নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যে ব্যাপক ভেজালের বিষয়টি কারও অজানা নয়। এমন প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করল ফারগো প্রাইভেট লিমিটেড।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদুল এইচ খান। উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এক ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর খাদ্য ও কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তিতে নেদারল্যান্ডস বিশ্বসেরা। এ কারণে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে এ যৌথ-উদ্যোগ। এই উদ্যোগ খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেসেবিলিটি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এই যৌথ উদ্যোগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্য রপ্তানি কার্যক্রমকেও সমৃদ্ধ করবে।
উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বে চল্লিশটির বেশি দেশে নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং শতভাগ রাসায়নিক ও বিষমুক্ত চাষাবাদ নিয়ে কাজ করা নেদারল্যান্ডসের সলিদারিদাদ এবং সুইজারল্যান্ডের সিনজেনটা ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশিক্ষিত বাংলাদেশি কৃষকদের কাছ থেকে ফারগো ফল ও শাক-সবজি সংগ্রহ করে। এ ছাড়া, দেশীয় সংস্থা পিকেএসএফ এবং ইফাদ, ইউএসএআইডি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত পরিবেশবান্ধব কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যকর শুঁটকি, মসলা এবং অন্যান্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করে। উদ্যোক্তারা আরও জানান, ফারগো একটি বিশেষায়িত ও জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। এসব রোগ সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। ক্যানসার, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগ, টাইপ–২ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি অসংক্রামক রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর খাবারের পাঁচটি উপাদানের কথা বলে। এগুলো হলো হোল গ্রেইন বা শস্য দানা, কোয়ালিটি প্রোটিন, প্ল্যান্ট-বেজড অয়েল, ফল ও শাকসবজি ও নিরাপদ পানি। সুপারিশকৃত খাদ্যপণ্য নিশ্চিত করতে ফারগো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে মানসম্মত জীবন নিশ্চিত করাই ফরগোর লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ায় রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩৬ টিরও বেশি খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে বলে জানান হামিদুল হক।
নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে শুরু হওয়া আমাদের এই যৌথ প্রতিষ্ঠানকে আমরা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। আমরা ইউরোপের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করব। বাংলাদেশে এই খাতে আরও বিনিয়োগ আনতে চাই। আমরা চাই বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুনভাবে তুলে ধরবে।’
বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যে ব্যাপক ভেজালের বিষয়টি কারও অজানা নয়। এমন প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করল ফারগো প্রাইভেট লিমিটেড।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদুল এইচ খান। উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এক ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর খাদ্য ও কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তিতে নেদারল্যান্ডস বিশ্বসেরা। এ কারণে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে এ যৌথ-উদ্যোগ। এই উদ্যোগ খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেসেবিলিটি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এই যৌথ উদ্যোগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্য রপ্তানি কার্যক্রমকেও সমৃদ্ধ করবে।
উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বে চল্লিশটির বেশি দেশে নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং শতভাগ রাসায়নিক ও বিষমুক্ত চাষাবাদ নিয়ে কাজ করা নেদারল্যান্ডসের সলিদারিদাদ এবং সুইজারল্যান্ডের সিনজেনটা ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশিক্ষিত বাংলাদেশি কৃষকদের কাছ থেকে ফারগো ফল ও শাক-সবজি সংগ্রহ করে। এ ছাড়া, দেশীয় সংস্থা পিকেএসএফ এবং ইফাদ, ইউএসএআইডি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত পরিবেশবান্ধব কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যকর শুঁটকি, মসলা এবং অন্যান্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করে। উদ্যোক্তারা আরও জানান, ফারগো একটি বিশেষায়িত ও জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। এসব রোগ সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। ক্যানসার, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগ, টাইপ–২ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি অসংক্রামক রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর খাবারের পাঁচটি উপাদানের কথা বলে। এগুলো হলো হোল গ্রেইন বা শস্য দানা, কোয়ালিটি প্রোটিন, প্ল্যান্ট-বেজড অয়েল, ফল ও শাকসবজি ও নিরাপদ পানি। সুপারিশকৃত খাদ্যপণ্য নিশ্চিত করতে ফারগো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে মানসম্মত জীবন নিশ্চিত করাই ফরগোর লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ায় রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩৬ টিরও বেশি খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে বলে জানান হামিদুল হক।
নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে শুরু হওয়া আমাদের এই যৌথ প্রতিষ্ঠানকে আমরা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। আমরা ইউরোপের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করব। বাংলাদেশে এই খাতে আরও বিনিয়োগ আনতে চাই। আমরা চাই বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুনভাবে তুলে ধরবে।’
বাংলাদেশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি, যা ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, পুনরায় পর্যালোচনা করতে সহায়তার জন্য একটি খ্যাতিমান আইনি এবং তদন্ত সং
২ ঘণ্টা আগেশুরুতেই থমকে গেছে এস আলমের অর্থ পাচারের অনুসন্ধান। এক মাসের বেশি সময় ধরে তাঁদের অর্থ পাচার তদন্তের কাজ সিআইডিতে থমকে রয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে স্বয়ং এস আলম গ্রুপের প্রভাব ও আধিপত্য। এতে সহযোগিতা করছে প্রভাবশালী একটি মহল। অনুসন্ধানে ওই মহলের ইচ্ছার গুরুত্ব না দেওয়ায় বদলি করা হয়েছে অর্থ পাচার...
৪ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন
৪ ঘণ্টা আগেইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারাতেই আছে। চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ইউরোস্টেটের তথ্যমতে, এ সময় ইউরোপের বাজারগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর একই সময় ছি
৪ ঘণ্টা আগে