শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
একসময় টেকনাফে রিকশার কারিগর হিসেবে কাজ করতেন আবদুল গফুর। কিন্তু সেই কাজ বাদ দিয়ে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা কারবারে। তিন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘পারিবারিক ইয়াবা সিন্ডিকেট’। ইয়াবা বিক্রি করে খুব অল্প সময়ে ধনী হয়ে ওঠেন। শুধু তা-ই নয়, অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের বড় একটি অংশ পাচার করেন বিদেশে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, মাদকের কারবার করেই কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে আবদুল গফুরের পরিবার। তাঁর বড় ছেলে শফিকের বিরুদ্ধে ১০টি মাদক মামলা ও দুটি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত চলছে। ছোট দুই ছেলে মনির আর রফিকের নামেও রয়েছে ১৫টি করে মাদক মামলা। সব মামলায় নাম রয়েছে গফুরেরও।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গফুরের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব না থাকলেও তাঁর বড় ছেলে শফিকের নামে মিলেছে ৭ ব্যাংকে ১২টি হিসাব। আর তাতে লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি টাকার ওপরে। একইভাবে রয়েছে অন্য ছেলেদেরও।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ সুপার হুমায়ন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, শফিকের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি ও ৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুটি অর্থ পাচার মামলার তদন্ত চলছে। এই টাকা উপার্জনের পেছনে কোনো বৈধ ব্যবসা বা আয় দেখাতে পারেননি তাঁরা।
জানা যায়, বর্তমানে গফুরের পরিবারের নেতৃত্বেই মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান দেশে ঢুকছে। টেকনাফকেন্দ্রিক মাদক ব্যবসায় ১০-১৫ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট চালায় এই পরিবার। সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে কাজ করেন বড় ছেলে শফিক। ছোট ছেলেদেরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব। মাদক কারবার থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকায় তাঁরা কক্সবাজার টেকনাফের ডেইল পাড়া বায়তুল বর জামে মসজিদের পাশে নিজেদের ঝুপড়িঘর ছেড়ে গড়ে তুলেছেন অট্টালিকা। যুক্ত হয়েছেন পৌর রাজনীতিতেও।
টেকনাফে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই গফুর তাঁর মেজ ছেলে মনিরকে ২০২১ সালে টেকনাফ পৌরসভার নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠে নামান। কিন্তু ২৮ অক্টোবর দুই ভাই ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এলাকায় হইচই পড়ে যায়। তখন আবদুল গফুর নিজেই কাউন্সিলর প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
সিআইডির তদন্ত বলছে, গফুরের বড় ছেলে শফিক আলম ২০১৪ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের মাধ্যমে কৌশলে ইয়াবা বড়ি আনেন। তাঁর এ কাজে যুক্ত ছিলেন দুই ভাই মনির আলম, রফিক আলমসহ ১৫ জনের একটি দল। ২০১৭ সালের দিকে টেকনাফ সদর ইউপি এলাকার ইয়াবা সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ আসে শফিকের হাতে। তবে ২০১৯ সালে মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনার পর থেকে তাঁরা সবাই বাড়ি ছেড়ে যান। টেকনাফ ছেড়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া করে সেখানে বসবাস করতে থাকেন, কিন্তু বন্ধ করেননি ইয়াবা কারবার। ২০২১ সালে ইয়াবা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন বেশ তৎপর হয়ে ওঠে, সেই বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশনে দুই ব্যাগ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন দুই সহোদর মনির ও রফিক। সেই চালানেরও হোতা ছিলেন বড় ভাই শফিক।
তদন্তকারীরা বলছেন, মাদকের টাকা নিরাপদ রাখতে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে দুবাইয়ে পালিয়েছেন মেজ ছেলে মনির। গফুর আর রফিক পুলিশের ভয়ে এখন পালিয়ে থাকেন। কিন্তু মাদক সিন্ডিকেটের কাজ ঠিকই করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গত ৮ এপ্রিল ঢাকায় ইয়াবার বড় চালান পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে গিয়ে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হন শফিক। এখন তিনি চট্টগ্রামে কারাগারে রয়েছেন।
একসময় টেকনাফে রিকশার কারিগর হিসেবে কাজ করতেন আবদুল গফুর। কিন্তু সেই কাজ বাদ দিয়ে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা কারবারে। তিন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘পারিবারিক ইয়াবা সিন্ডিকেট’। ইয়াবা বিক্রি করে খুব অল্প সময়ে ধনী হয়ে ওঠেন। শুধু তা-ই নয়, অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের বড় একটি অংশ পাচার করেন বিদেশে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, মাদকের কারবার করেই কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে আবদুল গফুরের পরিবার। তাঁর বড় ছেলে শফিকের বিরুদ্ধে ১০টি মাদক মামলা ও দুটি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত চলছে। ছোট দুই ছেলে মনির আর রফিকের নামেও রয়েছে ১৫টি করে মাদক মামলা। সব মামলায় নাম রয়েছে গফুরেরও।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গফুরের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব না থাকলেও তাঁর বড় ছেলে শফিকের নামে মিলেছে ৭ ব্যাংকে ১২টি হিসাব। আর তাতে লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি টাকার ওপরে। একইভাবে রয়েছে অন্য ছেলেদেরও।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ সুপার হুমায়ন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, শফিকের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি ও ৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুটি অর্থ পাচার মামলার তদন্ত চলছে। এই টাকা উপার্জনের পেছনে কোনো বৈধ ব্যবসা বা আয় দেখাতে পারেননি তাঁরা।
জানা যায়, বর্তমানে গফুরের পরিবারের নেতৃত্বেই মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান দেশে ঢুকছে। টেকনাফকেন্দ্রিক মাদক ব্যবসায় ১০-১৫ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট চালায় এই পরিবার। সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে কাজ করেন বড় ছেলে শফিক। ছোট ছেলেদেরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব। মাদক কারবার থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকায় তাঁরা কক্সবাজার টেকনাফের ডেইল পাড়া বায়তুল বর জামে মসজিদের পাশে নিজেদের ঝুপড়িঘর ছেড়ে গড়ে তুলেছেন অট্টালিকা। যুক্ত হয়েছেন পৌর রাজনীতিতেও।
টেকনাফে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই গফুর তাঁর মেজ ছেলে মনিরকে ২০২১ সালে টেকনাফ পৌরসভার নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠে নামান। কিন্তু ২৮ অক্টোবর দুই ভাই ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এলাকায় হইচই পড়ে যায়। তখন আবদুল গফুর নিজেই কাউন্সিলর প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
সিআইডির তদন্ত বলছে, গফুরের বড় ছেলে শফিক আলম ২০১৪ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের মাধ্যমে কৌশলে ইয়াবা বড়ি আনেন। তাঁর এ কাজে যুক্ত ছিলেন দুই ভাই মনির আলম, রফিক আলমসহ ১৫ জনের একটি দল। ২০১৭ সালের দিকে টেকনাফ সদর ইউপি এলাকার ইয়াবা সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ আসে শফিকের হাতে। তবে ২০১৯ সালে মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনার পর থেকে তাঁরা সবাই বাড়ি ছেড়ে যান। টেকনাফ ছেড়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া করে সেখানে বসবাস করতে থাকেন, কিন্তু বন্ধ করেননি ইয়াবা কারবার। ২০২১ সালে ইয়াবা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন বেশ তৎপর হয়ে ওঠে, সেই বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশনে দুই ব্যাগ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন দুই সহোদর মনির ও রফিক। সেই চালানেরও হোতা ছিলেন বড় ভাই শফিক।
তদন্তকারীরা বলছেন, মাদকের টাকা নিরাপদ রাখতে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে দুবাইয়ে পালিয়েছেন মেজ ছেলে মনির। গফুর আর রফিক পুলিশের ভয়ে এখন পালিয়ে থাকেন। কিন্তু মাদক সিন্ডিকেটের কাজ ঠিকই করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গত ৮ এপ্রিল ঢাকায় ইয়াবার বড় চালান পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে গিয়ে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হন শফিক। এখন তিনি চট্টগ্রামে কারাগারে রয়েছেন।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৪ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৪ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