নাফিজ সরাফাত ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ০৬
Thumbnail image

আর্থিক খাতের আলোচিত নাম চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। 

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মুখপাত্র আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, তাঁর স্ত্রী আনজুমান আরা শহীদ এবং হাসান তাহের ইমাম ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে সিআইডি। 

সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি সিআইডির এক বৈঠকে নাফিজ সরাফাত ও তাঁর স্ত্রীসহ তাঁদের প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। 

সূত্রের তথ্যমতে, নাফিজ সরাফাত ২০০৮ সালে রেইস ম্যানেজমেন্ট পিসিএল নামে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির লাইসেন্স নেন। তাঁর সহযোগী ছিলেন হাসান তাহের ইমাম। 

রেইসের অধীনে বর্তমানে ১৩টি ফান্ড রয়েছে। ফান্ডের অর্থ ব্যক্তিস্বার্থে বিনিয়োগ করে নাফিজ সরাফাত, আনজুমান আরা শহীদ ও হাসান তাহের ইমাম ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) পরিচালক বনে যান। একই কৌশলে নাফিজ সরাফাত তাঁর স্ত্রীকে ///সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক বানান। তবে এতে ফান্ডের কোনো লাভ হয়নি। 

পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। অবশ্য গত জানুয়ারিতে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।

সিআইডি সূত্র জানায়, রেইস বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ১০টি মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করেন। ফান্ডগুলোর সম্মিলিত আকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। ফান্ডের অর্থ দিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য যে এফডিআর খোলা হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে সেই এফডিআরগুলো ভেঙে ফেলা হয়। এর ফলে ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা কোটি কোটি টাকার মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

এ ছাড়া এসটিডি–এসএনডি অ্যাকাউন্টে মাত্র তিন–চার শতাংশ সুদে ফান্ডের সাড়ে ৬০০ বা ৭০০ কোটি টাকা জমা রাখা হয়। সুদের দুই–তিন শতাংশ অর্থ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আত্মসাৎ করা হয়। 

শেয়ারবাজার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মাঝে বণ্টনের নিয়ম থাকলেও রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ নিয়ম মানেনি। 

শুধু তা–ই নয়, বিজিআইসি নামে ব্রোকারেজ হাউসে শেয়ার কেনার জন্য নেওয়া টাকায় ফান্ডের নামে শেয়ার না কিনে আত্মীয়স্বজনের নামে কেনা হয়। এভাবে ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকার মুনাফা বঞ্চিত করে ওই টাকা তাঁরা আত্মসাৎ করেন
 
এর আগে গত ২৫ আগস্ট চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ কমিশনের

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত