নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: মুনিয়ার ‘আত্মহত্যা প্ররোচনার’ মামলার তদন্ত ভিন্নপথে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বদলে তাঁদের দৃষ্টি এখন চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুনের দিকে। যদিও মামলার বাদী এ আত্মহত্যার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকেই দায়ী করে আসছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, এই মামলার তদন্তে পুলিশ কি তাহলে প্রভাবিত হচ্ছে? পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী অবশ্য বলেছেন, পুলিশ কারও দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না। যথাসময়ে মূল অভিযুক্তকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে উপকমিশনার এখনো স্পষ্ট করে বলছেন না, মূল আসামি কি আনভীর না শারুন।
মুনিয়ার আত্মহত্যার ঘটনার এরই মধ্যে ১০ দিন হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির নাম উল্লেখ করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেনি। জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। এ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ প্রভাবিত হচ্ছে।
এদিকে মুনিয়ার যে ছয়টি ডায়েরিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য বলা ধরা হয়েছিল, সেই ডায়েরিতে থাকা বক্তব্যের ব্যাপারেও পুলিশ খোলাসা করে কিছু বলছে না। পুলিশ বলছে, মামলার তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ বিভিন্ন বিষয়কে আগে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আত্মহত্যার প্ররোচনার বিষয়টিও সামনে উঠে আসবে।
গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, মুনিয়ার সঙ্গে তাঁদের সবার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মুনিয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথিত কথোপকথনের স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে আসার পর হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকেও জেরা করা হয়।
এ ঘটনার তিন দিন পর মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান একটি হত্যা মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এই হত্যা মামলার আসামি করা হয় চট্টগ্রামের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ওই হুইপপুত্র শারুনকে। আদালত অবশ্য বলেছেন, ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় যে মামলা হয়েছে, ওই মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৩০২ ধারার হত্যা মামলার আবেদনটি স্থগিত থাকবে।’
‘আত্মহত্যা প্ররোচনা’ মামলার বাদী নুসরাত জাহানের অভিযোগ, তাঁর করা মামলাটির তদন্তের গতি থেমে গেছে এখানেই। অদৃশ্য এক ক্ষমতাধর মহলের লোভে পড়ে হত্যার মিথ্যা মামলা করেছেন তাঁর ভাই।
পুলিশের গুলশান বিভাগের পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন, আনভীরের বিরুদ্ধে সব তথ্যপ্রমাণ পুলিশের হাতে আছে। কিন্তু উপর মহল থেকে সবুজসংকেত না আসায় তাঁকে জেরা করা যাচ্ছে না।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ওই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। নিয়মের বাইরে কিছু করা যাবে না।
গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক তরুণীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার রাতেই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ মামলায় অভিযুক্ত করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে। মামলার আসামি হিসেবে আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এরপর আনভীরের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য, গৃহকর্মীসহ আটজন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দুবাই চলে যান।
ঢাকা: মুনিয়ার ‘আত্মহত্যা প্ররোচনার’ মামলার তদন্ত ভিন্নপথে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বদলে তাঁদের দৃষ্টি এখন চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুনের দিকে। যদিও মামলার বাদী এ আত্মহত্যার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকেই দায়ী করে আসছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, এই মামলার তদন্তে পুলিশ কি তাহলে প্রভাবিত হচ্ছে? পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী অবশ্য বলেছেন, পুলিশ কারও দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না। যথাসময়ে মূল অভিযুক্তকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে উপকমিশনার এখনো স্পষ্ট করে বলছেন না, মূল আসামি কি আনভীর না শারুন।
মুনিয়ার আত্মহত্যার ঘটনার এরই মধ্যে ১০ দিন হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির নাম উল্লেখ করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেনি। জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। এ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ প্রভাবিত হচ্ছে।
এদিকে মুনিয়ার যে ছয়টি ডায়েরিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য বলা ধরা হয়েছিল, সেই ডায়েরিতে থাকা বক্তব্যের ব্যাপারেও পুলিশ খোলাসা করে কিছু বলছে না। পুলিশ বলছে, মামলার তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ বিভিন্ন বিষয়কে আগে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আত্মহত্যার প্ররোচনার বিষয়টিও সামনে উঠে আসবে।
গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, মুনিয়ার সঙ্গে তাঁদের সবার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মুনিয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথিত কথোপকথনের স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে আসার পর হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকেও জেরা করা হয়।
এ ঘটনার তিন দিন পর মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান একটি হত্যা মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এই হত্যা মামলার আসামি করা হয় চট্টগ্রামের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ওই হুইপপুত্র শারুনকে। আদালত অবশ্য বলেছেন, ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় যে মামলা হয়েছে, ওই মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৩০২ ধারার হত্যা মামলার আবেদনটি স্থগিত থাকবে।’
‘আত্মহত্যা প্ররোচনা’ মামলার বাদী নুসরাত জাহানের অভিযোগ, তাঁর করা মামলাটির তদন্তের গতি থেমে গেছে এখানেই। অদৃশ্য এক ক্ষমতাধর মহলের লোভে পড়ে হত্যার মিথ্যা মামলা করেছেন তাঁর ভাই।
পুলিশের গুলশান বিভাগের পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন, আনভীরের বিরুদ্ধে সব তথ্যপ্রমাণ পুলিশের হাতে আছে। কিন্তু উপর মহল থেকে সবুজসংকেত না আসায় তাঁকে জেরা করা যাচ্ছে না।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ওই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। নিয়মের বাইরে কিছু করা যাবে না।
গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক তরুণীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার রাতেই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ মামলায় অভিযুক্ত করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে। মামলার আসামি হিসেবে আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এরপর আনভীরের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য, গৃহকর্মীসহ আটজন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দুবাই চলে যান।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে