ইউনিয়ন ব্যাংকের সেই ১৯ কোটি টাকার হিসাব মেলানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ৩৫

খোঁজ মিলেছে ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট থেকে ‘উধাও’ হয়ে যাওয়া ১৯ কোটি টাকার। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দলের উপস্থিতিতেই সেই টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আজ সকালে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে ইউনিয়ন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হাসান ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, ব্যাংক লেনদেন সময় পার হওয়ার পর একজন ভিআইপি গ্রাহককে ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি ব্যাংকিং নিয়মের কিছুটা লঙ্ঘন হলেও একটি চলমান ইস্যু। সব ব্যাংকেই গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতে এমন লেনদেন হয়।

তবে কে সেই ভিআইপি গ্রাহক ও এই লেনদেনের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাসান ইকবাল।

গতকাল বুধবার এ ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা তাঁদের ব্যাখ্যা জানাতে চিঠি দিয়েছি। যেহেতু ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখায় সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিং নেই তাই নির্দিষ্ট সময়ের পরে আর লেনদেন সম্ভব ছিল না। তাঁদের জবাব পেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি খাতের ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখায় পরিদর্শনে গিয়ে ব্যাংকটির ভল্টের হিসাবে ১৯ কোটি টাকার গরমিল পান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। কাগজপত্রে ওই শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যায় ১২ কোটি টাকা। বাকি ১৯ কোটি টাকার ঘাটতি সম্পর্কে ওই শাখার কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে পরিদর্শক দলকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা।

ব্যাংকিং নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের ভল্টে টাকার গরমিল থাকলে তা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হয়। কিন্তু খবরটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন ব্যাংক কাছের থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত