ১০ খাতে ভাগ করা এই প্রকল্পগুলোর ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে (১২৯টি প্রকল্পে) ৭৮ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। বাকি প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার অর্থ আসবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘বিগত সময়ে ঋণ করে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ দিয়ে জনগণের টাকা লোপাট হয়েছে। বিদেশেও সেই টাকা পাচার হয়েছে। আমরা প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করেছি, যৌক্তিক প্রকল্পগুলো এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তালিকা করেছি। দেশের অর্থনীতি ও জনকল্যাণে এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। তাই প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’
এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নেওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি স্বাস্থ্য খাতের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় নেওয়া এই প্রকল্পের নাম ‘৫ম জনস্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’। ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বিগত সরকারের সময় নেওয়া। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের অধিকাংশ অবকাঠামো, রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, পুল ফান্ড এবং এমআইআইবি। প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৯। এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০টির বেশি বড় কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে, যা দেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ভূমিকা রাখবে।
এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া আরেকটি বড় প্রকল্প হলো ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (লাইন-৫) রুট সাউদার্ন’ প্রকল্প। দেশের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিগত সরকার এই প্রকল্প নিয়েছিল। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫২ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে ব্যয় ৫ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পের নতুন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। প্রকল্পের অর্থায়ন করবে জাইকা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বৈদেশিক ঋণের বড় ধরনের চাপে রয়েছে সরকার। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নির্ণয় করে দাতা সংস্থাগুলো আগের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। নতুন করে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে না। এমন অবস্থায় বৈদেশিক ঋণ নিয়ে আরও ১৫৪টি প্রকল্প নেওয়ার অর্থ হচ্ছে অর্থনীতিকে চাপে ফেলা। কারণ, দাতা সংস্থাগুলো বিগত অন্যান্য বছরের তুলনায় দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ কম দিচ্ছে। স্বল্প মেয়াদি ঋণ দিয়ে বেশি হারে সুদ নিচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, বিগত সরকারের সময় নেওয়া অনেক অবকাঠামো প্রকল্প থেকে প্রত্যাশা অনুসারে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই প্রকল্পগুলোর ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে সরকারকে। নতুন করে এডিপি কিংবা আরএডিপি প্রকল্পে তালিকাভুক্ত করার আগে এসব বিষয় চিন্তা করতে হবে। তা না হলে অর্থনীতির জন্য ভবিষ্যতে বড় বিপদ বয়ে আনবে।
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়ের যে প্রকল্প এডিপিভুক্ত হচ্ছে, সেটি হলো ‘বে-টার্মিনালের নৌ-চলাচল অবকাঠামো এবং পশ্চাদ্ভূমি সংযোগ সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্প’। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নেওয়া এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ১৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালের জুন মাসে।
অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ‘হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প: বনপাড়া-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অংশ’ প্রকল্পের ব্যয় ৯ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। এতে ঋণ সহায়তা করবে এআইআইবি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০৩১ সালে।
ব্যয়ের দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব সিভিল সার্ভিস প্রকল্প’। ৬ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাইকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৮ সালের জুন মাসে।
এত প্রকল্প এডিপিভুক্ত হতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের চলমান প্রকল্পগুলো রিভিউ করেছে। প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে যে প্রকল্পগুলোর প্রয়োজন নেই, সেসব প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু প্রকল্পের অযৌক্তিক ব্যয় ছিল, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটা ভালো হয়েছে।
সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোয় সামাজিক সুরক্ষা খাতের পাশাপাশি কৃষি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেরও বরাদ্দ রয়েছে। এগুলো অর্থনৈতিক ও জনকল্যাণের ব্যবহৃত প্রকল্প বলে মনে করেন তিনি।
