শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
রোহিঙ্গা শিবিরে অস্ত্র নিয়ে এখন আর কোনো রাখঢাক নেই। একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ সেখানে সক্রিয়, তাদের সবার হাতেই আছে আধুনিক অস্ত্র। সেই অস্ত্র তারা ব্যবহার করছে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী আর প্রভাব বিস্তারের কাজে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এই অবৈধ অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভায় বলেছেন, ক্যাম্পগুলোয় ‘অস্থিরতা’ সৃষ্টির চেষ্টায় ‘মিয়ানমার’ থেকে অস্ত্র আসছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে নিজেরাই অস্ত্র তৈরি করছেন রোহিঙ্গারা। অস্ত্র তৈরির কাজে লাগাচ্ছেন মহেশখালীর অস্ত্রের কারিগরদের।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, মহেশখালীতে জলদস্যুতা ছেড়ে আত্মসমর্পণ করা ৯৬ আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পুরোনো ব্যবসায় ফিরে গেছেন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই নিজেও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আগস্ট মাসে পাহাড়ে কারখানা থেকে পাঁচটি নতুন তৈরি অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ মাহমুদুল করিম (৩০) নামের এক কারিগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছেন।
র্যাব বলছে, গত বছরের ৫ অক্টোবর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে তারা একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার খোঁজ পায়। সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির দুই কারিগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সরেজমিন কথা বললে নাম না বলার শর্তে উখিয়া ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) বলেন, ‘ক্যাম্পের অবস্থা ভয়াবহ। ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের হাতে হাতে অত্যাধুনিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র।
সেসব অস্ত্র নিয়ে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
সম্প্রতি ক্যাম্পে গুলি করে খুনের ঘটনা নিয়ে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে যে পাঁচ অস্ত্রধারী ছিলেন, তাঁরা সবাই ভারী আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও ব্যবহার করেন। সবশেষ শুক্রবার ভোররাতে যে ছয়জনকে খুন করা হয়, সেখানে বিদেশি অস্ত্রের পাশাপাশি দেশি আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করা হয়।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক বলেন, ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের কাছে অনেক অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ ও উখিয়া থানায় অস্ত্র মামলা হয়েছিল ১৭টি ৷ ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৭টি। আর চলতি বছরের ৯ মাসে ১৫টি অস্ত্র মামলা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ১৪টি দেশীয় পিস্তল, ৪৪টি এলজি, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৩০টি একনলা বন্দুক, ২৫টি দেশি বন্দুক, ৪টি পাইপগানসহ প্রচুর পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সময়ের মধ্যে ১২৩টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে কি হয়েছে জানি না। ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ এখন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে থাকবে।
পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে গত ৪ বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা কোন্দলে ১১৪ জন খুন হয়েছেন। সম্প্রতি মুহিবুল্লাহ ও ছয় খুনের তথ্য যোগ করে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও) এ তথ্য জানাচ্ছে। প্রতিটি খুনের ঘটনায়ই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করেনি পুলিশ।
শুধু খুনোখুনি নয়, পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ বছরে টেকনাফ ও উখিয়া থানায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে ১ হাজার ৩৬৯টি মামলা হয়েছে। মাদক, খুন, ডাকাতি, ধর্ষণের মামলায় আসামি করা হয় ২ হাজার ৩৮৫ জনকে। যাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৭৬১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু তারপরও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ কমছে না।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক আজকের পত্রিকা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা ধরনের অপরাধ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে এত মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সত্যি তারা হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আরও ফোর্স বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।
রোহিঙ্গা শিবিরে অস্ত্র নিয়ে এখন আর কোনো রাখঢাক নেই। একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ সেখানে সক্রিয়, তাদের সবার হাতেই আছে আধুনিক অস্ত্র। সেই অস্ত্র তারা ব্যবহার করছে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী আর প্রভাব বিস্তারের কাজে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এই অবৈধ অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভায় বলেছেন, ক্যাম্পগুলোয় ‘অস্থিরতা’ সৃষ্টির চেষ্টায় ‘মিয়ানমার’ থেকে অস্ত্র আসছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে নিজেরাই অস্ত্র তৈরি করছেন রোহিঙ্গারা। অস্ত্র তৈরির কাজে লাগাচ্ছেন মহেশখালীর অস্ত্রের কারিগরদের।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, মহেশখালীতে জলদস্যুতা ছেড়ে আত্মসমর্পণ করা ৯৬ আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পুরোনো ব্যবসায় ফিরে গেছেন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই নিজেও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আগস্ট মাসে পাহাড়ে কারখানা থেকে পাঁচটি নতুন তৈরি অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ মাহমুদুল করিম (৩০) নামের এক কারিগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছেন।
র্যাব বলছে, গত বছরের ৫ অক্টোবর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে তারা একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার খোঁজ পায়। সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির দুই কারিগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সরেজমিন কথা বললে নাম না বলার শর্তে উখিয়া ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) বলেন, ‘ক্যাম্পের অবস্থা ভয়াবহ। ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের হাতে হাতে অত্যাধুনিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র।
সেসব অস্ত্র নিয়ে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
সম্প্রতি ক্যাম্পে গুলি করে খুনের ঘটনা নিয়ে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে যে পাঁচ অস্ত্রধারী ছিলেন, তাঁরা সবাই ভারী আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও ব্যবহার করেন। সবশেষ শুক্রবার ভোররাতে যে ছয়জনকে খুন করা হয়, সেখানে বিদেশি অস্ত্রের পাশাপাশি দেশি আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করা হয়।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক বলেন, ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের কাছে অনেক অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ ও উখিয়া থানায় অস্ত্র মামলা হয়েছিল ১৭টি ৷ ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৭টি। আর চলতি বছরের ৯ মাসে ১৫টি অস্ত্র মামলা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ১৪টি দেশীয় পিস্তল, ৪৪টি এলজি, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৩০টি একনলা বন্দুক, ২৫টি দেশি বন্দুক, ৪টি পাইপগানসহ প্রচুর পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সময়ের মধ্যে ১২৩টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে কি হয়েছে জানি না। ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ এখন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে থাকবে।
পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে গত ৪ বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা কোন্দলে ১১৪ জন খুন হয়েছেন। সম্প্রতি মুহিবুল্লাহ ও ছয় খুনের তথ্য যোগ করে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও) এ তথ্য জানাচ্ছে। প্রতিটি খুনের ঘটনায়ই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করেনি পুলিশ।
শুধু খুনোখুনি নয়, পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ বছরে টেকনাফ ও উখিয়া থানায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে ১ হাজার ৩৬৯টি মামলা হয়েছে। মাদক, খুন, ডাকাতি, ধর্ষণের মামলায় আসামি করা হয় ২ হাজার ৩৮৫ জনকে। যাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৭৬১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু তারপরও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ কমছে না।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক আজকের পত্রিকা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা ধরনের অপরাধ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে এত মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সত্যি তারা হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আরও ফোর্স বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে