আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

জালিয়াতি করে শেখ রাসেলের নামে ভুয়া শিশু সংগঠনের নিবন্ধন নিয়ে নিজেকে সেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে পাতেন প্রতারণার জাল। চাকরি, বদলি, পদোন্নতি, তদবির, সংগঠনের কমিটি-বাণিজ্য এবং শিশুদের পুরস্কার দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।
এমনকি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদকে দেওয়া সরকারি জমি বিক্রির জন্য একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বায়না করে পকেটে পুরেছেন প্রায় ২ কোটি টাকা। তিনি মজিবুর রহমান হাওলাদার।
মামলার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বিদেশে পলাতক। তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরাও বিদেশে।
মজিবুর রহমান হাওলাদার ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন। এই সংগঠনের করা মামলার তদন্তেই তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে গত ১৮ জুন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে।
পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তে মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জাল, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন।
পিবিআই, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মজিবুর রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে নিজেকে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এই পরিচয়েই তিনি প্রভাব খাটাতেন। তিনি কয়েকজন আমলার কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন। তিনি ভুয়া সংগঠনের জেলা, উপজেলা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি-বাণিজ্য করেছেন।
শিশুদের পুরস্কার পাইয়ে দিতে তাঁর কাকরাইলের অফিসে রসিদ দিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁর অফিস এখন নেই।
জানা যায়, মজিবুর রহমান হাওলাদারের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটের আন্দারমান ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামে। বরিশালের পাতারহাট এমসি ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে ঢাকায় আসেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক। লায়ন্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নামের আগে যুক্ত করেন লায়ন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে মজিবুর রহমান প্রতারণা শুরু করেন। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত রকিবুর রহমান, মহাসচিব ছিলেন প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কে এম শহীদুল্লা। ২০২১ সালে মাহমুদ উস সামাদ করোনায় মারা গেলে ওই বছরের ৮ মে শহীদুল্লাকে মহাসচিব করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুদানে চলে।
জালিয়াতি করে শেখ রাসেলের নামে সংগঠন সূত্র জানায়, সংগঠনকে ব্যবহার করে মজিবুরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ উঠলে তৎকালীন চেয়ারম্যান রকিবুর রহমান ও মহাসচিব মাহমুদ উস সামাদ তাঁকে কয়েকবার সতর্ক করেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্যকরী কমিটির সভাও ডাকেন। তাঁকে সরানোর বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনি গোপনে সংগঠনের কাগজপত্র হাতান। কমিটির কয়েকজন নেতার সই জাল করে একটি ভুয়া মিটিং রেজল্যুশন ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করেন। নকল কাগজপত্রে মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার নামের একজনকে সভাপতি ও নিজেকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ’ নামের সংগঠনের নিবন্ধন নেন। অফিসের ঠিকানা কাকরাইলের পাইওনিয়ার সড়কের নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টার।
জালিয়াতি করে মজিবুরের একই নামে সংগঠনের নিবন্ধন নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয় ২০২০ সালে। ওই বছরের ১৫ মার্চ তাঁকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সমাজসেবা অধিদপ্তর মজিবুরের সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করে। তবে তিনি গত বছর শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন উপলক্ষে করা লিফলেটও নকল করে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক প্রচার করেন।
যেভাবে ধরা পড়ল জালিয়াতি
