জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
রেমিট্যান্সে হুন্ডির থাবা। রপ্তানি পণ্যের দামও পুরোটা আসছে না। কিন্তু আমদানির দায় শোধ না করে উপায় নেই। এতে চাপ বেড়েছে রিজার্ভের ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, আকু পেমেন্টের পর দেশে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ সাড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৬ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নভুক্ত (আকু) দেশগুলোকে ১২৯ কোটি ডলার আমদানি দায় পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) আরও কমে যায়। আকু পেমেন্টের পরদিন মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের পরামর্শের বিপিএম ম্যানুয়াল অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ গতকাল সোমবার মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
তা থেকে ইডিএফ, সোনালী ব্যাংকের ঋণ প্রভৃতি বাদ দিলে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়ায় ২০ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন। আর আমদানি ব্যয়, চলতি মাসের আকুর দায় এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বাবদ ৪ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বাদ দেওয়ার পরে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার গতকাল সিআইডির এক অনুষ্ঠানে ডলার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশকরে বলেন, ‘দেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। চলতি হিসাবের উন্নতি হয়েছে।
কিন্তু রিজার্ভে তেমন একটা উন্নতি হয়নি। মূলত ব্যবসার আড়ালে লেনদেনকালে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং হয়। তবে পণ্যমূল্য যাচাই ও মনিটরিংয়ের ফলে এই পদ্ধতিতে মানি লন্ডারিং প্রায় ৯০ শতাংশ বন্ধ হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ হয়তোবা বন্ধ করা সম্ভব না। অপরদিকে হুন্ডির কারণে রেমিট্যান্স পুরোপুরি দেশে আসছে না। পাশাপাশি রপ্তানিকারকেরা সময়মতো রপ্তানি আয় ফিরে আনছেন না। সেটাই একপ্রকার অর্থ পাচার।’
বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা বিদেশে বাকিতে পণ্য বিক্রয় করায় বড় অঙ্কের রপ্তানি আয় দেশে আসছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানায়, দেশে না আসা রপ্তানি আয়ের পরিমাণ গতকাল পর্যন্ত ছিল ১১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি পদ্ধতিগত ত্রুটি, হিসাবের গরমিল এবং বৈদেশিক ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিসংক্রান্ত জটিলতায় দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে না প্রায় ২ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে বিদেশে পড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় দেশে আসে। তার মানে ওই অর্থবছরের রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, ‘রপ্তানি আয় দেশে প্রত্যাবাসন না করার কিছু কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি।’ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘অর্থ পাচার রোধে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।বিশেষ করে ব্যবসার আড়ালে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিং করে যেন কেউ অর্থ বিদেশে পাচার করতে না পারে সে জন্য অনলাইনে পণ্যের দর যাচাই করা হচ্ছে। আর কারা অর্থ ফিরিয়ে আনছে না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
রেমিট্যান্সে হুন্ডির থাবা। রপ্তানি পণ্যের দামও পুরোটা আসছে না। কিন্তু আমদানির দায় শোধ না করে উপায় নেই। এতে চাপ বেড়েছে রিজার্ভের ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, আকু পেমেন্টের পর দেশে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ সাড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৬ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নভুক্ত (আকু) দেশগুলোকে ১২৯ কোটি ডলার আমদানি দায় পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) আরও কমে যায়। আকু পেমেন্টের পরদিন মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের পরামর্শের বিপিএম ম্যানুয়াল অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ গতকাল সোমবার মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
তা থেকে ইডিএফ, সোনালী ব্যাংকের ঋণ প্রভৃতি বাদ দিলে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়ায় ২০ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন। আর আমদানি ব্যয়, চলতি মাসের আকুর দায় এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বাবদ ৪ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বাদ দেওয়ার পরে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার গতকাল সিআইডির এক অনুষ্ঠানে ডলার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশকরে বলেন, ‘দেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। চলতি হিসাবের উন্নতি হয়েছে।
কিন্তু রিজার্ভে তেমন একটা উন্নতি হয়নি। মূলত ব্যবসার আড়ালে লেনদেনকালে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং হয়। তবে পণ্যমূল্য যাচাই ও মনিটরিংয়ের ফলে এই পদ্ধতিতে মানি লন্ডারিং প্রায় ৯০ শতাংশ বন্ধ হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ হয়তোবা বন্ধ করা সম্ভব না। অপরদিকে হুন্ডির কারণে রেমিট্যান্স পুরোপুরি দেশে আসছে না। পাশাপাশি রপ্তানিকারকেরা সময়মতো রপ্তানি আয় ফিরে আনছেন না। সেটাই একপ্রকার অর্থ পাচার।’
বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা বিদেশে বাকিতে পণ্য বিক্রয় করায় বড় অঙ্কের রপ্তানি আয় দেশে আসছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানায়, দেশে না আসা রপ্তানি আয়ের পরিমাণ গতকাল পর্যন্ত ছিল ১১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি পদ্ধতিগত ত্রুটি, হিসাবের গরমিল এবং বৈদেশিক ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিসংক্রান্ত জটিলতায় দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে না প্রায় ২ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে বিদেশে পড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় দেশে আসে। তার মানে ওই অর্থবছরের রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, ‘রপ্তানি আয় দেশে প্রত্যাবাসন না করার কিছু কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি।’ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘অর্থ পাচার রোধে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।বিশেষ করে ব্যবসার আড়ালে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিং করে যেন কেউ অর্থ বিদেশে পাচার করতে না পারে সে জন্য অনলাইনে পণ্যের দর যাচাই করা হচ্ছে। আর কারা অর্থ ফিরিয়ে আনছে না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৬ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৭ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৮ ঘণ্টা আগে