অনলাইন ডেস্ক
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার তদন্ত দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টার ন্যাশনাল। সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ (৫০) নিহত হন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্যাম্প-১ এ এই ঘটনা ঘটে। এরপরই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি ছিলেন মুহিবুল্লাহ, যিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতার বিরুদ্ধে ও শরণার্থীদের মানবাধিকার প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন। তাঁকে হত্যার ঘটনায় পুরো সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন এই হত্যার তদন্ত ও এর সঙ্গে জড়িত সব সন্দেহভাজনকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দায়ভার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়।
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শরণার্থীসহ ক্যাম্পে থাকা সব মানুষ, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি উভয় অংশের নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মী, মানবাধিকারকর্মীদের অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’ এতে আরও বলা হয়, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে সহিংসতা এক ক্রমবর্ধমান সংকটে পরিণত হয়েছে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত চক্রের সশস্ত্র সদস্যরা হত্যা ও অপহরণের মতো অপরাধ করছে। ভবিষ্যতে এমন রক্তপাত বন্ধে কর্তৃপক্ষের অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার মুহিবুল্লাহ আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন। নির্যাতিত একটি জনগোষ্ঠীর নেতা হিসেবে তিনি বরাবরই নিজ সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বও করেন তিনি। রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা মাদকের কারবারের বিরোধিতার জন্যও তিনি আলোচিত ছিলেন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে এই মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুস্পষ্ট দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাদের বিরোধের জেরে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় শিবিরের বড় একটি অংশ। এই দুই পক্ষের একটি হলো মাদক কারবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত একটি অংশ। অন্য অংশে রয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), যারা শিবিরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। মুহিবুল্লাহ এই দুই পক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করছিলেন।
মুহিবুল্লাহ পেশায় শিক্ষক এবং রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান ছিলেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন এই নেতা। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমাবেশ করে আলোচনায় আসেন তিনি।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার তদন্ত দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টার ন্যাশনাল। সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ (৫০) নিহত হন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্যাম্প-১ এ এই ঘটনা ঘটে। এরপরই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি ছিলেন মুহিবুল্লাহ, যিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতার বিরুদ্ধে ও শরণার্থীদের মানবাধিকার প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন। তাঁকে হত্যার ঘটনায় পুরো সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন এই হত্যার তদন্ত ও এর সঙ্গে জড়িত সব সন্দেহভাজনকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দায়ভার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়।
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শরণার্থীসহ ক্যাম্পে থাকা সব মানুষ, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি উভয় অংশের নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মী, মানবাধিকারকর্মীদের অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’ এতে আরও বলা হয়, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে সহিংসতা এক ক্রমবর্ধমান সংকটে পরিণত হয়েছে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত চক্রের সশস্ত্র সদস্যরা হত্যা ও অপহরণের মতো অপরাধ করছে। ভবিষ্যতে এমন রক্তপাত বন্ধে কর্তৃপক্ষের অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার মুহিবুল্লাহ আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন। নির্যাতিত একটি জনগোষ্ঠীর নেতা হিসেবে তিনি বরাবরই নিজ সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বও করেন তিনি। রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা মাদকের কারবারের বিরোধিতার জন্যও তিনি আলোচিত ছিলেন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে এই মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুস্পষ্ট দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাদের বিরোধের জেরে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় শিবিরের বড় একটি অংশ। এই দুই পক্ষের একটি হলো মাদক কারবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত একটি অংশ। অন্য অংশে রয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), যারা শিবিরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। মুহিবুল্লাহ এই দুই পক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করছিলেন।
মুহিবুল্লাহ পেশায় শিক্ষক এবং রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান ছিলেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন এই নেতা। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমাবেশ করে আলোচনায় আসেন তিনি।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৩ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১২ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
২৫ দিন আগেগণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