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লা ২০২১ সালের ১০ আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের কাছে মজিবুর রহমানের অপকর্মের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিএমপি কমিশনার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন মতিঝিল বিভাগকে। পুলিশ তদন্ত করে মজিবুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ, জাল-জালিয়াতি করে জমি বিক্রির প্রমাণ পায়।এরপর গত বছরের ২৭ অক্টোবর রমনা থানায় মজিবুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সজল মাহমুদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের নামে সরকারের বরাদ্দ দেওয়া জমি নিজের বলে বিক্রির জন্য বায়না দলিল করেন মজিবুর রহমান হাওলাদার। সূত্র বলেছে, তিনি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বায়না বাবদ প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মামলার বাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মজিবুর হাওলাদার ভুয়া সংগঠন করে কয়েক কোটি টাকা বাগিয়েছেন। চাকরি, পদায়ন, বদলি ও পদোন্নতির কথা বলেও লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন।
মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই। ১৮ জুন মজিবুরকে একমাত্র আসামি করে দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের নামে বরাদ্দকৃত জমির দলিল, সংগঠনের অন্যান্য কাগজপত্র চুরি ও জালিয়াতি করেন মজিবুর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মজিবুর রহমান ভুয়া সংগঠন করে চাঁদাবাজি, নিয়োগ-বাণিজ্য, বদলি-বাণিজ্য করতেন। অনেকের কাছ থেকে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কয়েকজন আমলার কাছ থেকেও তিনি ৫ লাখ, ১০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। তবে তাঁরা সাক্ষী হতে চান না।
জানা যায়, এই মামলা হওয়ার পরের মাসে গত বছরের নভেম্বরে উচ্চ আদালত থেকে প্রথমে ছয় সপ্তাহের ও পরে আরও দুই সপ্তাহের আগাম জামিন নেন মজিবুর। পরে গত বছরই তিনি কানাডায় অধ্যয়নরত বড় ছেলের কাছে যান। সেখান থেকে দুবাই গেছেন। বর্তমানে দুবাইয়ে ব্যবসা করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা। তাঁর একমাত্র মেয়ে মাস তিনেক আগে পড়ালেখা শেষে যুক্তরাজ্যে গেছেন। গত ২০ জুন মজিবুরের স্ত্রী শামীমা রহমান শাম্মী ছোট ছেলেকে নিয়ে দুবাই চলে গেছেন। ছোট ছেলে মতিঝিল আইডিয়ালে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
প্রতারণার আরও অভিযোগ
কাকরাইলের নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টারের সপ্তম তলায় ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অফিস ছিল মজিবুরের। সেই অফিসে পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে রসিদের মাধ্যমে শিশুদের অভিভাবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হতো। এঁদের একজন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বাবা ৩ লাখ টাকা দেন মজিবুরকে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের খরচ বাবদ এই ডোনেশন নেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি জেনেছেন, ওই পুরস্কার নিতে টাকা লাগে না। মজিবুরের সংগঠনটি ভুয়া।
রসিদ দিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয়টি পিবিআইয়ের তদন্তেও উঠে এসেছে। পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এই অফিস থেকে চাঁদাবাজি, চাকরির তদবির, বদলি-বাণিজ্যসহ অসৎ কার্যক্রম চালাতেন মজিবুর। তাঁর নামে গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন অনেক ভুক্তভোগী।
এ ছাড়া মজিবুরের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে বাড়ি দখল, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর উপদেষ্টার নাম ব্যবহার করে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে একটি কোম্পানির কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা ও চেকের মাধ্যমে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
কয়েক দিন আগে কাকরাইলের ওই ভবনে খোঁজ নিতে গেলে নিরাপত্তাকর্মী আমিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মজিবুর রহমানের অফিসে অনেক মানুষ আসত। কেউ কেউ শিশুদের নিয়ে আসত। গত বছরের শুরুর দিকে তিনি অফিস ছেড়ে দেন। এর আগে পুলিশ আসছিল। টাকা পাবে বলে অনেকে খুঁজে গেছে। তবে তিনি কোথায় আছেন আমরা জানি না।’
জানা যায়, শান্তিনগরের সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার সড়কের ৬৯-৭১ বাড়ির নিচতলায় ১১৭৫ স্কয়ার ফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে মজিবুর রহমানের। ২০০১ সালের দিকে ফ্ল্যাটটি কেনেন তিনি। বর্তমানে এর দাম প্রায় কোটি টাকা। গত শুক্রবার সেখানে গিয়ে মজিবুরের ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। বাড়ির ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, মজিবুর রহমানের এক ভাতিজা মাঝেমাঝে এসে দেখে যান। মজিবুরের পরিবার বিদেশে চলে গেছে।
