মন্টি বৈষ্ণব
পরিবারের বোনদের মধ্যে সবার ছোট সুমা আক্তার। পরিবারের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পড়ালেখা বেশি দূর করতে পারেননি। কিন্তু তাই বলে পরিবারের দায়িত্ব নিতে ভোলেননি। বাবা মারা যাওয়ার পর পুরো পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়েছিল তাঁর কাঁধে। ফলে নিজের স্বপ্নগুলোকে মাটিচাপা দিয়ে পরিবার ও ছোট ভাইদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে হয় তাঁকে। ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু করোনায় সব ওলট-পালট। আয়ের উপায়টি হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু মনোবল নয়। ফের উঠে দাঁড়ান। এবার উদ্যোক্তা হিসেবে।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে থমকে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। এ সময়ে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ে দেশের বেশির ভাগ মানুষ। সুমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। চাকরি চলে যায়। তাঁর পরিবার পড়ে অর্থনৈতিক সংকটে। অন্য কোনো উপায় না দেখে সুমা আক্তার জমানো ৬৫০০ টাকার পুঁজি নিয়ে মাত্র ২০ বছর বয়সেই শুরু করেন উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা। জন্ম হয় অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘দেশি রঙিলা’-এর।
‘দেশি রঙিলা’-এর কর্ণধার সুমা আক্তারের কাছে তাঁর লড়াইয়ে কাহিনিটা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব যখন কাঁধের ওপর এসে পড়ে, বয়স তখন তুচ্ছ বিষয়। আমার অনলাইন ব্যবসার কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ২৩ জুন। এর আগে আমি একটা শো-রুমে চাকরি করতাম। সবকিছু ভালো চললেও হঠাৎ করেই করোনার কারণে আমার চাকরিটা চলে যায়। এর পর দীর্ঘদিন আমি বাসায় বসেছিলাম। সে সময় ভাবতাম কিছু একটা করা উচিত, কিন্তু করোনার সময় কী যে করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছাটা অনেক ছোট থেকেই ছিল। একপর্যায়ে এটা-সেটা চিন্তা করতে করতে অনলাইনে ব্যবসার কথা মাথায় আসে।’
বলা যায়, করোনার কারণে সৃষ্ট দুর্বিপাকের কারণেই নিজে কিছু করার কথা মাথায় আসে সুমা আক্তারের। করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটকেই সুযোগে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেন সুমা। কিন্তু চ্যালেঞ্জের শেষ ছিল না। বললেন, ‘যেহেতু আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমাদের দেশে মধ্যবিত্তের জন্য পরিবারের আর্থিক সংকট অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। কষ্টের সেই সময়টাতে অল্প কিছু টাকাই আমাদের পরিবারের জন্য ছিল অনেক কিছু। তবুও পরিবারের কথা চিন্তা করে নিজের জমানো ৬৫০০ টাকা দিয়ে আমি আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু করি। এখন এই প্রতিষ্ঠানের আয় দিয়েই সংসারের জরুরি খরচগুলো সামাল দেওয়া যাচ্ছে।’
সুমা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন দেশীয় থ্রি পিস, বিছানার চাদর, সিজনাল জামদানি শাল ও উলের শাল নিয়ে। যেকোনো কাজেই লড়াই করে বেঁচে থাকতে চান সুমা। নিজের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে সুমা বলেন, ‘আমার কাছে সব সময়ই মনে হতো চাকরি মানে অন্যের অধীনে কাজ করা, আর উদ্যোক্তা মানে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারা। তার ওপর আবার আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। আগে যখন শো-রুমের চাকরি করতাম, সেখানে দাঁড়িয়ে কাজ করাটা আমার জন্য একটু কষ্টকর ছিল। তাই উদ্যোক্তা হওয়াকে আমি সবচেয়ে ভালো কাজ মনে করি। বিশেষ করে, এখন আমাদের দেশে যত সংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে ঘুরছেন, সে পরিমাণে তো কর্মসংস্থান নেই। সে ক্ষেত্রে বেকারত্ব দূর করার জন্য উদ্যোক্তার জীবন অনেক ভালো।’
বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। একজন নারী চাইলে যেকোনো কিছু করতে পারে। তবে উদ্যোক্তা মানেই শত শত বাধার সম্মুখীন হওয়া, প্রতিনিয়ত লড়াই করে টিকে থাকা। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সুমা বলেন, ‘আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা একজন নারী কিছু একটা করার কথা চিন্তা করলেই হাজার কটু কথা শোনান। আমিও শুরুতে অনেক কটু কথার শিকার হয়েছি। কিন্তু, তাদের সেই কথাগুলোকে আমি গুরুত্ব না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছি। একজন নারী উদ্যোক্তা হবে, আর সে যেকোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে না, তা হওয়ার নয়। তাই বলব উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে ঠিকে থাকতে হলে সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। নিজের ইচ্ছাকে সবার আগে প্রাধান্য দিন, আর ধৈর্য ধরতে শিখুন। দেখবেন আপনি সফল হবেন।’
সুমার পরিবারে আছেন মোট পাঁচ সদস্য। বাবা মারা গেছেন নয় বছর আগে। মা একজন গৃহিণী। দুই ভাই পড়াশোনা করছেন, একজন উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে, অন্যজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। সুমা উদ্যোক্তা জীবনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন পরিবারের এই মানুষগুলোর কাছ থেকেই। সুমার মা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন এই কাজে। বলা যায়, পরিবারের সহযোগিতায় আজ সুমা সাফল্যের এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছেন।
স্বপ্নের বিষয়ে ‘দেশি রঙিলা’-এর স্বত্বাধিকারী সুমা আক্তার বলেন, ‘আমি খুব বেশি কিছু চাই না। আমার স্বপ্ন ভবিষ্যতে আমার নিজের একটা দোকান হবে। যেখানে ক্রেতারা জামার কাপড় কিনবেন, সেটা আবার সেলাইয়ের জন্যও দিয়ে যাবেন। আর সেই দোকানে ১০টা মানুষের কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি হবে।’
পরিবারের বোনদের মধ্যে সবার ছোট সুমা আক্তার। পরিবারের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পড়ালেখা বেশি দূর করতে পারেননি। কিন্তু তাই বলে পরিবারের দায়িত্ব নিতে ভোলেননি। বাবা মারা যাওয়ার পর পুরো পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়েছিল তাঁর কাঁধে। ফলে নিজের স্বপ্নগুলোকে মাটিচাপা দিয়ে পরিবার ও ছোট ভাইদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে হয় তাঁকে। ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু করোনায় সব ওলট-পালট। আয়ের উপায়টি হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু মনোবল নয়। ফের উঠে দাঁড়ান। এবার উদ্যোক্তা হিসেবে।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে থমকে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। এ সময়ে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ে দেশের বেশির ভাগ মানুষ। সুমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। চাকরি চলে যায়। তাঁর পরিবার পড়ে অর্থনৈতিক সংকটে। অন্য কোনো উপায় না দেখে সুমা আক্তার জমানো ৬৫০০ টাকার পুঁজি নিয়ে মাত্র ২০ বছর বয়সেই শুরু করেন উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা। জন্ম হয় অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘দেশি রঙিলা’-এর।
‘দেশি রঙিলা’-এর কর্ণধার সুমা আক্তারের কাছে তাঁর লড়াইয়ে কাহিনিটা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব যখন কাঁধের ওপর এসে পড়ে, বয়স তখন তুচ্ছ বিষয়। আমার অনলাইন ব্যবসার কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ২৩ জুন। এর আগে আমি একটা শো-রুমে চাকরি করতাম। সবকিছু ভালো চললেও হঠাৎ করেই করোনার কারণে আমার চাকরিটা চলে যায়। এর পর দীর্ঘদিন আমি বাসায় বসেছিলাম। সে সময় ভাবতাম কিছু একটা করা উচিত, কিন্তু করোনার সময় কী যে করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছাটা অনেক ছোট থেকেই ছিল। একপর্যায়ে এটা-সেটা চিন্তা করতে করতে অনলাইনে ব্যবসার কথা মাথায় আসে।’
বলা যায়, করোনার কারণে সৃষ্ট দুর্বিপাকের কারণেই নিজে কিছু করার কথা মাথায় আসে সুমা আক্তারের। করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটকেই সুযোগে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেন সুমা। কিন্তু চ্যালেঞ্জের শেষ ছিল না। বললেন, ‘যেহেতু আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমাদের দেশে মধ্যবিত্তের জন্য পরিবারের আর্থিক সংকট অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। কষ্টের সেই সময়টাতে অল্প কিছু টাকাই আমাদের পরিবারের জন্য ছিল অনেক কিছু। তবুও পরিবারের কথা চিন্তা করে নিজের জমানো ৬৫০০ টাকা দিয়ে আমি আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু করি। এখন এই প্রতিষ্ঠানের আয় দিয়েই সংসারের জরুরি খরচগুলো সামাল দেওয়া যাচ্ছে।’
সুমা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন দেশীয় থ্রি পিস, বিছানার চাদর, সিজনাল জামদানি শাল ও উলের শাল নিয়ে। যেকোনো কাজেই লড়াই করে বেঁচে থাকতে চান সুমা। নিজের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে সুমা বলেন, ‘আমার কাছে সব সময়ই মনে হতো চাকরি মানে অন্যের অধীনে কাজ করা, আর উদ্যোক্তা মানে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারা। তার ওপর আবার আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। আগে যখন শো-রুমের চাকরি করতাম, সেখানে দাঁড়িয়ে কাজ করাটা আমার জন্য একটু কষ্টকর ছিল। তাই উদ্যোক্তা হওয়াকে আমি সবচেয়ে ভালো কাজ মনে করি। বিশেষ করে, এখন আমাদের দেশে যত সংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে ঘুরছেন, সে পরিমাণে তো কর্মসংস্থান নেই। সে ক্ষেত্রে বেকারত্ব দূর করার জন্য উদ্যোক্তার জীবন অনেক ভালো।’
বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। একজন নারী চাইলে যেকোনো কিছু করতে পারে। তবে উদ্যোক্তা মানেই শত শত বাধার সম্মুখীন হওয়া, প্রতিনিয়ত লড়াই করে টিকে থাকা। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সুমা বলেন, ‘আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা একজন নারী কিছু একটা করার কথা চিন্তা করলেই হাজার কটু কথা শোনান। আমিও শুরুতে অনেক কটু কথার শিকার হয়েছি। কিন্তু, তাদের সেই কথাগুলোকে আমি গুরুত্ব না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছি। একজন নারী উদ্যোক্তা হবে, আর সে যেকোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে না, তা হওয়ার নয়। তাই বলব উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে ঠিকে থাকতে হলে সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। নিজের ইচ্ছাকে সবার আগে প্রাধান্য দিন, আর ধৈর্য ধরতে শিখুন। দেখবেন আপনি সফল হবেন।’
সুমার পরিবারে আছেন মোট পাঁচ সদস্য। বাবা মারা গেছেন নয় বছর আগে। মা একজন গৃহিণী। দুই ভাই পড়াশোনা করছেন, একজন উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে, অন্যজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। সুমা উদ্যোক্তা জীবনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন পরিবারের এই মানুষগুলোর কাছ থেকেই। সুমার মা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন এই কাজে। বলা যায়, পরিবারের সহযোগিতায় আজ সুমা সাফল্যের এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছেন।
স্বপ্নের বিষয়ে ‘দেশি রঙিলা’-এর স্বত্বাধিকারী সুমা আক্তার বলেন, ‘আমি খুব বেশি কিছু চাই না। আমার স্বপ্ন ভবিষ্যতে আমার নিজের একটা দোকান হবে। যেখানে ক্রেতারা জামার কাপড় কিনবেন, সেটা আবার সেলাইয়ের জন্যও দিয়ে যাবেন। আর সেই দোকানে ১০টা মানুষের কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি হবে।’
আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
১ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে শিগগিরই হবে চুক্তি। চুক্তির আওতায় বছরে ১৬ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি।
১ ঘণ্টা আগেফলজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ও ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারকেরা এখন মোট রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
২ ঘণ্টা আগে