জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের হিসাবে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের গরমিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এত বিপুল পরিমাণ ডলার কীভাবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বেশি দেখিয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কোন তথ্যের ভিত্তিতে তা শনাক্ত করেছে—সেসব কাগজপত্র যাচাই করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
ভবিষ্যতে হিসাবে গরমিল বিষয়ে নিশ্চিত হতে অধিকরত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে সংস্থাটি প্রয়োজনীয় নোট, হিসাব পদ্ধতি এবং নথিপত্র চেয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গভর্নরের অবস্থান জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির তথ্যে বড় পার্থক্যের বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে জানতে চেয়েছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্নভাবে জানতে চাইলে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর একপর্যায়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব একেবারে সঠিক। এটা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদি সংশয় থাকে আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতে সব তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আইএমএফ রপ্তানি আয়ের মিসম্যাচ ডেটা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিলে পরবর্তীতে বিশেষ প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ১৪ বিলিয়ন ডলারের ইস্যুটি খতিয়ে দেখার বিষয়ে গভর্নরকে অবহিত করা হয়। তাঁরা বাণিজ্য ঘাটতি, বৈদেশিক ঋণ, ডলার মার্কেট এবং রিজার্ভ নিয়েও আলোচনা করেন।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিল সময়ে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করলে সেখানে ১৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির তথ্যে হেরফের দেখা দেয়। পরে ইপিবির রপ্তানি আয় থেকে গরমিলের ওই পরিমাণ বাদ দেওয়া হয়। এতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের হিসাব এলোমেলো হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে বড় পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে। আর ইপিবির তথ্যে রপ্তানি দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ, পণ্য জাহাজীকরণেই পার্থক্য ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।
একই দিনে আইএমএফের কাছ থেকে প্রস্তাবিত বাড়তি ঋণ দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজে ব্যবহার করার কথা জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধ, ব্যাংক ও রাজস্ব খাতের সংস্কারসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারে এই অর্থ ব্যয় হবে। তবে আইএমএফের কাছে কত ঋণ চাওয়া হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অন্য দাতা সংস্থাগুলো কী পরিমাণ সহায়তা দেবে, সেটি জানার পর আইএমএফকে সহায়তার অঙ্ক জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের হিসাবে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের গরমিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এত বিপুল পরিমাণ ডলার কীভাবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বেশি দেখিয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কোন তথ্যের ভিত্তিতে তা শনাক্ত করেছে—সেসব কাগজপত্র যাচাই করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
ভবিষ্যতে হিসাবে গরমিল বিষয়ে নিশ্চিত হতে অধিকরত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে সংস্থাটি প্রয়োজনীয় নোট, হিসাব পদ্ধতি এবং নথিপত্র চেয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গভর্নরের অবস্থান জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির তথ্যে বড় পার্থক্যের বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে জানতে চেয়েছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্নভাবে জানতে চাইলে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর একপর্যায়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব একেবারে সঠিক। এটা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদি সংশয় থাকে আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতে সব তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আইএমএফ রপ্তানি আয়ের মিসম্যাচ ডেটা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিলে পরবর্তীতে বিশেষ প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ১৪ বিলিয়ন ডলারের ইস্যুটি খতিয়ে দেখার বিষয়ে গভর্নরকে অবহিত করা হয়। তাঁরা বাণিজ্য ঘাটতি, বৈদেশিক ঋণ, ডলার মার্কেট এবং রিজার্ভ নিয়েও আলোচনা করেন।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিল সময়ে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করলে সেখানে ১৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির তথ্যে হেরফের দেখা দেয়। পরে ইপিবির রপ্তানি আয় থেকে গরমিলের ওই পরিমাণ বাদ দেওয়া হয়। এতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের হিসাব এলোমেলো হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে বড় পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে। আর ইপিবির তথ্যে রপ্তানি দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ, পণ্য জাহাজীকরণেই পার্থক্য ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।
একই দিনে আইএমএফের কাছ থেকে প্রস্তাবিত বাড়তি ঋণ দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজে ব্যবহার করার কথা জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধ, ব্যাংক ও রাজস্ব খাতের সংস্কারসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারে এই অর্থ ব্যয় হবে। তবে আইএমএফের কাছে কত ঋণ চাওয়া হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অন্য দাতা সংস্থাগুলো কী পরিমাণ সহায়তা দেবে, সেটি জানার পর আইএমএফকে সহায়তার অঙ্ক জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:
শতাধিক পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ‘অপরিণামদর্শী’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।
১৩ মিনিট আগেসাশ্রয়ী মূল্যে সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘ইলিশ মাছের সরবরাহ ও মূল্য শৃঙ্খলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রয়’ সেবা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ইলিশ মাছ বিপণন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ মেরিন ফিশা
২৬ মিনিট আগেআমাদের শেয়ারবাজার অনেক সংকুচিত। গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজার অনেক পিছিয়েছে। একই সময়ে বিশ্বের অন্য সব দেশের শেয়ারবাজার এগিয়েছে। এই অবস্থায় বর্তমান সময়ে দেশের সব স্টেকহোল্ডাররা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচকভাবে কাজ করছে...
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য এ বছর পাঁচটি বড় ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি। বাকি চার ঝুঁকি হলো চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া (বন্যা, তাপপ্রবাহ ইত্যাদি), দূষণ (বায়ু, পানি, মাটি), বেকারত্ব বা অর্থনৈতিক সুযোগের ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা...
৭ ঘণ্টা আগে