সংসদ নির্বাচনের জন্য গণসংযোগ
মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা ও কাজিরহাট থানা নিয়ে বরিশাল-৪ সংসদীয় আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশায় গত তিনটি সংসদ নির্বাচনের আগে মজিবুর গণসংযোগ করেন। কাজিরহাটের আন্দারমান ইউনিয়নের বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের আগপর্যন্ত মজিবুর প্রতিবছর শীত ও ঈদের সময় এলাকায় এসে মানুষকে পোশাক দিতেন, পোস্টার দিতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজিমপুর গ্রামে মজিবুরের ৪০ শতাংশের মতো জমি আছে। কোনো ঘর নেই। তাঁর বাবার নাম আফসার উদ্দিন হাওলাদার। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মজিবুর চতুর্থ। চার ভাই মারা গেছেন। বাড়িতে ভাইয়ের ছেলেরা থাকেন।
আন্দারমান ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ওয়াসিম শিকদার জানান, ‘শুনেছি মজিবুর দুবাই আছেন।’
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার এইচ সাগর বলেন, মজিবুর একজন প্রতারক। তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য বলতে কিছু নেই। মানুষ ঠকিয়েছে। এখন পালিয়েছে।

জালিয়াতি করে শেখ রাসেলের নামে ভুয়া শিশু সংগঠনের নিবন্ধন নিয়ে নিজেকে সেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে পাতেন প্রতারণার জাল। চাকরি, বদলি, পদোন্নতি, তদবির, সংগঠনের কমিটি-বাণিজ্য এবং শিশুদের পুরস্কার দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।
এমনকি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদকে দেওয়া সরকারি জমি বিক্রির জন্য একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বায়না করে পকেটে পুরেছেন প্রায় ২ কোটি টাকা। তিনি মজিবুর রহমান হাওলাদার।
মামলার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বিদেশে পলাতক। তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরাও বিদেশে।
মজিবুর রহমান হাওলাদার ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন। এই সংগঠনের করা মামলার তদন্তেই তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে গত ১৮ জুন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে।
পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তে মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জাল, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন।
পিবিআই, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মজিবুর রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে নিজেকে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এই পরিচয়েই তিনি প্রভাব খাটাতেন। তিনি কয়েকজন আমলার কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন। তিনি ভুয়া সংগঠনের জেলা, উপজেলা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি-বাণিজ্য করেছেন।
শিশুদের পুরস্কার পাইয়ে দিতে তাঁর কাকরাইলের অফিসে রসিদ দিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁর অফিস এখন নেই।
জানা যায়, মজিবুর রহমান হাওলাদারের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটের আন্দারমান ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামে। বরিশালের পাতারহাট এমসি ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে ঢাকায় আসেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক। লায়ন্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নামের আগে যুক্ত করেন লায়ন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে মজিবুর রহমান প্রতারণা শুরু করেন। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত রকিবুর রহমান, মহাসচিব ছিলেন প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কে এম শহীদুল্লা। ২০২১ সালে মাহমুদ উস সামাদ করোনায় মারা গেলে ওই বছরের ৮ মে শহীদুল্লাকে মহাসচিব করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুদানে চলে।
জালিয়াতি করে শেখ রাসেলের নামে সংগঠন সূত্র জানায়, সংগঠনকে ব্যবহার করে মজিবুরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ উঠলে তৎকালীন চেয়ারম্যান রকিবুর রহমান ও মহাসচিব মাহমুদ উস সামাদ তাঁকে কয়েকবার সতর্ক করেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্যকরী কমিটির সভাও ডাকেন। তাঁকে সরানোর বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনি গোপনে সংগঠনের কাগজপত্র হাতান। কমিটির কয়েকজন নেতার সই জাল করে একটি ভুয়া মিটিং রেজল্যুশন ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করেন। নকল কাগজপত্রে মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার নামের একজনকে সভাপতি ও নিজেকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ’ নামের সংগঠনের নিবন্ধন নেন। অফিসের ঠিকানা কাকরাইলের পাইওনিয়ার সড়কের নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টার।
জালিয়াতি করে মজিবুরের একই নামে সংগঠনের নিবন্ধন নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয় ২০২০ সালে। ওই বছরের ১৫ মার্চ তাঁকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সমাজসেবা অধিদপ্তর মজিবুরের সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করে। তবে তিনি গত বছর শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন উপলক্ষে করা লিফলেটও নকল করে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক প্রচার করেন।
যেভাবে ধরা পড়ল জালিয়াতি
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লা ২০২১ সালের ১০ আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের কাছে মজিবুর রহমানের অপকর্মের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিএমপি কমিশনার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন মতিঝিল বিভাগকে। পুলিশ তদন্ত করে মজিবুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ, জাল-জালিয়াতি করে জমি বিক্রির প্রমাণ পায়।এরপর গত বছরের ২৭ অক্টোবর রমনা থানায় মজিবুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সজল মাহমুদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের নামে সরকারের বরাদ্দ দেওয়া জমি নিজের বলে বিক্রির জন্য বায়না দলিল করেন মজিবুর রহমান হাওলাদার। সূত্র বলেছে, তিনি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বায়না বাবদ প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মামলার বাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মজিবুর হাওলাদার ভুয়া সংগঠন করে কয়েক কোটি টাকা বাগিয়েছেন। চাকরি, পদায়ন, বদলি ও পদোন্নতির কথা বলেও লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন।
মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই। ১৮ জুন মজিবুরকে একমাত্র আসামি করে দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের নামে বরাদ্দকৃত জমির দলিল, সংগঠনের অন্যান্য কাগজপত্র চুরি ও জালিয়াতি করেন মজিবুর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মজিবুর রহমান ভুয়া সংগঠন করে চাঁদাবাজি, নিয়োগ-বাণিজ্য, বদলি-বাণিজ্য করতেন। অনেকের কাছ থেকে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কয়েকজন আমলার কাছ থেকেও তিনি ৫ লাখ, ১০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। তবে তাঁরা সাক্ষী হতে চান না।
জানা যায়, এই মামলা হওয়ার পরের মাসে গত বছরের নভেম্বরে উচ্চ আদালত থেকে প্রথমে ছয় সপ্তাহের ও পরে আরও দুই সপ্তাহের আগাম জামিন নেন মজিবুর। পরে গত বছরই তিনি কানাডায় অধ্যয়নরত বড় ছেলের কাছে যান। সেখান থেকে দুবাই গেছেন। বর্তমানে দুবাইয়ে ব্যবসা করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা। তাঁর একমাত্র মেয়ে মাস তিনেক আগে পড়ালেখা শেষে যুক্তরাজ্যে গেছেন। গত ২০ জুন মজিবুরের স্ত্রী শামীমা রহমান শাম্মী ছোট ছেলেকে নিয়ে দুবাই চলে গেছেন। ছোট ছেলে মতিঝিল আইডিয়ালে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
প্রতারণার আরও অভিযোগ
কাকরাইলের নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টারের সপ্তম তলায় ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অফিস ছিল মজিবুরের। সেই অফিসে পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে রসিদের মাধ্যমে শিশুদের অভিভাবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হতো। এঁদের একজন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বাবা ৩ লাখ টাকা দেন মজিবুরকে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের খরচ বাবদ এই ডোনেশন নেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি জেনেছেন, ওই পুরস্কার নিতে টাকা লাগে না। মজিবুরের সংগঠনটি ভুয়া।
রসিদ দিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয়টি পিবিআইয়ের তদন্তেও উঠে এসেছে। পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এই অফিস থেকে চাঁদাবাজি, চাকরির তদবির, বদলি-বাণিজ্যসহ অসৎ কার্যক্রম চালাতেন মজিবুর। তাঁর নামে গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন অনেক ভুক্তভোগী।
এ ছাড়া মজিবুরের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে বাড়ি দখল, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর উপদেষ্টার নাম ব্যবহার করে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে একটি কোম্পানির কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা ও চেকের মাধ্যমে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
কয়েক দিন আগে কাকরাইলের ওই ভবনে খোঁজ নিতে গেলে নিরাপত্তাকর্মী আমিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মজিবুর রহমানের অফিসে অনেক মানুষ আসত। কেউ কেউ শিশুদের নিয়ে আসত। গত বছরের শুরুর দিকে তিনি অফিস ছেড়ে দেন। এর আগে পুলিশ আসছিল। টাকা পাবে বলে অনেকে খুঁজে গেছে। তবে তিনি কোথায় আছেন আমরা জানি না।’
জানা যায়, শান্তিনগরের সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার সড়কের ৬৯-৭১ বাড়ির নিচতলায় ১১৭৫ স্কয়ার ফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে মজিবুর রহমানের। ২০০১ সালের দিকে ফ্ল্যাটটি কেনেন তিনি। বর্তমানে এর দাম প্রায় কোটি টাকা। গত শুক্রবার সেখানে গিয়ে মজিবুরের ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। বাড়ির ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, মজিবুর রহমানের এক ভাতিজা মাঝেমাঝে এসে দেখে যান। মজিবুরের পরিবার বিদেশে চলে গেছে।
সংসদ নির্বাচনের জন্য গণসংযোগ
মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা ও কাজিরহাট থানা নিয়ে বরিশাল-৪ সংসদীয় আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশায় গত তিনটি সংসদ নির্বাচনের আগে মজিবুর গণসংযোগ করেন। কাজিরহাটের আন্দারমান ইউনিয়নের বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের আগপর্যন্ত মজিবুর প্রতিবছর শীত ও ঈদের সময় এলাকায় এসে মানুষকে পোশাক দিতেন, পোস্টার দিতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজিমপুর গ্রামে মজিবুরের ৪০ শতাংশের মতো জমি আছে। কোনো ঘর নেই। তাঁর বাবার নাম আফসার উদ্দিন হাওলাদার। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মজিবুর চতুর্থ। চার ভাই মারা গেছেন। বাড়িতে ভাইয়ের ছেলেরা থাকেন।
আন্দারমান ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ওয়াসিম শিকদার জানান, ‘শুনেছি মজিবুর দুবাই আছেন।’
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার এইচ সাগর বলেন, মজিবুর একজন প্রতারক। তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য বলতে কিছু নেই। মানুষ ঠকিয়েছে। এখন পালিয়েছে।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জালিয়াতি করে শেখ রাসেলের নামে ভুয়া শিশু সংগঠনের নিবন্ধন নিয়ে নিজেকে সেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে পাতেন প্রতারণার জাল। চাকরি, বদলি, পদোন্নতি, তদবির, সংগঠনের কমিটি-বাণিজ্য এবং শিশুদের পুরস্কার দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেন কোটি
১১ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

জালিয়াতি করে শেখ রাসেলের নামে ভুয়া শিশু সংগঠনের নিবন্ধন নিয়ে নিজেকে সেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে পাতেন প্রতারণার জাল। চাকরি, বদলি, পদোন্নতি, তদবির, সংগঠনের কমিটি-বাণিজ্য এবং শিশুদের পুরস্কার দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেন কোটি
১১ জুলাই ২০২৩
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

জালিয়াতি করে শেখ রাসেলের নামে ভুয়া শিশু সংগঠনের নিবন্ধন নিয়ে নিজেকে সেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে পাতেন প্রতারণার জাল। চাকরি, বদলি, পদোন্নতি, তদবির, সংগঠনের কমিটি-বাণিজ্য এবং শিশুদের পুরস্কার দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেন কোটি
১১ জুলাই ২০২৩
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

জালিয়াতি করে শেখ রাসেলের নামে ভুয়া শিশু সংগঠনের নিবন্ধন নিয়ে নিজেকে সেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে পাতেন প্রতারণার জাল। চাকরি, বদলি, পদোন্নতি, তদবির, সংগঠনের কমিটি-বাণিজ্য এবং শিশুদের পুরস্কার দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেন কোটি
১১ জুলাই ২০২৩
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে