আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কিছুদিন পরপরই বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকেরা। গত এক বছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কাপাসিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় থাকা ৫০টির বেশি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। তবে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে এসব ট্রান্সফরমার চুরির ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে গ্রাহক ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। কাপাসিয়া কার্যালয়ের তথ্য, ৫০টি ট্রান্সফরমারের জন্য এক বছরে ৩০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
প্রথমবার চুরি হলে ক্ষতিপূরণের অর্ধেক খরচ সমিতি ও বাকি অর্ধেক গ্রাহকদের দিতে হয়। এরপর যতবার চুরি হবে পুরো অর্থ দিতে হবে গ্রাহকদের। কাপাসিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, তাঁদের আওতায় ১ লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক আছেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে চার হাজারের বেশি ট্রান্সফরমার আছে। রাতের অন্ধকারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার ও কর্মচারী পরিচয় দিয়ে একটি চক্র ট্রান্সফরমার, মিটার ও স্টিলের খুঁটি চুরি করছে। সবচেয়ে বেশি চুরি হচ্ছে ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা তামার কয়েল ও পাইরানল তেল।
১৫ মে রাতে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের বড়টেক গ্রাম থেকে ৫০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। সে ট্রান্সফরমার থেকে ৬২টি পরিবারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল আলম বলেন, ট্রান্সফরমাটির দাম ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গ্রাহকদের চাঁদায় এর অর্ধেক, ৯৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে পুনরায় সংযোগ নিতে হয়েছে।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের মাশক গ্ৰামে ভুট্টা গুঁড়ার যন্ত্র চালান সাইদুর রহমান। তিনি বিদ্যুতের শিল্প সংযোগ ব্যবহারকারী। সাইদুর বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তিনটি ট্রান্সফরমার ব্যবহার করতে হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল রাতে তিনটিই চুরি হয়। এগুলোর দাম আড়াই লাখ টাকার বেশি। ১০ দিন সংযোগহীন থাকার পর ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দিয়ে নতুন তিনটি ট্রান্সফরমার লাগিয়ে পুনরায় সংযোগ নিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমন আরও কয়েকজন ভুক্তভোগীর নাম পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে কাপাসিয়া থানায় সম্প্রতি অভিযোগ দিয়েছেন কাপাসিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রধান অধ্যক্ষ জহিরুল হক। ২০ মে রাতে ১০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়ে জহিরুল বলেন, সংযোগ থাকাকালে ট্রান্সফরমার চুরি করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বৈদ্যুতিক কাজে যাঁরা পারদর্শী, তাঁরা এই চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। বিদ্যুৎ অফিসের নিয়ম অনুযায়ী এখন অর্ধেক টাকা পরিশোধ করে ট্রান্সফার নিতে হবে।
সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্ৰামের মজিবুর রহমান বলেন, কয়েক মাস আগে তাঁর বাড়ির পাশ থেকে ১৫ কেভির একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। তিনি ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন ৪৩ হাজার টাকা। মূলত লোডশেডিংয়ের সময় এ ধরনের চুরি হচ্ছে।
কাপাসিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বলেন, ট্রান্সফরমার, মিটার ও অন্যান্য মালামাল চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাশাপাশি বড় ক্ষতির মুখে পড়ছেন গ্রাহকেরা। তাঁদের পক্ষ থেকে চুরি রোধে এলাকায় মাইকিংসহ গ্রাহকদের সচেতন করা হচ্ছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর বলেন, পুলিশ কাজ করছে। চোরেরা পল্লী বিদ্যুতের নাম ব্যবহার করে এ কাজ করছে। তাই বিষয়টি ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমন্বয়ে এই চুরি প্রতিরোধ করতে হবে।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কিছুদিন পরপরই বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকেরা। গত এক বছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কাপাসিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় থাকা ৫০টির বেশি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। তবে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে এসব ট্রান্সফরমার চুরির ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে গ্রাহক ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। কাপাসিয়া কার্যালয়ের তথ্য, ৫০টি ট্রান্সফরমারের জন্য এক বছরে ৩০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
প্রথমবার চুরি হলে ক্ষতিপূরণের অর্ধেক খরচ সমিতি ও বাকি অর্ধেক গ্রাহকদের দিতে হয়। এরপর যতবার চুরি হবে পুরো অর্থ দিতে হবে গ্রাহকদের। কাপাসিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, তাঁদের আওতায় ১ লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক আছেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে চার হাজারের বেশি ট্রান্সফরমার আছে। রাতের অন্ধকারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার ও কর্মচারী পরিচয় দিয়ে একটি চক্র ট্রান্সফরমার, মিটার ও স্টিলের খুঁটি চুরি করছে। সবচেয়ে বেশি চুরি হচ্ছে ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা তামার কয়েল ও পাইরানল তেল।
১৫ মে রাতে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের বড়টেক গ্রাম থেকে ৫০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। সে ট্রান্সফরমার থেকে ৬২টি পরিবারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল আলম বলেন, ট্রান্সফরমাটির দাম ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গ্রাহকদের চাঁদায় এর অর্ধেক, ৯৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে পুনরায় সংযোগ নিতে হয়েছে।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের মাশক গ্ৰামে ভুট্টা গুঁড়ার যন্ত্র চালান সাইদুর রহমান। তিনি বিদ্যুতের শিল্প সংযোগ ব্যবহারকারী। সাইদুর বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তিনটি ট্রান্সফরমার ব্যবহার করতে হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল রাতে তিনটিই চুরি হয়। এগুলোর দাম আড়াই লাখ টাকার বেশি। ১০ দিন সংযোগহীন থাকার পর ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দিয়ে নতুন তিনটি ট্রান্সফরমার লাগিয়ে পুনরায় সংযোগ নিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমন আরও কয়েকজন ভুক্তভোগীর নাম পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে কাপাসিয়া থানায় সম্প্রতি অভিযোগ দিয়েছেন কাপাসিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রধান অধ্যক্ষ জহিরুল হক। ২০ মে রাতে ১০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়ে জহিরুল বলেন, সংযোগ থাকাকালে ট্রান্সফরমার চুরি করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বৈদ্যুতিক কাজে যাঁরা পারদর্শী, তাঁরা এই চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। বিদ্যুৎ অফিসের নিয়ম অনুযায়ী এখন অর্ধেক টাকা পরিশোধ করে ট্রান্সফার নিতে হবে।
সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্ৰামের মজিবুর রহমান বলেন, কয়েক মাস আগে তাঁর বাড়ির পাশ থেকে ১৫ কেভির একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। তিনি ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন ৪৩ হাজার টাকা। মূলত লোডশেডিংয়ের সময় এ ধরনের চুরি হচ্ছে।
কাপাসিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বলেন, ট্রান্সফরমার, মিটার ও অন্যান্য মালামাল চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাশাপাশি বড় ক্ষতির মুখে পড়ছেন গ্রাহকেরা। তাঁদের পক্ষ থেকে চুরি রোধে এলাকায় মাইকিংসহ গ্রাহকদের সচেতন করা হচ্ছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর বলেন, পুলিশ কাজ করছে। চোরেরা পল্লী বিদ্যুতের নাম ব্যবহার করে এ কাজ করছে। তাই বিষয়টি ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমন্বয়ে এই চুরি প্রতিরোধ করতে হবে।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৫ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৪ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