আয়নাল হোসেন, ঢাকা
কোম্পানির মিল থেকে আটা ১ কেজি, ২ কেজি ও ৫০ কেজির প্যাকেট আকারে বাজারজাত করা হয়। ৫০ কেজির বস্তাজাত আটা সাধারণত খুলে বিক্রি করা হয়। সেই আটা যে দামে বিক্রি হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে এক বা দুই কেজির প্যাকেট আটা।
রাজধানীর খুচরা বাজারে খোলা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে কোম্পানিভেদে ৩৫-৪০ টাকায়। একই আটা প্যাকেটজাতের পর কিনতে হয় ৫৫-৬০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি আটায় দামের পার্থক্য হচ্ছে ২০ টাকা। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, প্যাকেটজাত আটায় কোম্পানিগুলো অস্বাভাবিক মুনাফা করছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের খুচরা আটা বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দামে বিস্তর ব্যবধান। নারায়ণগঞ্জের মিলের খোলা আটা তাঁরা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ২৮-৩০ টাকা দরে; আর নামী কোম্পানির আটা ৩৫-৩৮ টাকায়। অথচ একই আটা প্যাকেটজাত হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
ঢাকার দোহার উপজেলার ইকরাশি বাজারের মেসার্স মনির হোসেন এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান লিপু বলেন, প্রতি কেজি খোলা আটা তাঁরা বিক্রি করছেন ৩৮-৪০ টাকায়। আর দুই কেজির প্যাকেট আটার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২০ টাকা। তবে তাঁরা নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কমেও বিক্রি করেন। খোলা ও প্যাকেটে বিস্তর ব্যবধান থাকায় অনেক ক্রেতা প্যাকেটের আটা কিনতে চান না।
টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৬ মে উৎপাদিত দুই কেজির প্যাকেটজাত আটার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩০ টাকা। একই ব্র্যান্ডের ৫০ কেজির বস্তাজাত আটার দাম ১ হাজার ৫৩০ টাকা অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ৬০ পয়সা। সিটি গ্রুপের তীর আটার (এক কেজি) প্যাকেটের মূল্য ৬৫ টাকা; অথচ একই ব্র্যান্ডের ৫০ কেজির বস্তাজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬২০ টাকায়, যাতে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৩২ টাকা ৪০ পয়সা। স্বাদ ব্র্যান্ডের দুই কেজির প্যাকেটজাত আটার দাম ১২০ টাকা। বসুন্ধরার এক কেজি প্যাকেটজাত আটার দাম ৬৫ টাকা। একই ব্র্যান্ডের ৫০ কেজির বস্তাজাত আটার দাম ১ হাজার ৫৫০ টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ৩১ টাকা।
এ ছাড়া মেঘনা গ্রুপের ফ্রেস ব্র্যান্ডের আটার ১ কেজির প্যাকেটের দাম ৬৫ টাকা। আর ৫০ কেজির বস্তার দাম ১ হাজার ৫৮০ টাকা। সেই হিসাবে এই এক কেজির দাম পড়ে ৩১ টাকা ৬০ পয়সা।
তবে বাজারে কোনো কোনো বিক্রেতা নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কমে বিক্রি করছেন; বিশেষ করে সুপারশপগুলোতে প্যাকেটজাত পণ্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দামে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
একাধিক মুদিদোকানিও জানান, আটার সঙ্গে অন্যান্য পণ্য যাঁরা কিনছেন, তাঁদের কাছে দুই কেজির প্যাকেটজাত আটা বিক্রি করা হয় ১০০-১১০ টাকায়।
পুরান ঢাকার বেগমবাজার এলাকার প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল-আরাফা এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুস সাত্তার বলেন, আটা-ময়দার দুই কেজির একটি ফুড গ্রেডেড প্যাকেট তৈরি করতে খরচ হয় আড়াই থেকে তিন টাকা।
খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দামের ব্যবধান সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব।’
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৫০-৫৫ টাকায়। টিসিবির হিসাবমতে, প্রতি কেজি খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দামে ব্যবধান হচ্ছে ১০-১৫ টাকা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, প্যাকেটজাত পণ্যে অস্বাভাবিক মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। সংগঠনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমতো আটা-ময়দা ও চালের দাম নির্ধারণ করছে। সুরক্ষার দোহাই দিয়ে তারা অতিমুনাফা করছে। এটি রোধে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
কোম্পানির মিল থেকে আটা ১ কেজি, ২ কেজি ও ৫০ কেজির প্যাকেট আকারে বাজারজাত করা হয়। ৫০ কেজির বস্তাজাত আটা সাধারণত খুলে বিক্রি করা হয়। সেই আটা যে দামে বিক্রি হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে এক বা দুই কেজির প্যাকেট আটা।
রাজধানীর খুচরা বাজারে খোলা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে কোম্পানিভেদে ৩৫-৪০ টাকায়। একই আটা প্যাকেটজাতের পর কিনতে হয় ৫৫-৬০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি আটায় দামের পার্থক্য হচ্ছে ২০ টাকা। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, প্যাকেটজাত আটায় কোম্পানিগুলো অস্বাভাবিক মুনাফা করছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের খুচরা আটা বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দামে বিস্তর ব্যবধান। নারায়ণগঞ্জের মিলের খোলা আটা তাঁরা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ২৮-৩০ টাকা দরে; আর নামী কোম্পানির আটা ৩৫-৩৮ টাকায়। অথচ একই আটা প্যাকেটজাত হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
ঢাকার দোহার উপজেলার ইকরাশি বাজারের মেসার্স মনির হোসেন এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান লিপু বলেন, প্রতি কেজি খোলা আটা তাঁরা বিক্রি করছেন ৩৮-৪০ টাকায়। আর দুই কেজির প্যাকেট আটার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২০ টাকা। তবে তাঁরা নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কমেও বিক্রি করেন। খোলা ও প্যাকেটে বিস্তর ব্যবধান থাকায় অনেক ক্রেতা প্যাকেটের আটা কিনতে চান না।
টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৬ মে উৎপাদিত দুই কেজির প্যাকেটজাত আটার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩০ টাকা। একই ব্র্যান্ডের ৫০ কেজির বস্তাজাত আটার দাম ১ হাজার ৫৩০ টাকা অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ৬০ পয়সা। সিটি গ্রুপের তীর আটার (এক কেজি) প্যাকেটের মূল্য ৬৫ টাকা; অথচ একই ব্র্যান্ডের ৫০ কেজির বস্তাজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬২০ টাকায়, যাতে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৩২ টাকা ৪০ পয়সা। স্বাদ ব্র্যান্ডের দুই কেজির প্যাকেটজাত আটার দাম ১২০ টাকা। বসুন্ধরার এক কেজি প্যাকেটজাত আটার দাম ৬৫ টাকা। একই ব্র্যান্ডের ৫০ কেজির বস্তাজাত আটার দাম ১ হাজার ৫৫০ টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ৩১ টাকা।
এ ছাড়া মেঘনা গ্রুপের ফ্রেস ব্র্যান্ডের আটার ১ কেজির প্যাকেটের দাম ৬৫ টাকা। আর ৫০ কেজির বস্তার দাম ১ হাজার ৫৮০ টাকা। সেই হিসাবে এই এক কেজির দাম পড়ে ৩১ টাকা ৬০ পয়সা।
তবে বাজারে কোনো কোনো বিক্রেতা নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কমে বিক্রি করছেন; বিশেষ করে সুপারশপগুলোতে প্যাকেটজাত পণ্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দামে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
একাধিক মুদিদোকানিও জানান, আটার সঙ্গে অন্যান্য পণ্য যাঁরা কিনছেন, তাঁদের কাছে দুই কেজির প্যাকেটজাত আটা বিক্রি করা হয় ১০০-১১০ টাকায়।
পুরান ঢাকার বেগমবাজার এলাকার প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল-আরাফা এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুস সাত্তার বলেন, আটা-ময়দার দুই কেজির একটি ফুড গ্রেডেড প্যাকেট তৈরি করতে খরচ হয় আড়াই থেকে তিন টাকা।
খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দামের ব্যবধান সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব।’
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৫০-৫৫ টাকায়। টিসিবির হিসাবমতে, প্রতি কেজি খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দামে ব্যবধান হচ্ছে ১০-১৫ টাকা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, প্যাকেটজাত পণ্যে অস্বাভাবিক মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। সংগঠনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমতো আটা-ময়দা ও চালের দাম নির্ধারণ করছে। সুরক্ষার দোহাই দিয়ে তারা অতিমুনাফা করছে। এটি রোধে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
গৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১২ মিনিট আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
২৩ মিনিট আগেস্থানীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য পরিশোধে আগ্রহী ছিল না। এতে চুক্তিটির বাস্তবায়ন হুমকির মধ্যে পড়ে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি রক্ষার জন্য আদানি স্থানীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তাঁদের এই বিদ্যুৎ কিনতে রাজি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
১ ঘণ্টা আগেইউএনডিপির আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জনবান্ধব নীতি প্রণয়নে সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের সহায়তায় ইউএনডিপির স্ট্রেংদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রকল্পের
২ ঘণ্টা আগে