আইএমইডির প্রতিবেদনে এডিপির প্রকল্পগুলো ১০টি খাতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতকে। এই খাতে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ২৮টি প্রকল্প। এ ছাড়া কৃষিতে ১৫; বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ২৪; পরিবহন ও যোগাযোগে ১৮; শিক্ষায় ১৬; সাধারণ সরকারি সেবায় ১১; স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১০; পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদে ৯; শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৬; তথ্যপ্রযুক্তিতে ৫; ধর্ম ও বিনোদনে ৪; স্বাস্থ্যে ৩; জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় ৩ এবং সামাজিক সুরক্ষা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দুটি করে মোট ৪টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ খাতের চলমান কিছু প্রকল্প ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়াটা ঠিক আছে বলে জানান বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বর্তমানে মেট্রোরেল চলমান রয়েছে, রাজধানীতে মেট্রোরেলের আরেকটি অংশ যোগ হলে তা হবে জনবান্ধব এবং অর্থনীতির জন্য সুখবরের। এটি পরীক্ষিত।
আরও খবর পড়ুন:

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে আসছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৫৪টি প্রকল্প নিচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দুই থেকে সাত বছর মেয়াদি এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই ব্যয়ের সিংহভাগই আসবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আইএমইডির প্রতিবেদনে ১০ খাতে ভাগ করা এই প্রকল্পগুলোর ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে (১২৯টি প্রকল্পে) ৭৮ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। বাকি প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার অর্থ আসবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘বিগত সময়ে ঋণ করে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ দিয়ে জনগণের টাকা লোপাট হয়েছে। বিদেশেও সেই টাকা পাচার হয়েছে। আমরা প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করেছি, যৌক্তিক প্রকল্পগুলো এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তালিকা করেছি। দেশের অর্থনীতি ও জনকল্যাণে এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। তাই প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’
এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নেওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি স্বাস্থ্য খাতের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় নেওয়া এই প্রকল্পের নাম ‘৫ম জনস্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’। ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বিগত সরকারের সময় নেওয়া। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের অধিকাংশ অবকাঠামো, রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, পুল ফান্ড এবং এমআইআইবি। প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৯। এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০টির বেশি বড় কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে, যা দেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ভূমিকা রাখবে।
এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া আরেকটি বড় প্রকল্প হলো ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (লাইন-৫) রুট সাউদার্ন’ প্রকল্প। দেশের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিগত সরকার এই প্রকল্প নিয়েছিল। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫২ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে ব্যয় ৫ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পের নতুন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। প্রকল্পের অর্থায়ন করবে জাইকা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বৈদেশিক ঋণের বড় ধরনের চাপে রয়েছে সরকার। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নির্ণয় করে দাতা সংস্থাগুলো আগের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। নতুন করে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে না। এমন অবস্থায় বৈদেশিক ঋণ নিয়ে আরও ১৫৪টি প্রকল্প নেওয়ার অর্থ হচ্ছে অর্থনীতিকে চাপে ফেলা। কারণ, দাতা সংস্থাগুলো বিগত অন্যান্য বছরের তুলনায় দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ কম দিচ্ছে। স্বল্প মেয়াদি ঋণ দিয়ে বেশি হারে সুদ নিচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, বিগত সরকারের সময় নেওয়া অনেক অবকাঠামো প্রকল্প থেকে প্রত্যাশা অনুসারে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই প্রকল্পগুলোর ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে সরকারকে। নতুন করে এডিপি কিংবা আরএডিপি প্রকল্পে তালিকাভুক্ত করার আগে এসব বিষয় চিন্তা করতে হবে। তা না হলে অর্থনীতির জন্য ভবিষ্যতে বড় বিপদ বয়ে আনবে।
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়ের যে প্রকল্প এডিপিভুক্ত হচ্ছে, সেটি হলো ‘বে-টার্মিনালের নৌ-চলাচল অবকাঠামো এবং পশ্চাদ্ভূমি সংযোগ সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্প’। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নেওয়া এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ১৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালের জুন মাসে।
অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ‘হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প: বনপাড়া-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অংশ’ প্রকল্পের ব্যয় ৯ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। এতে ঋণ সহায়তা করবে এআইআইবি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০৩১ সালে।
ব্যয়ের দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব সিভিল সার্ভিস প্রকল্প’। ৬ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাইকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৮ সালের জুন মাসে।
এত প্রকল্প এডিপিভুক্ত হতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের চলমান প্রকল্পগুলো রিভিউ করেছে। প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে যে প্রকল্পগুলোর প্রয়োজন নেই, সেসব প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু প্রকল্পের অযৌক্তিক ব্যয় ছিল, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটা ভালো হয়েছে।
সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোয় সামাজিক সুরক্ষা খাতের পাশাপাশি কৃষি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেরও বরাদ্দ রয়েছে। এগুলো অর্থনৈতিক ও জনকল্যাণের ব্যবহৃত প্রকল্প বলে মনে করেন তিনি।
আইএমইডির প্রতিবেদনে এডিপির প্রকল্পগুলো ১০টি খাতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতকে। এই খাতে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ২৮টি প্রকল্প। এ ছাড়া কৃষিতে ১৫; বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ২৪; পরিবহন ও যোগাযোগে ১৮; শিক্ষায় ১৬; সাধারণ সরকারি সেবায় ১১; স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১০; পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদে ৯; শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৬; তথ্যপ্রযুক্তিতে ৫; ধর্ম ও বিনোদনে ৪; স্বাস্থ্যে ৩; জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় ৩ এবং সামাজিক সুরক্ষা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দুটি করে মোট ৪টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ খাতের চলমান কিছু প্রকল্প ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়াটা ঠিক আছে বলে জানান বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বর্তমানে মেট্রোরেল চলমান রয়েছে, রাজধানীতে মেট্রোরেলের আরেকটি অংশ যোগ হলে তা হবে জনবান্ধব এবং অর্থনীতির জন্য সুখবরের। এটি পরীক্ষিত।
আরও খবর পড়ুন:
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে আসছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৫৪টি প্রকল্প নিচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দুই থেকে সাত বছর মেয়াদি এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই ব্যয়ের সিংহভাগই আসবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আইএমইডির প্রতিবেদনে ১০ খাতে ভাগ করা এই প্রকল্পগুলোর ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে (১২৯টি প্রকল্পে) ৭৮ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। বাকি প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার অর্থ আসবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘বিগত সময়ে ঋণ করে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ দিয়ে জনগণের টাকা লোপাট হয়েছে। বিদেশেও সেই টাকা পাচার হয়েছে। আমরা প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করেছি, যৌক্তিক প্রকল্পগুলো এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তালিকা করেছি। দেশের অর্থনীতি ও জনকল্যাণে এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। তাই প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’
এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নেওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি স্বাস্থ্য খাতের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় নেওয়া এই প্রকল্পের নাম ‘৫ম জনস্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’। ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বিগত সরকারের সময় নেওয়া। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের অধিকাংশ অবকাঠামো, রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, পুল ফান্ড এবং এমআইআইবি। প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৯। এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০টির বেশি বড় কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে, যা দেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ভূমিকা রাখবে।
এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া আরেকটি বড় প্রকল্প হলো ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (লাইন-৫) রুট সাউদার্ন’ প্রকল্প। দেশের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিগত সরকার এই প্রকল্প নিয়েছিল। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫২ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে ব্যয় ৫ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পের নতুন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। প্রকল্পের অর্থায়ন করবে জাইকা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বৈদেশিক ঋণের বড় ধরনের চাপে রয়েছে সরকার। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নির্ণয় করে দাতা সংস্থাগুলো আগের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। নতুন করে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে না। এমন অবস্থায় বৈদেশিক ঋণ নিয়ে আরও ১৫৪টি প্রকল্প নেওয়ার অর্থ হচ্ছে অর্থনীতিকে চাপে ফেলা। কারণ, দাতা সংস্থাগুলো বিগত অন্যান্য বছরের তুলনায় দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ কম দিচ্ছে। স্বল্প মেয়াদি ঋণ দিয়ে বেশি হারে সুদ নিচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, বিগত সরকারের সময় নেওয়া অনেক অবকাঠামো প্রকল্প থেকে প্রত্যাশা অনুসারে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই প্রকল্পগুলোর ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে সরকারকে। নতুন করে এডিপি কিংবা আরএডিপি প্রকল্পে তালিকাভুক্ত করার আগে এসব বিষয় চিন্তা করতে হবে। তা না হলে অর্থনীতির জন্য ভবিষ্যতে বড় বিপদ বয়ে আনবে।
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়ের যে প্রকল্প এডিপিভুক্ত হচ্ছে, সেটি হলো ‘বে-টার্মিনালের নৌ-চলাচল অবকাঠামো এবং পশ্চাদ্ভূমি সংযোগ সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্প’। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নেওয়া এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ১৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালের জুন মাসে।
অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ‘হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প: বনপাড়া-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অংশ’ প্রকল্পের ব্যয় ৯ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। এতে ঋণ সহায়তা করবে এআইআইবি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০৩১ সালে।
ব্যয়ের দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব সিভিল সার্ভিস প্রকল্প’। ৬ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাইকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৮ সালের জুন মাসে।
এত প্রকল্প এডিপিভুক্ত হতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের চলমান প্রকল্পগুলো রিভিউ করেছে। প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে যে প্রকল্পগুলোর প্রয়োজন নেই, সেসব প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু প্রকল্পের অযৌক্তিক ব্যয় ছিল, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটা ভালো হয়েছে।
সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোয় সামাজিক সুরক্ষা খাতের পাশাপাশি কৃষি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেরও বরাদ্দ রয়েছে। এগুলো অর্থনৈতিক ও জনকল্যাণের ব্যবহৃত প্রকল্প বলে মনে করেন তিনি।
আইএমইডির প্রতিবেদনে এডিপির প্রকল্পগুলো ১০টি খাতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতকে। এই খাতে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ২৮টি প্রকল্প। এ ছাড়া কৃষিতে ১৫; বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ২৪; পরিবহন ও যোগাযোগে ১৮; শিক্ষায় ১৬; সাধারণ সরকারি সেবায় ১১; স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১০; পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদে ৯; শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৬; তথ্যপ্রযুক্তিতে ৫; ধর্ম ও বিনোদনে ৪; স্বাস্থ্যে ৩; জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় ৩ এবং সামাজিক সুরক্ষা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দুটি করে মোট ৪টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ খাতের চলমান কিছু প্রকল্প ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়াটা ঠিক আছে বলে জানান বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বর্তমানে মেট্রোরেল চলমান রয়েছে, রাজধানীতে মেট্রোরেলের আরেকটি অংশ যোগ হলে তা হবে জনবান্ধব এবং অর্থনীতির জন্য সুখবরের। এটি পরীক্ষিত।
আরও খবর পড়ুন:

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে আসছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৫৪টি প্রকল্প নিচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দুই থেকে সাত বছর মেয়াদি এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই ব্যয়ের সিংহভাগই আসবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আইএমইডির প্রতিবেদনে ১০ খাতে ভাগ করা এই প্রকল্পগুলোর ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে (১২৯টি প্রকল্পে) ৭৮ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। বাকি প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার অর্থ আসবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘বিগত সময়ে ঋণ করে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ দিয়ে জনগণের টাকা লোপাট হয়েছে। বিদেশেও সেই টাকা পাচার হয়েছে। আমরা প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করেছি, যৌক্তিক প্রকল্পগুলো এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তালিকা করেছি। দেশের অর্থনীতি ও জনকল্যাণে এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। তাই প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’
এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নেওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি স্বাস্থ্য খাতের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় নেওয়া এই প্রকল্পের নাম ‘৫ম জনস্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’। ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বিগত সরকারের সময় নেওয়া। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের অধিকাংশ অবকাঠামো, রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, পুল ফান্ড এবং এমআইআইবি। প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৯। এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০টির বেশি বড় কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে, যা দেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ভূমিকা রাখবে।
এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া আরেকটি বড় প্রকল্প হলো ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (লাইন-৫) রুট সাউদার্ন’ প্রকল্প। দেশের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিগত সরকার এই প্রকল্প নিয়েছিল। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫২ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে ব্যয় ৫ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পের নতুন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। প্রকল্পের অর্থায়ন করবে জাইকা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বৈদেশিক ঋণের বড় ধরনের চাপে রয়েছে সরকার। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নির্ণয় করে দাতা সংস্থাগুলো আগের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। নতুন করে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে না। এমন অবস্থায় বৈদেশিক ঋণ নিয়ে আরও ১৫৪টি প্রকল্প নেওয়ার অর্থ হচ্ছে অর্থনীতিকে চাপে ফেলা। কারণ, দাতা সংস্থাগুলো বিগত অন্যান্য বছরের তুলনায় দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ কম দিচ্ছে। স্বল্প মেয়াদি ঋণ দিয়ে বেশি হারে সুদ নিচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, বিগত সরকারের সময় নেওয়া অনেক অবকাঠামো প্রকল্প থেকে প্রত্যাশা অনুসারে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই প্রকল্পগুলোর ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে সরকারকে। নতুন করে এডিপি কিংবা আরএডিপি প্রকল্পে তালিকাভুক্ত করার আগে এসব বিষয় চিন্তা করতে হবে। তা না হলে অর্থনীতির জন্য ভবিষ্যতে বড় বিপদ বয়ে আনবে।
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়ের যে প্রকল্প এডিপিভুক্ত হচ্ছে, সেটি হলো ‘বে-টার্মিনালের নৌ-চলাচল অবকাঠামো এবং পশ্চাদ্ভূমি সংযোগ সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্প’। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নেওয়া এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ১৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালের জুন মাসে।
অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ‘হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প: বনপাড়া-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অংশ’ প্রকল্পের ব্যয় ৯ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। এতে ঋণ সহায়তা করবে এআইআইবি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০৩১ সালে।
ব্যয়ের দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব সিভিল সার্ভিস প্রকল্প’। ৬ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাইকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৮ সালের জুন মাসে।
এত প্রকল্প এডিপিভুক্ত হতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের চলমান প্রকল্পগুলো রিভিউ করেছে। প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে যে প্রকল্পগুলোর প্রয়োজন নেই, সেসব প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু প্রকল্পের অযৌক্তিক ব্যয় ছিল, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটা ভালো হয়েছে।
সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোয় সামাজিক সুরক্ষা খাতের পাশাপাশি কৃষি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেরও বরাদ্দ রয়েছে। এগুলো অর্থনৈতিক ও জনকল্যাণের ব্যবহৃত প্রকল্প বলে মনে করেন তিনি।
আইএমইডির প্রতিবেদনে এডিপির প্রকল্পগুলো ১০টি খাতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতকে। এই খাতে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ২৮টি প্রকল্প। এ ছাড়া কৃষিতে ১৫; বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ২৪; পরিবহন ও যোগাযোগে ১৮; শিক্ষায় ১৬; সাধারণ সরকারি সেবায় ১১; স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১০; পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদে ৯; শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৬; তথ্যপ্রযুক্তিতে ৫; ধর্ম ও বিনোদনে ৪; স্বাস্থ্যে ৩; জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় ৩ এবং সামাজিক সুরক্ষা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দুটি করে মোট ৪টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ খাতের চলমান কিছু প্রকল্প ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়াটা ঠিক আছে বলে জানান বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বর্তমানে মেট্রোরেল চলমান রয়েছে, রাজধানীতে মেট্রোরেলের আরেকটি অংশ যোগ হলে তা হবে জনবান্ধব এবং অর্থনীতির জন্য সুখবরের। এটি পরীক্ষিত।
আরও খবর পড়ুন:

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে আসছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৫৪টি প্রকল্প নিচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দুই থেকে সাত বছর মেয়াদি এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই ব্যয়
১৩ মার্চ ২০২৫
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে আসছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৫৪টি প্রকল্প নিচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দুই থেকে সাত বছর মেয়াদি এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই ব্যয়
১৩ মার্চ ২০২৫
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে আসছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৫৪টি প্রকল্প নিচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দুই থেকে সাত বছর মেয়াদি এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই ব্যয়
১৩ মার্চ ২০২৫
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে আসছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৫৪টি প্রকল্প নিচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দুই থেকে সাত বছর মেয়াদি এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই ব্যয়
১৩ মার্চ ২০২৫
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে