রিক্তা রিচি, ঢাকা
ঈদ মানেই ঘরে ঘরে মিষ্টির ধুম। ঈদ মানেই আনন্দের জোয়ার। ঈদের দিনগুলোতে; অর্থাৎ, তিন দিন মোটামুটি সবার ঘরে মিষ্টিজাতীয় খাবার, মাংস-পোলাও, মিষ্টান্ন ইত্যাদি থাকে। কেউ কেউ ঘরে মিষ্টি বানান। আবার কেউ কেউ অন্যের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে কাজ করেন। সোনিয়া বিনতে সুলতান ও ফাহিমা খান এমনই দুজন নারী উদ্যোক্তা, যাঁরা সুস্বাদু মিষ্টি ও সন্দেশ তৈরি ও বিক্রি করেন।
সোনিয়া বিনতে সুলতান
পাবনার মেয়ে সোনিয়া বিনতে সুলতান। গত দেড় বছর ধরে কাজ করছেন প্যারা সন্দেশ ও ইলিশ পেটি সন্দেশ নিয়ে। আনিসা’স ক্রিয়েশন নামে তাঁর একটি ফেসবুক পেজ আছে। করোনাকালে এই পেজ দিয়েই ব্যবসা করে আয় করেছেন তিনি। তবে সোনিয়া বিনতে সুলতানের উদ্যোক্তা জীবন শুরু হয়েছিল থ্রিপিস, বিছানার চাদর—এসব বিক্রির মাধ্যমে। তবে পরে এসবের বাইরে তিনি ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করেন। একসময় সিদ্ধান্ত নেন, পাবনার বিখ্যাত কিছু খাবার তৈরি করবেন বিক্রির জন্য। যেই ভাবা, সেই কাজ। এরপর থেকেই শুরু করেন প্যারা সন্দেশ ও ইলিশ পেটি সন্দেশ তৈরির কাজ।
সোনিয়া বিনতে সুলতান বলেন, ‘আমার উদ্যোগ শুরু করি ১৫ হাজার টাকা নিয়ে। শুরুর দিকে যেহেতু তেমন একটা পরিচিতি ছিল না, আবার অনেকে অনলাইনে ভেজাল পণ্য কিনে প্রতারিত হয়েছেন, তাই শুরুর দিকে কাছের মানুষ ও আত্মীয়রাই আমার কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনতে শুরু করেন। শুরুর দিকে অপরিচিতদের কাছে অতটা বিক্রিও হতো না। পরে আমি মেলায় অংশগ্রহণ শুরু করি। নারায়ণগঞ্জের কদমতলী নারী উদ্যোক্তা মেলায় গিয়ে ব্যাপক সাড়া পাই। তারপর থেকে সিরিয়াসভাবেই কাজ করছি। এখন বিক্রি খুব ভালো।’
সোনিয়া বিনতে সুলতানের স্বামী পেশায় একজন প্রভাষক। বরাবরই পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন সোনিয়া। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে খুব একটা বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁকে। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে আমি উদ্যোক্তা হতে পারতাম না।’
তবে সোনিয়া অনলাইন ব্যবসার অনুপ্রেরণা পান মূলত তাঁর মামির কাছ থেকে। তিনিও অনলাইনে ব্যবসা করেন। খাদ্যের গুণমান ভালো রাখার জন্য দক্ষ কারিগর দিয়ে কাজ করান সোনিয়া।
আনিসা’স ক্রিয়েশনে এক কেজি ইলিশ পেটি সন্দেশের দাম ৫৫০ টাকা এবং প্যারা সন্দেশের দাম ৬০০ টাকা।
ফাহিমা খান
রসগোল্লা, মালাই চপ, রসমলাই, শাহি জর্দা, চমচম, ছানার মিষ্টি, স্পঞ্জসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করেন ফাহিমা খান। তাঁর ফেসবুক পেজের নাম ‘মমস ফুড হাউজ’। বড় মেয়ের নাম দিয়ে খাবারের পেজ খোলেন তিনি। ফাহিমা খানের অনলাইনে মিষ্টি বিক্রির শুরুটা হয় ২০২১ সালে। শুরুতে আচার বানিয়ে বিক্রি করতেন তিনি। মায়ের কাছ থেকে শিখেছিলেন আচার বানানোর বিভিন্ন ধাপ। তিনি ও তাঁর মেয়ে মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন বলে এরপর মিষ্টি বানানো শুরু করেন।
ফাহিমা খান জানান, পেজ খোলার পর আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যরাই প্রথম খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হলো ই-কমার্স এক্সপ্রেস বাংলাদেশ গ্রুপ। গ্রুপের মাধ্যমে অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। বিক্রি বাড়াতে গ্রুপটি বেশ সহায়তা করে ফাহিমা খানকে।
ফাহিমার শুরুটা হয়েছিল মাত্র ২ হাজার টাকা দিয়ে। ধীরে ধীরে পুঁজি বাড়তে থাকে তাঁর। সেই সঙ্গে বাড়ে আয়। এখন নিজেকে বেশ স্বাবলম্বী মনে করেন তিনি। মিষ্টি ছাড়াও তাঁর পেজে আছে আচার, বিভিন্ন রকম মসলা ও ঘরোয়া খাবার।
ফাহিমা মনে করেন, একজন নারী যখন উদ্যোক্তা হন, তখন তাঁর বড় সহযোগী হলো তাঁর পরিবার। তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ি থেকে প্রচুর সহযোগিতা পেয়েছেন। তাঁর স্বামী সব সময় তাঁকে সাপোর্ট করেছেন।
ঈদ মানেই ঘরে ঘরে মিষ্টির ধুম। ঈদ মানেই আনন্দের জোয়ার। ঈদের দিনগুলোতে; অর্থাৎ, তিন দিন মোটামুটি সবার ঘরে মিষ্টিজাতীয় খাবার, মাংস-পোলাও, মিষ্টান্ন ইত্যাদি থাকে। কেউ কেউ ঘরে মিষ্টি বানান। আবার কেউ কেউ অন্যের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে কাজ করেন। সোনিয়া বিনতে সুলতান ও ফাহিমা খান এমনই দুজন নারী উদ্যোক্তা, যাঁরা সুস্বাদু মিষ্টি ও সন্দেশ তৈরি ও বিক্রি করেন।
সোনিয়া বিনতে সুলতান
পাবনার মেয়ে সোনিয়া বিনতে সুলতান। গত দেড় বছর ধরে কাজ করছেন প্যারা সন্দেশ ও ইলিশ পেটি সন্দেশ নিয়ে। আনিসা’স ক্রিয়েশন নামে তাঁর একটি ফেসবুক পেজ আছে। করোনাকালে এই পেজ দিয়েই ব্যবসা করে আয় করেছেন তিনি। তবে সোনিয়া বিনতে সুলতানের উদ্যোক্তা জীবন শুরু হয়েছিল থ্রিপিস, বিছানার চাদর—এসব বিক্রির মাধ্যমে। তবে পরে এসবের বাইরে তিনি ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করেন। একসময় সিদ্ধান্ত নেন, পাবনার বিখ্যাত কিছু খাবার তৈরি করবেন বিক্রির জন্য। যেই ভাবা, সেই কাজ। এরপর থেকেই শুরু করেন প্যারা সন্দেশ ও ইলিশ পেটি সন্দেশ তৈরির কাজ।
সোনিয়া বিনতে সুলতান বলেন, ‘আমার উদ্যোগ শুরু করি ১৫ হাজার টাকা নিয়ে। শুরুর দিকে যেহেতু তেমন একটা পরিচিতি ছিল না, আবার অনেকে অনলাইনে ভেজাল পণ্য কিনে প্রতারিত হয়েছেন, তাই শুরুর দিকে কাছের মানুষ ও আত্মীয়রাই আমার কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনতে শুরু করেন। শুরুর দিকে অপরিচিতদের কাছে অতটা বিক্রিও হতো না। পরে আমি মেলায় অংশগ্রহণ শুরু করি। নারায়ণগঞ্জের কদমতলী নারী উদ্যোক্তা মেলায় গিয়ে ব্যাপক সাড়া পাই। তারপর থেকে সিরিয়াসভাবেই কাজ করছি। এখন বিক্রি খুব ভালো।’
সোনিয়া বিনতে সুলতানের স্বামী পেশায় একজন প্রভাষক। বরাবরই পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন সোনিয়া। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে খুব একটা বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁকে। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে আমি উদ্যোক্তা হতে পারতাম না।’
তবে সোনিয়া অনলাইন ব্যবসার অনুপ্রেরণা পান মূলত তাঁর মামির কাছ থেকে। তিনিও অনলাইনে ব্যবসা করেন। খাদ্যের গুণমান ভালো রাখার জন্য দক্ষ কারিগর দিয়ে কাজ করান সোনিয়া।
আনিসা’স ক্রিয়েশনে এক কেজি ইলিশ পেটি সন্দেশের দাম ৫৫০ টাকা এবং প্যারা সন্দেশের দাম ৬০০ টাকা।
ফাহিমা খান
