অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের চলমান অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর থেকে মানুষের আস্থা দ্রুত কমছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সরকারি ঋণপত্র বা বন্ড বিক্রি করে দিচ্ছেন। সাধারণত বন্ডকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয় এবং সরকার এর মাধ্যমে আর্থিক বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের পর বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক হারে সরকারি বন্ড বিক্রি করছেন, যা দেশটির অর্থনীতির প্রতি আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে। এর ফলে সরকারি ঋণের সুদের হার রেকর্ড হারে বেড়েছে এবং মন্দার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন সরকারি বন্ডের সুদের হার একলাফে বেড়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। কয়েক দিন আগেও এই হার ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। সুদের হার বাড়ার মানে হলো, সরকারকে এখন ঋণ নেওয়ার জন্য বেশি মুনাফা দিতে হচ্ছে; যা বিশ্ববাজারে মার্কিন অর্থনীতির আস্থার সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিকে বন্ডের দাম পড়েছে; কারণ, বিনিয়োগকারীরা সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন, ফলে চাহিদা কমে গেছে।
এজে বেলের প্রধান বিনিয়োগ বিশ্লেষক লাইথ খালাফ বলেন, বিপর্যয়ের সময়ে সাধারণত বন্ড নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করে। কিন্তু ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ এখন মার্কিন ঋণবাজারকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
জার্মান ডয়চে ব্যাংকের বৈশ্বিক বৈদেশিক মুদ্রা গবেষণা বিভাগের প্রধান জর্জ সারাভেলোস বলেন, ‘আমরা অচেনা ভূখণ্ডে প্রবেশ করছি। বাজারের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা এখন বলা কঠিন, তবে এটা স্পষ্ট—বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সম্পদে তাঁদের আস্থা হারাচ্ছেন।’
জর্জ সারাভেলোস বলেন, বন্ড মার্কেট স্থিতিশীল করতে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের এখন আর কোনো বিকল্প নেই; তাদের জরুরি ভিত্তিতে বন্ড কিনতে হবে, ঠিক যেমন ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড লিজ ট্রাসের বাজেট-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে করেছিল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক প্যানমুর লিবারামের প্রধান অর্থনীতিবিদ সাইমন ফ্রেঞ্চ বলেন, ডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে, যাতে শুল্কের কারণে ব্যবসায়ের খরচ বৃদ্ধির মধ্যেও চাকরি রক্ষা করা যায়।
সাইমন ফ্রেঞ্চ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা হবে কি না, এটা এখন একটি টসের কয়েনের মতো। যেকোনো কিছু হতে পারে। তাঁর মতে, মন্দা হলে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক ধস, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং আয় কমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে আরেক বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মর্গান এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করেছে এবং সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি তাদের ‘প্রবৃদ্ধির বিপরীতে’ যাচ্ছে।
বুধবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সতর্ক করে বলেছে, মার্কিন শুল্ক বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। তারা আরও বলেছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ঘাটতি এখন আরও একটি বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা যুক্তরাজ্যের মতো বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত দেশের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।
বিনিয়োগকারীরা এখন অনুমান করছেন, এই ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড হয়তো ভবিষ্যতে দিনে চারবার পর্যন্ত সুদের হার কমাতে পারে।
এ ছাড়া ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিতে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে সরকারকে এই শুল্ক দিতে হবে, যার একটি অংশ হয়তো তারা গ্রাহকের ওপর চাপাবে; ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট দাবি করেছেন, ট্রাম্পের উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ও উৎপাদনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, মজুরি বাড়ানো, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ‘আমেরিকান ড্রিম’ পুনরুজ্জীবিত করা। তিনি বলেন, প্রশাসন দীর্ঘদিনের বিশ্ববাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করতে চায়।
ডয়চে ব্যাংকের জর্জ সারাভেলোস বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধ বাড়ানোর আর কোনো জায়গা নেই। পরবর্তী ধাপ হতে পারে একেবারে আর্থিক যুদ্ধ; যার কেন্দ্রে থাকবে চীনের হাতে থাকা মার্কিন সম্পদ। তিনি সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না। হারবে পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতি।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, মার্কিন বন্ড বিক্রির পেছনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাত থাকতে পারে। বিশেষ করে চীন; কারণ, তাদের হাতে এখনো ৭৫৯ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন বন্ড রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চলমান অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর থেকে মানুষের আস্থা দ্রুত কমছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সরকারি ঋণপত্র বা বন্ড বিক্রি করে দিচ্ছেন। সাধারণত বন্ডকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয় এবং সরকার এর মাধ্যমে আর্থিক বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের পর বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক হারে সরকারি বন্ড বিক্রি করছেন, যা দেশটির অর্থনীতির প্রতি আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে। এর ফলে সরকারি ঋণের সুদের হার রেকর্ড হারে বেড়েছে এবং মন্দার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন সরকারি বন্ডের সুদের হার একলাফে বেড়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। কয়েক দিন আগেও এই হার ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। সুদের হার বাড়ার মানে হলো, সরকারকে এখন ঋণ নেওয়ার জন্য বেশি মুনাফা দিতে হচ্ছে; যা বিশ্ববাজারে মার্কিন অর্থনীতির আস্থার সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিকে বন্ডের দাম পড়েছে; কারণ, বিনিয়োগকারীরা সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন, ফলে চাহিদা কমে গেছে।
