মো. আশিকুর রহমান
বর্তমানে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্মসংস্থানের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে। একসময় যেখানে ভালো চাকরি সফলতার মাপকাঠি ছিল, সেখানে এখন তরুণেরা উদ্যোগী হয়ে নিজে ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী। তবে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য শুধু একটি ভালো ব্যবসায়িক আইডিয়া বা বড় পুঁজি যথেষ্ট নয়; সঠিক প্রস্তুতি এবং কার্যকর দক্ষতাও প্রয়োজন। এখানে এমন ১০টি পরামর্শ দেওয়া হলো, যা একজন শিক্ষার্থীকে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।
আগ্রহের দিকে নজর দিন
ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনার আগ্রহ থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে যা কিছু ভালোবাসেন, তা থেকেই আপনি একটি ব্যবসায়িক ধারণা বের করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি প্রযুক্তি বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে আগ্রহী হন, তবে আপনি একটি টেক স্টার্টআপ শুরু করতে পারেন।
নেটওয়ার্কিং এবং সম্পর্ক গড়ে তুলুন
উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে হলে শুধু নিজে কাজ করা যথেষ্ট নয়, বরং অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিক্ষক, সহপাঠী এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করুন। একে বলা হয় ‘নেটওয়ার্কিং’।
সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দিন
একজন উদ্যোক্তার মূল কাজ হলো সমস্যা চিহ্নিত করা এবং তার সমাধান খুঁজে বের করা। আপনার শিক্ষাজীবনে যেসব সমস্যা বা অসুবিধাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করুন এবং ভাবুন। কীভাবে আপনি এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারেন। যদি আপনি একটি নতুন এবং কার্যকর সমাধান তৈরি করতে পারেন, তবে এটি হতে পারে আপনার ব্যবসার প্রথম পদক্ষেপ।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা
অ্যাকাডেমিক জীবন থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য টাকা বা পুঁজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আপনি প্রথম থেকেই অর্থনৈতিক দিকগুলো পরিকল্পনা করতে পারেন। শিক্ষাজীবনে ছোট ছোট ব্যবসায়িক প্রকল্প তৈরি করে ফান্ডিং এবং বাজেট সম্পর্কে ধারণা লাভ করুন। এটি আপনাকে বড় ব্যবসা শুরু করার আগে আর্থিক পরিকল্পনা, বাজেটিং এবং অর্থের ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, তা শিখতে সাহায্য করবে।
বাজার গবেষণা করুন
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করার আগে বাজারের পরিস্থিতি এবং চাহিদা সম্পর্কে ধারণা রাখেন। শিক্ষাজীবন থেকে শিক্ষায় অর্জিত গবেষণা দক্ষতা এখানে কাজে লাগবে। আপনার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের চাহিদা, প্রতিযোগিতা এবং বাজারের প্রবণতাগুলি সম্পর্কে গবেষণা করুন।
স্কিল ডেভেলপ করুন
বিভিন্ন স্কিল আপনার উদ্যোক্তা জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাজীবন থেকেই এসব স্কিল ডেভেলপ করা সম্ভব। যেমন: যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, লিডারশিপ, সময় ব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা। এই দক্ষতা আপনাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করবে।
সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা
একজন শিক্ষার্থীর উচিত হবে, তিনি একাগ্রভাবে সমস্যা সমাধানে মনোনিবেশ করবেন। একই সঙ্গে সেই সমস্যার জন্য একটি স্বতন্ত্র সমাধান তৈরি করবেন। এ ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব কল্পনা শক্তি এবং সৃজনশীলতা ব্যবহার করবেন। নতুন ধারণা এবং উদ্যোগে সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবন থেকে যা কিছু শিখেছেন, তা কাজে লাগান।
সহজ উদ্যোগের মাধ্যমে শুরু করুন
প্রথমে ছোট উদ্যোগ শুরু করুন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু ছোট প্রকল্প বা কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি বাস্তব জগতের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হবেন। এতে করে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে।
ব্যর্থতা থেকে শিখুন
উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বাধা আসতে পারে। এতে হতাশ না হয়ে বরং শিক্ষা নেওয়া উচিত। শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন পরীক্ষায় হয়তো আপনি সফল হননি, কিন্তু তা থেকে কীভাবে শিক্ষা নিয়েছেন, তা আপনার ভবিষ্যতের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উন্নত প্রযুক্তি এবং টুলস ব্যবহার
একটি সফল ব্যবসা চালানোর জন্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাজীবনে আপনি প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন। এখানে বিভিন্ন ডিজিটাল টুলস যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।
বর্তমানে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্মসংস্থানের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে। একসময় যেখানে ভালো চাকরি সফলতার মাপকাঠি ছিল, সেখানে এখন তরুণেরা উদ্যোগী হয়ে নিজে ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী। তবে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য শুধু একটি ভালো ব্যবসায়িক আইডিয়া বা বড় পুঁজি যথেষ্ট নয়; সঠিক প্রস্তুতি এবং কার্যকর দক্ষতাও প্রয়োজন। এখানে এমন ১০টি পরামর্শ দেওয়া হলো, যা একজন শিক্ষার্থীকে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।