রসগোল্লা, মালাই চপ, রসমলাই, শাহি জর্দা, চমচম, ছানার মিষ্টি, স্পঞ্জসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করেন ফাহিমা খান। তাঁর ফেসবুক পেজের নাম ‘মমস ফুড হাউজ’। বড় মেয়ের নাম দিয়ে খাবারের পেজ খোলেন তিনি। ফাহিমা খানের অনলাইনে মিষ্টি বিক্রির শুরুটা হয় ২০২১ সালে। শুরুতে আচার বানিয়ে বিক্রি করতেন তিনি। মায়ের কাছ থেকে শিখেছিলেন আচার বানানোর বিভিন্ন ধাপ। তিনি ও তাঁর মেয়ে মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন বলে এরপর মিষ্টি বানানো শুরু করেন।
ফাহিমা খান জানান, পেজ খোলার পর আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যরাই প্রথম খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হলো ই-কমার্স এক্সপ্রেস বাংলাদেশ গ্রুপ। গ্রুপের মাধ্যমে অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। বিক্রি বাড়াতে গ্রুপটি বেশ সহায়তা করে ফাহিমা খানকে।
ফাহিমার শুরুটা হয়েছিল মাত্র ২ হাজার টাকা দিয়ে। ধীরে ধীরে পুঁজি বাড়তে থাকে তাঁর। সেই সঙ্গে বাড়ে আয়। এখন নিজেকে বেশ স্বাবলম্বী মনে করেন তিনি। মিষ্টি ছাড়াও তাঁর পেজে আছে আচার, বিভিন্ন রকম মসলা ও ঘরোয়া খাবার।
ফাহিমা মনে করেন, একজন নারী যখন উদ্যোক্তা হন, তখন তাঁর বড় সহযোগী হলো তাঁর পরিবার। তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ি থেকে প্রচুর সহযোগিতা পেয়েছেন। তাঁর স্বামী সব সময় তাঁকে সাপোর্ট করেছেন।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন জোরদারে বাংলাদেশকে ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের ‘ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’। এ লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ও ওপেক ফান্ডের মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে বাংলাদেশের
৪০ মিনিট আগেকৃষিনির্ভর বাংলাদেশে সবচেয়ে অবহেলিত ও শোষিত পেশাজীবী হলো কৃষক। আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির মধ্যেও তারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত। ফড়িয়া, মধ্যস্বত্বভোগী ও বাজার সিন্ডিকেটের হাতে পড়ে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বাড়লেও কৃষকের ভাগ্যে জোটে সর্বনিম্ন দাম।
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ফাউন্ডেশনটি ৯টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১৩টি এনজিওকে সহায়তা দিচ্ছে। যেসব কার্যক্রমকে ফাউন্ডেশন পৃষ্ঠপোষকতা করে, তার মধ্যে রয়েছে—নিরাপদ আবাসন, অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ এবং ভোকেশনাল শিক্ষা উদ্যোগ ইত্যাদি। বিগত দুই দশকের অধিক সময় ধরে এমিরেটস এয়ারলাইনস ফাউন্ডেশন...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই) তাদের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা তথ্য ও অভিযোগের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। কতিপয় গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া পেজে প্রকাশিত সব মিথ্যা দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২১ এপ্রিল এমজিআই তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত...
৮ ঘণ্টা আগে