অনলাইন ডেস্ক
টেক জায়ান্ট অ্যাপল ভারতে বেশ কিছুদিন হলো আইফোন তৈরি করছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি গত ১২ মাসে ভারতে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আইফোন তৈরি করেছে। এই পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি, যা রীতিমতো রেকর্ড। মূলত চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই ভারতে উৎপাদন বাড়াচ্ছে অ্যাপল।
এই বিষয়ে অবগত কয়েকটি সূত্র ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে, অ্যাপল এখন বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত প্রতি পাঁচটি আইফোনের মধ্যে একটি ভারতে তৈরি করে। অর্থাৎ, তাদের মোট আইফোন উৎপাদনের ২০ শতাংশই এখন ভারতে হয়। আর এই ২২ বিলিয়ন ডলারের হিসাব কারখানায় নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী করা হয়েছে, খুচরা বাজারের দামের ভিত্তিতে নয়।
এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, অ্যাপল ও তাদের সরবরাহকারীরা চীন থেকে ভারতে তাদের উৎপাদন আরও দ্রুত স্থানান্তরিত করছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় চীনের বৃহত্তম কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পরই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
ভারতে তৈরি হওয়া বেশির ভাগ আইফোনই ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপের কারখানায় সংযোজন করা হয়। এই কারখানাটি দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত। টাটা গ্রুপের ইলেকট্রনিকস উৎপাদনকারী শাখা এবং উইস্ট্রন করপোরেশন ও পেগাট্রন করপোরেশনের কার্যক্রমও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অ্যাপলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারতের প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গত ৮ এপ্রিল জানান, অ্যাপল গত অর্থবছরে (মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত) ভারত থেকে দেড় ট্রিলিয়ন রুপি বা ১৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের আইফোন রপ্তানি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টাপাল্টি শুল্কের ‘পারস্পরিক’ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে আইফোন রপ্তানি বেড়েছে। পুরো অর্থবছরেই ভারতে অ্যাপলের গড় উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্লুমবার্গ নিউজের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল মার্কিন গ্রাহকদের জন্য ভারত থেকে সরবরাহ করা আইফোনকে বেশি গুরুত্ব দেবে।
ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ইলেকট্রনিক পণ্য, যেমন—স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে পাল্টাপাল্টি শুল্কের আওতা থেকে বাদ দিয়েছে। এটি অ্যাপল এবং এনভিডিয়া করপোরেশনের মতো কোম্পানির জন্য ভালো খবর। তবে এই ছাড় ট্রাম্পের চীনের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
এর অর্থ হলো, ভারতে তৈরি আইফোনগুলোর ওপর আপাতত কোনো শুল্ক লাগবে না। শুক্রবারের ছাড়গুলো বাদ দিলে, চীনের ওপর ট্রাম্পের মোট শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা চীন থেকে সরিয়ে নিতে আরও বেশি বাধ্য হবে।
তবে প্রায় ২০০ সরবরাহকারী এবং চীনের ওপর ব্যাপক নির্ভরতার কারণে অন্য দেশে উৎপাদন স্থানান্তর করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। ট্রাম্পের ইচ্ছা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন উৎপাদন করা অ্যাপলের পক্ষে এখনই সম্ভব নয়। এর কারণ হলো, সেখানে প্রয়োজনীয় কারখানা এবং শ্রমিকদের অভাব রয়েছে।
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক প্রায়শই চীনের কর্মীদের উচ্চ দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। ২০২২ সালে ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের এক হিসাবে বলা হয়েছিল, অ্যাপলের ১০ শতাংশ উৎপাদন ক্ষমতা চীন থেকে সরাতে আট বছর সময় লাগবে।
অ্যাপল এখন ভারতে তাদের পুরো আইফোন লাইনআপ (অর্থাৎ, প্রচলিত সব মডেল) তৈরি করে, যার মধ্যে দামি টাইটানিয়াম প্রো মডেলও রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে তাদের এই উৎপাদন সাফল্যের পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অধীনে দেওয়া সরকারি ভর্তুকিও একটি কারণ।
মোদি সরকার ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের নতুন আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের উৎপাদনও বাড়াতে চাইছে। এ ছাড়া, তারা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পেও উন্নতি করতে আগ্রহী। ভারতের স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলের অংশগ্রহণ প্রায় ৮ শতাংশ। ২০২৪ অর্থবছরে ভারতে তাদের বিক্রি প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যার বেশির ভাগই এসেছে আইফোন থেকে।
টেক জায়ান্ট অ্যাপল ভারতে বেশ কিছুদিন হলো আইফোন তৈরি করছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি গত ১২ মাসে ভারতে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আইফোন তৈরি করেছে। এই পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি, যা রীতিমতো রেকর্ড। মূলত চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই ভারতে উৎপাদন বাড়াচ্ছে অ্যাপল।
এই বিষয়ে অবগত কয়েকটি সূত্র ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে, অ্যাপল এখন বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত প্রতি পাঁচটি আইফোনের মধ্যে একটি ভারতে তৈরি করে। অর্থাৎ, তাদের মোট আইফোন উৎপাদনের ২০ শতাংশই এখন ভারতে হয়। আর এই ২২ বিলিয়ন ডলারের হিসাব কারখানায় নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী করা হয়েছে, খুচরা বাজারের দামের ভিত্তিতে নয়।
এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, অ্যাপল ও তাদের সরবরাহকারীরা চীন থেকে ভারতে তাদের উৎপাদন আরও দ্রুত স্থানান্তরিত করছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় চীনের বৃহত্তম কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পরই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
ভারতে তৈরি হওয়া বেশির ভাগ আইফোনই ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপের কারখানায় সংযোজন করা হয়। এই কারখানাটি দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত। টাটা গ্রুপের ইলেকট্রনিকস উৎপাদনকারী শাখা এবং উইস্ট্রন করপোরেশন ও পেগাট্রন করপোরেশনের কার্যক্রমও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অ্যাপলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারতের প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গত ৮ এপ্রিল জানান, অ্যাপল গত অর্থবছরে (মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত) ভারত থেকে দেড় ট্রিলিয়ন রুপি বা ১৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের আইফোন রপ্তানি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টাপাল্টি শুল্কের ‘পারস্পরিক’ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে আইফোন রপ্তানি বেড়েছে। পুরো অর্থবছরেই ভারতে অ্যাপলের গড় উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্লুমবার্গ নিউজের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল মার্কিন গ্রাহকদের জন্য ভারত থেকে সরবরাহ করা আইফোনকে বেশি গুরুত্ব দেবে।
ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ইলেকট্রনিক পণ্য, যেমন—স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে পাল্টাপাল্টি শুল্কের আওতা থেকে বাদ দিয়েছে। এটি অ্যাপল এবং এনভিডিয়া করপোরেশনের মতো কোম্পানির জন্য ভালো খবর। তবে এই ছাড় ট্রাম্পের চীনের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
এর অর্থ হলো, ভারতে তৈরি আইফোনগুলোর ওপর আপাতত কোনো শুল্ক লাগবে না। শুক্রবারের ছাড়গুলো বাদ দিলে, চীনের ওপর ট্রাম্পের মোট শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা চীন থেকে সরিয়ে নিতে আরও বেশি বাধ্য হবে।
তবে প্রায় ২০০ সরবরাহকারী এবং চীনের ওপর ব্যাপক নির্ভরতার কারণে অন্য দেশে উৎপাদন স্থানান্তর করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। ট্রাম্পের ইচ্ছা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন উৎপাদন করা অ্যাপলের পক্ষে এখনই সম্ভব নয়। এর কারণ হলো, সেখানে প্রয়োজনীয় কারখানা এবং শ্রমিকদের অভাব রয়েছে।
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক প্রায়শই চীনের কর্মীদের উচ্চ দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। ২০২২ সালে ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের এক হিসাবে বলা হয়েছিল, অ্যাপলের ১০ শতাংশ উৎপাদন ক্ষমতা চীন থেকে সরাতে আট বছর সময় লাগবে।
অ্যাপল এখন ভারতে তাদের পুরো আইফোন লাইনআপ (অর্থাৎ, প্রচলিত সব মডেল) তৈরি করে, যার মধ্যে দামি টাইটানিয়াম প্রো মডেলও রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে তাদের এই উৎপাদন সাফল্যের পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অধীনে দেওয়া সরকারি ভর্তুকিও একটি কারণ।
মোদি সরকার ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের নতুন আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের উৎপাদনও বাড়াতে চাইছে। এ ছাড়া, তারা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পেও উন্নতি করতে আগ্রহী। ভারতের স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলের অংশগ্রহণ প্রায় ৮ শতাংশ। ২০২৪ অর্থবছরে ভারতে তাদের বিক্রি প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যার বেশির ভাগই এসেছে আইফোন থেকে।
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও বাংলাদেশের রপ্তানি কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি আরও বলেন, নিজেদের সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে দেশের ব্যবসায়ীদের রপ্তানি খরচ আরও কমে যাবে। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা
২৬ মিনিট আগেবাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি চুক্তি সই করেছে সরকার। গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেতেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস আগামী জুন মাস থেকে উৎপাদন বাড়াবে এমন আলোচনা চাউর হয়েছে বাজারে। আর এই আলোচনা চাউর হওয়ার পরপরই গতকাল বুধবার বিশ্ববাজারে তেলের দামে পতন হয়েছে। এদিন দর কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপরে শুল্ক কমাতে পারেন—এমন খবরে দরপতন কি
৫ ঘণ্টা আগেসরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পাওয়ার লড়াইয়ে এখন কঠিন সময় পার করছে দেশ। এক দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, অন্য দিকে বৈদেশিক মুদ্রার চাপ—সব মিলিয়ে দেশের বিনিয়োগের মাঠ যেন ক্রমেই শুষ্ক হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালে দেশে নিট এফডিআই নেমেছে মাত্র ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে...
১৩ ঘণ্টা আগে