আগ্রহের দিকে নজর দিন
ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনার আগ্রহ থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে যা কিছু ভালোবাসেন, তা থেকেই আপনি একটি ব্যবসায়িক ধারণা বের করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি প্রযুক্তি বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে আগ্রহী হন, তবে আপনি একটি টেক স্টার্টআপ শুরু করতে পারেন।
নেটওয়ার্কিং এবং সম্পর্ক গড়ে তুলুন
উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে হলে শুধু নিজে কাজ করা যথেষ্ট নয়, বরং অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিক্ষক, সহপাঠী এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করুন। একে বলা হয় ‘নেটওয়ার্কিং’।
সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দিন
একজন উদ্যোক্তার মূল কাজ হলো সমস্যা চিহ্নিত করা এবং তার সমাধান খুঁজে বের করা। আপনার শিক্ষাজীবনে যেসব সমস্যা বা অসুবিধাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করুন এবং ভাবুন। কীভাবে আপনি এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারেন। যদি আপনি একটি নতুন এবং কার্যকর সমাধান তৈরি করতে পারেন, তবে এটি হতে পারে আপনার ব্যবসার প্রথম পদক্ষেপ।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা
অ্যাকাডেমিক জীবন থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য টাকা বা পুঁজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আপনি প্রথম থেকেই অর্থনৈতিক দিকগুলো পরিকল্পনা করতে পারেন। শিক্ষাজীবনে ছোট ছোট ব্যবসায়িক প্রকল্প তৈরি করে ফান্ডিং এবং বাজেট সম্পর্কে ধারণা লাভ করুন। এটি আপনাকে বড় ব্যবসা শুরু করার আগে আর্থিক পরিকল্পনা, বাজেটিং এবং অর্থের ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, তা শিখতে সাহায্য করবে।
বাজার গবেষণা করুন
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করার আগে বাজারের পরিস্থিতি এবং চাহিদা সম্পর্কে ধারণা রাখেন। শিক্ষাজীবন থেকে শিক্ষায় অর্জিত গবেষণা দক্ষতা এখানে কাজে লাগবে। আপনার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের চাহিদা, প্রতিযোগিতা এবং বাজারের প্রবণতাগুলি সম্পর্কে গবেষণা করুন।
স্কিল ডেভেলপ করুন
বিভিন্ন স্কিল আপনার উদ্যোক্তা জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাজীবন থেকেই এসব স্কিল ডেভেলপ করা সম্ভব। যেমন: যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, লিডারশিপ, সময় ব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা। এই দক্ষতা আপনাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করবে।
সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা
একজন শিক্ষার্থীর উচিত হবে, তিনি একাগ্রভাবে সমস্যা সমাধানে মনোনিবেশ করবেন। একই সঙ্গে সেই সমস্যার জন্য একটি স্বতন্ত্র সমাধান তৈরি করবেন। এ ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব কল্পনা শক্তি এবং সৃজনশীলতা ব্যবহার করবেন। নতুন ধারণা এবং উদ্যোগে সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবন থেকে যা কিছু শিখেছেন, তা কাজে লাগান।
সহজ উদ্যোগের মাধ্যমে শুরু করুন
প্রথমে ছোট উদ্যোগ শুরু করুন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু ছোট প্রকল্প বা কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি বাস্তব জগতের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হবেন। এতে করে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে।
ব্যর্থতা থেকে শিখুন
উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বাধা আসতে পারে। এতে হতাশ না হয়ে বরং শিক্ষা নেওয়া উচিত। শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন পরীক্ষায় হয়তো আপনি সফল হননি, কিন্তু তা থেকে কীভাবে শিক্ষা নিয়েছেন, তা আপনার ভবিষ্যতের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উন্নত প্রযুক্তি এবং টুলস ব্যবহার
একটি সফল ব্যবসা চালানোর জন্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাজীবনে আপনি প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন। এখানে বিভিন্ন ডিজিটাল টুলস যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।
চাকরিদাতার কাছে চাকরিপ্রার্থীর প্রথম পরিচয় ঘটে সিভি বা জীবনবৃত্তান্তের মাধ্যমে। সঠিকভাবে লেখা সিভি একজন প্রার্থীকে চাকরির দৌড়ে এগিয়ে রাখে। প্রাসঙ্গিক সিভি প্রস্তুত করতে নিচের কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
৩ দিন আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটিতে হেড অব ব্র্যাঞ্চ পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
৫ দিন আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। প্রতিষ্ঠানটিতে দুই ধরনের পদে চারজন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা ডাকযোগে অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন।
৬ দিন আগেযখন প্রথাগত ডিগ্রিগুলো আরও ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠছে, তখন বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির জন্য তৈরি করা অনলাইন কোর্সগুলো সেসব ব্যয়বহুল কোর্সের বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। বিশেষ করে কোভিড–১৯ মহামারি এই অনলাইন শিক্ষার জনপ্রিয়তা আরও বহুগুণে বাড়িয়েছে।
৭ দিন আগে