এজে বেলের প্রধান বিনিয়োগ বিশ্লেষক লাইথ খালাফ বলেন, বিপর্যয়ের সময়ে সাধারণত বন্ড নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করে। কিন্তু ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ এখন মার্কিন ঋণবাজারকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
জার্মান ডয়চে ব্যাংকের বৈশ্বিক বৈদেশিক মুদ্রা গবেষণা বিভাগের প্রধান জর্জ সারাভেলোস বলেন, ‘আমরা অচেনা ভূখণ্ডে প্রবেশ করছি। বাজারের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা এখন বলা কঠিন, তবে এটা স্পষ্ট—বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সম্পদে তাঁদের আস্থা হারাচ্ছেন।’
জর্জ সারাভেলোস বলেন, বন্ড মার্কেট স্থিতিশীল করতে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের এখন আর কোনো বিকল্প নেই; তাদের জরুরি ভিত্তিতে বন্ড কিনতে হবে, ঠিক যেমন ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড লিজ ট্রাসের বাজেট-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে করেছিল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক প্যানমুর লিবারামের প্রধান অর্থনীতিবিদ সাইমন ফ্রেঞ্চ বলেন, ডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে, যাতে শুল্কের কারণে ব্যবসায়ের খরচ বৃদ্ধির মধ্যেও চাকরি রক্ষা করা যায়।
সাইমন ফ্রেঞ্চ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা হবে কি না, এটা এখন একটি টসের কয়েনের মতো। যেকোনো কিছু হতে পারে। তাঁর মতে, মন্দা হলে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক ধস, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং আয় কমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে আরেক বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মর্গান এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করেছে এবং সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি তাদের ‘প্রবৃদ্ধির বিপরীতে’ যাচ্ছে।
বুধবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সতর্ক করে বলেছে, মার্কিন শুল্ক বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। তারা আরও বলেছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ঘাটতি এখন আরও একটি বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা যুক্তরাজ্যের মতো বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত দেশের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।
বিনিয়োগকারীরা এখন অনুমান করছেন, এই ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড হয়তো ভবিষ্যতে দিনে চারবার পর্যন্ত সুদের হার কমাতে পারে।
এ ছাড়া ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিতে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে সরকারকে এই শুল্ক দিতে হবে, যার একটি অংশ হয়তো তারা গ্রাহকের ওপর চাপাবে; ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট দাবি করেছেন, ট্রাম্পের উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ও উৎপাদনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, মজুরি বাড়ানো, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ‘আমেরিকান ড্রিম’ পুনরুজ্জীবিত করা। তিনি বলেন, প্রশাসন দীর্ঘদিনের বিশ্ববাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করতে চায়।
ডয়চে ব্যাংকের জর্জ সারাভেলোস বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধ বাড়ানোর আর কোনো জায়গা নেই। পরবর্তী ধাপ হতে পারে একেবারে আর্থিক যুদ্ধ; যার কেন্দ্রে থাকবে চীনের হাতে থাকা মার্কিন সম্পদ। তিনি সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না। হারবে পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতি।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, মার্কিন বন্ড বিক্রির পেছনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাত থাকতে পারে। বিশেষ করে চীন; কারণ, তাদের হাতে এখনো ৭৫৯ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন বন্ড রয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জামাতা মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামানকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর আপিল অঞ্চল-রাজশাহীর কর কমিশনারের চলতি দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর মূল পদ অতিরিক্ত কর কমিশনার।
১৫ মিনিট আগেবাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেডের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নীতিমালা মেনে এবং শেয়ারহোল্ডারদের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ বার্ষিক...
১ ঘণ্টা আগেস্মার্টফোন বাজারে নতুন মানদণ্ড স্থাপনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার বাংলাদেশ আকর্ষণীয় অনার এক্স৮সি ফোন নিয়ে আসছে। শীঘ্রই বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ হতে যাওয়া এই স্টাইলিশ স্মার্টফোনটির প্রি-বুকিং আজ থেকে শুরু হয়েছে, সাথে থাকছে দুর্দান্ত সব অফার।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির বিষয়ের অভিযোগ তুলে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্যপদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন নড়িয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী সবুজ মুন্সী।
৩ ঘণ্টা আগে