শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্মৃতি রানী সরকার নামে এক গৃহবধূর গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা ও এক জোড়া জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী কাব্য সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল এ সব নিশ্চিত করেন।
বাড়ির পেছনের টিনের বেড়াটি ভাঙা থাকায় স্থানীয়দের ধারণা দুর্বৃত্তরা বসতবাড়ির পেছন দিয়ে প্রবেশ করে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর পর গলাকেটে হত্যা করে স্মৃতি রানী সরকারকে।
গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়ন বরমী বাজারের কামারপট্টির নিমাই চন্দ্র সন্ন্যাসীর বসতবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা-পুলিশ।
নিহত স্মৃতি রাণী সরকার (৩৬) ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার দৌলতপুর গ্রামের সুনীল পালের মেয়ে। তঁর স্বামী কাব্য সরকার শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের কেশব চন্দ্র সরকারের ছেলে। বাবার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের কারণে স্ত্রী-সন্তানসহ স্বামী কাব্য সরকার বরমী বাজারের কামারপট্টির মামার বাড়িতে বসবাস করেন।
নিহতের নানি শাশুড়ি রূপকোনা বলেন, ‘প্রতিদিন ভোরে আমি বাজারের মন্দিরে পূজা দিই। এ জন্য একটু আগেই আমাকে ঘুমাতে হয়। আমি পাশের ঘরে ঘুমের প্রস্তুতি সেরে বিছানায় শুয়ে ছিলাম। স্মৃতি তার দেড় বছর বয়সী ছেলে শ্রেয়ানকে নিয়ে তার ঘরে ছিল। হঠাৎ স্মৃতি দিদা বলে চিৎকার দেয়। দ্রুত আমি ঘরের বাইরের বারান্দায় এসে দেখি স্মৃতি বসে আছে। হঠাৎ দেখি সে বারান্দায় লুটিয়ে পড়ে। লাইটের সুইচ অন করে দেখি পুরো শরীর রক্তাক্ত। এরপর আমি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’ তবে কাউকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেননি বলে জানান তিনি।
নিহতের ছোট ভাই হৃদয় সরকার বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের এক ঘণ্টা পূর্বে আপা আমাকে ফোন করে জানায় তার স্বামী ইন্ডিয়া যাওয়া জন্য রওনা হয়েছে। এক ঘণ্টা পর আপুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে জানায় বাড়িতে প্রবেশ করে কারা যেন আপুকে কুপিয়েছে। এরপর আমরা দ্রুত শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে মরদেহ দেখতে পাই। আপুকে ওরা এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে আহত করার পর গলাকেটে হত্যা করে।’
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হাদিউল ইসলাম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, ‘রাতে বসতবাড়িতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে গলাকেটে খুন করে। এরপর তারা দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্বজনরা প্রথমে তাকে স্থানীয় ক্লিনিক ও পরবর্তীতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুদেপ চক্রবর্তী বলেন, ‘স্মৃতি রানীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে কয়েকজন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গলা কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞেসবাদের জন্য নিহতের স্বামী কাব্য সরকারকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ধারালো দা ও জুতা জোড়া উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্মৃতি রানী সরকার নামে এক গৃহবধূর গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা ও এক জোড়া জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী কাব্য সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল এ সব নিশ্চিত করেন।
বাড়ির পেছনের টিনের বেড়াটি ভাঙা থাকায় স্থানীয়দের ধারণা দুর্বৃত্তরা বসতবাড়ির পেছন দিয়ে প্রবেশ করে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর পর গলাকেটে হত্যা করে স্মৃতি রানী সরকারকে।
গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়ন বরমী বাজারের কামারপট্টির নিমাই চন্দ্র সন্ন্যাসীর বসতবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা-পুলিশ।
নিহত স্মৃতি রাণী সরকার (৩৬) ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার দৌলতপুর গ্রামের সুনীল পালের মেয়ে। তঁর স্বামী কাব্য সরকার শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের কেশব চন্দ্র সরকারের ছেলে। বাবার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের কারণে স্ত্রী-সন্তানসহ স্বামী কাব্য সরকার বরমী বাজারের কামারপট্টির মামার বাড়িতে বসবাস করেন।
নিহতের নানি শাশুড়ি রূপকোনা বলেন, ‘প্রতিদিন ভোরে আমি বাজারের মন্দিরে পূজা দিই। এ জন্য একটু আগেই আমাকে ঘুমাতে হয়। আমি পাশের ঘরে ঘুমের প্রস্তুতি সেরে বিছানায় শুয়ে ছিলাম। স্মৃতি তার দেড় বছর বয়সী ছেলে শ্রেয়ানকে নিয়ে তার ঘরে ছিল। হঠাৎ স্মৃতি দিদা বলে চিৎকার দেয়। দ্রুত আমি ঘরের বাইরের বারান্দায় এসে দেখি স্মৃতি বসে আছে। হঠাৎ দেখি সে বারান্দায় লুটিয়ে পড়ে। লাইটের সুইচ অন করে দেখি পুরো শরীর রক্তাক্ত। এরপর আমি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’ তবে কাউকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেননি বলে জানান তিনি।
নিহতের ছোট ভাই হৃদয় সরকার বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের এক ঘণ্টা পূর্বে আপা আমাকে ফোন করে জানায় তার স্বামী ইন্ডিয়া যাওয়া জন্য রওনা হয়েছে। এক ঘণ্টা পর আপুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে জানায় বাড়িতে প্রবেশ করে কারা যেন আপুকে কুপিয়েছে। এরপর আমরা দ্রুত শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে মরদেহ দেখতে পাই। আপুকে ওরা এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে আহত করার পর গলাকেটে হত্যা করে।’
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হাদিউল ইসলাম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, ‘রাতে বসতবাড়িতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে গলাকেটে খুন করে। এরপর তারা দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্বজনরা প্রথমে তাকে স্থানীয় ক্লিনিক ও পরবর্তীতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুদেপ চক্রবর্তী বলেন, ‘স্মৃতি রানীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে কয়েকজন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গলা কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞেসবাদের জন্য নিহতের স্বামী কাব্য সরকারকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ধারালো দা ও জুতা জোড়া উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