Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

গ্রাহকের আস্থাই মূলমন্ত্র

গ্রাহকের আস্থাই মূলমন্ত্র

আজকের পত্রিকা: দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ধারণা সম্পর্কে জানতে চাই 
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: এজেন্ট ব্যাংকিং লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে প্রথম যাত্রা করে। ২০১৪ সালে এই ধারার ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয় দেশে। মাত্র বছর তিনেক পরেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি জনগণকে ব্যয়সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। ঝামেলাহীন এই সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছানোর মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের আওতাবহির্ভূত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে শামিল করেছে।

আজকের পত্রিকা: ইসলামী ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা শুরুর দিকের চ্যালেঞ্জ কেমন ছিল? 
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: ইসলামী ব্যাংক একটি গণমানুষের ব্যাংক। আমানতকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা ও বিশ্বের সেরা মানের ব্যাংকের স্বীকৃতির সুবাদে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু থেকেই অনেক সাড়া ফেলেছিল। আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বেড়েই চলেছে, যা সফলতার মূলমন্ত্র। তবে শুরুতে কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কিন্তু গ্রাহক যখন লেনদেন শুরু করে তখন তাঁদের ধারণাই পাল্টে ফেলেন। মানুষের আস্থার শক্তি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জন্য জাদুর ছোঁয়ায় পরিণত হয়েছে। আমাদের অনন্য সেবাই আমানত সংগ্রহ ও রেমিট্যান্সে ইসলামী ব্যাংক শীর্ষস্থান অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।

আজকের পত্রিকা: এই সেবার অগ্রগতির মূল্যায়ন কীভাবে দেখছেন?
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই ইসলামী ব্যাংক ঢাকা জেলার সাভারের বিরুলিয়ায় প্রথম আউটলেট উদ্বোধনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাংকের প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এই কার্যক্রমে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরেই আউটলেট বৃদ্ধি করা হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের আগ্রহ ও নির্দেশনা, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং জোন ও শাখাপ্রধানদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০২৩ সালে ব্যাংকের মোট আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৭১টি। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ মোট ৪৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৬টি হিসাব খোলা হয়। এ সময় প্রাপ্ত আমানতের পরিমাণ ৩ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ হাজার ৩০৫ কোটি টাকার স্থিতি দাঁড়িয়েছে।

আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মান কোন পর্যায়ে? 
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: এজেন্ট ব্যাংকিং নিঃসন্দেহে গ্রাহকবান্ধব। চার্জ বা সেবামাশুলের দিক থেকে সস্তা ও যৌক্তিক। গ্রাহক চার্জ পরিশোধ করে এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করতে পারছেন। ইউটিলিটিসহ নানা বিল পরিশোধ এখন হাতের মুঠোয়। সামান্য পরিমাণ চার্জ প্রদান করে বিইএফটিএন, আরটিজিএস এবং এসপিএসিবির মাধ্যমে সহজেই ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ স্থানান্তর করতে পারছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সারা দেশে রেমিট্যান্সের অর্থ তোলা যাচ্ছে। এ জন্য গ্রাহককে ব্যাংকের শাখায় যেতে হয় না। এ সেবা সেন্ট মার্টিন, মনপুরা দ্বীপ এবং উড়ির চরেও পৌঁছেছে। শুধু অনলাইন চার্জের ক্ষেত্রে হাজারে ১ টাকা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও কম নেওয়া হয়। অনলাইন ডিপোজিটের পরিমাণ যত বেশি চার্জ তত কম। বলা যায়, সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবার নাম এজেন্ট ব্যাংকিং।

প্রবাসী গ্রাহকের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। প্রতারণামূলক কার্যকলাপ রোধে নির্বাচন কমিশন সার্ভারের সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাইসহ গ্রাহক শনাক্তকরণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজকের পত্রিকা: ব্যাংকের সাধারণ শাখার মতো এজেন্ট ব্যাংকের সেবা কি সমান? 
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: হিসাব খোলা, টাকা জমা ও উত্তোলন, ক্লিয়ারিং চেক ও ঋণের আবেদন গ্রহণ, বিতরণ ও কিস্তি সংগ্রহ, রেমিট্যান্সের অর্থ প্রদান, বিদ্যুৎ বিল জমা, ভাতা বিতরণ, অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স জানা ও সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রদান, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা, চেক বই, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সুবিধাসহ দৈনিক লেনদেনে ব্যাংক ও এজেন্টের সেবায় কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সেবার মান উন্নত হয়েছে। 

আজকের পত্রিকা: দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ভূমিকা কী? 
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৩ হাজারের অধিক উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি এজেন্ট ব্যাংকের আউটলেট প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশি হওয়ায় কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এসব মানুষের আয়ের ওপর নির্ভর করছে তাঁদের পরিবার। বলা যায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এজেন্ট ব্যাংকিং। 

আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মান ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত?
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই এজেন্ট বাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ব্যাংকগুলো সরাসরি যুক্ত থাকায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মান ভালোর দিকে যাচ্ছে। এজেন্ট ব্যাংকিং প্রসারে সর্বস্তরের জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে সচেতনতা বৃদ্ধি চলমান রয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিকের ব্যাংক হিসাব খোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রায় ৪৪ লাখ হিসাব খোলা হয়েছে। ২০২৪ সালের তা ৫৫ লাখ করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশীয় গ্রাহক সেবার মানকে গতিশীল করার পাশাপাশি প্রবাসী গ্রাহকের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। প্রতারণামূলক কার্যকলাপ রোধে নির্বাচন কমিশন সার্ভারের সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাইসহ গ্রাহক শনাক্তকরণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের চ্যালেঞ্জ রয়েছে কি না? 
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: এজেন্ট ব্যাংকিং মূল ব্যাংকিংয়ের জন্য সহায়ক একটি পদক্ষেপ। ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তা এজেন্ট আউটলেটের কার্যক্রম তদারকির জন্য নিয়োজিত থাকেন। এ ছাড়া শাখাপ্রধান সময়ে সময়ে এজেন্ট আউটলেট পরিদর্শন করেন। শাখার মাধ্যমেও প্রধান কার্যালয় প্রতি মাসে এজেন্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকেন। ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিবিড় তদারকির পাশাপাশি গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ঝুঁকি কমে আসছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিবিএসের জরিপ: দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা ও সবজির উৎপাদন বেড়েছে

  • ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার টন।
  • পেঁয়াজ ৩ লাখ ৪ হাজার টন ও টমেটোর উৎপাদন বেড়েছে ৪৭ হাজার টন।
  • সরিষার উৎপাদন বেড়েছে ২৬ হাজার টন।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৪২
তাজা সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতা। গতকাল রাজধানীর পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারে। ছবি: আজকের পত্রিকা
তাজা সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতা। গতকাল রাজধানীর পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারে। ছবি: আজকের পত্রিকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবিএসের কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শীতকালীন ভুট্টার আবাদ ও ফলন উভয়ই বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার উৎপাদন ছিল প্রায় ৪২ লাখ ৪৬ হাজার টন, সেখানে গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টনে।

কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টা ও সবজিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে ডাল ও কিছু তেলবীজে উৎপাদন কমার পেছনে আবহাওয়া, জমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে।

জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’

সরিষা-সয়াবিনে অগ্রগতি, ডালে উদ্বেগ

বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তেলবীজের মধ্যে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন ছিল প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টন, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৬৪ লাখ ৪ হাজার টনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে একরপ্রতি ফলনও বেড়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষেও উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সময়ে বিগত অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪৩১ টন, যা আগের বছর উৎপাদিত হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ টন।

ডালজাতীয় ফসলে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ছোলা, মসুর ও মটরশুঁটির আবাদি জমি ও মোট উৎপাদন কমেছে; বিশেষ করে মসুর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মসুর ডালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে কমে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টনে এসেছে।

মসুর ডাল কমলেও মুগ ডালের আবাদ ও উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক বছরে মুগ ডালের আবাদ বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ডালজাতীয় শস্যের আবাদ হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ একর জমিতে, যেখানে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৯ টনে।

সবজিতে উল্লম্ফন

সবজি উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উভয় মৌসুমে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম ও শাকজাতীয় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, শুধু টমেটোর উৎপাদনই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগের বছর ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৭ টন।

ফল, আখ ও তালজাতীয় ফসল

বিগত অর্থবছরে ফলের কলা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা ও তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। চিনিজাতীয় ফসলের মধ্যে আখের উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে খেজুর ও তালের রস এবং ফলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। এসব ফসলের ক্ষেত্রে ফলধারী গাছপ্রতি ফলন ধরে উৎপাদন হিসাব করা হয়েছে।

তুলা চাষ

চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা চাষের জমি উল্টো কমছে। এক বছরের ব্যবধানে তুলা আবাদি জমি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তুলা ও তুলাজাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৮৪ একর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৩ একরে। অর্থাৎ এক বছরে তুলা চাষের জমি কমেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০ একর।

সার্বিক বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা জোরদার করলে কৃষকেরা এসব ফসল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিপিআইয়ের সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী, মহাসচিব সাফির রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিপিআইয়ের সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী, মহাসচিব সাফির রহমান

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি ব্রিডার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. সাফির রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম-কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মোট ৫৭৪ জন ভোট দেন।

সহসভাপতি হিসেবে ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের সিইও মো. আসাদুজ্জামান ও খান অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টের প্রোপ্রাইটর মো. সৈয়দুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এনার্জি টেকনোলজির প্রোপ্রাইটর মোস্তফা জাহান, যুগ্ম মহাসচিব পদে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও অঞ্জন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে গাজী নূর আহাম্মাদ নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন শাহ ফাহাদ হাবিব, মিজানুর রহমান মিন্টু, রাশিদ আহামাদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, খায়রুল বাসার সাগর, ফয়েজ রাজা চৌধুরী, মো. সালাউদ্দিন মুন্সী, মো. সোলেমান কবীর, মো, ইমরান হোসাইন ও নাবিল আহামেদ।

নবনির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘খামারিদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করে যেতে চাই। পোলট্রি খাতকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারি, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে পোলট্রি শিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটিও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন দেশের পোলট্রি খাতের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও টেকসই বিকাশে নিবেদিত একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। যেখানে খামারি, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সুষ্ঠু নীতিমালা ও মানসম্মত উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পের অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী দুই বছর পোলট্রি খাতের দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্যাব ও বিএসটিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ক্যাব ও বিএসটিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।

ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থ্রি-হুইলারের লাইসেন্স ও রুট পারমিটের নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির গতি বাড়বে: সিপিডি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
থ্রি-হুইলারের লাইসেন্স ও রুট পারমিটের নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির গতি বাড়বে: সিপিডি

দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে নীতিমালা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে থ্রি-হুইলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনীতির গতি আরও বেগবান হবে।

আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টাডি অন ইন্টিগ্রিটিংস ইলেকট্রনিক থ্রি-হুইলার ইনটু ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়েফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির প্রোগ্রাম সহযোগী মো. খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে লাখ লাখ যানবাহন চলে। কিন্তু নিবন্ধিত আছে মাত্র সাড়ে ২২ হাজার। এর বাইরে থ্রি-হুইলার রিকশা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেবা নিচ্ছেন ১১২ কোটি মানুষ, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এত বড়সংখ্যক যানের রেজিস্ট্রেশন নেই। যারা চালান, তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এতে দক্ষতা বাড়ছে না। মুখের কথায় চলে এসব যান। যদি প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়, তখন একটা আয় পাবে সরকার। আবার নীতিমালার কারণে ক্ষতি কমবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আয় বাড়বে। যার বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।

খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া লাখ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। এই গণপরিবহন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে চলছে। এটার সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। স্ট্রাকচার থাকতে হবে। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক যান হওয়ায় পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কীভাবে কার অনুমোদন নিয়ে চলবে, নির্ধারণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনা জরুরি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি দিতে হবে ৷ তখন এলোমেলো চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। মানুষ উন্নত সেবা পাবে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের যানের প্রায় ৪০ লাখ চালক, তাঁদের পরিবারসহ বিশাল জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী। তাঁদের রোড নেটওয়ার্ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সেফটি, এয়ার কোয়ালিটির ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও নীতিমালা জরুরি।

অনুষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা; বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা; প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করা; ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা, জব্দ গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া; চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করা এবং চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত