ফরিদপুরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও

ফরিদপুর সংবাদদাতা
Thumbnail image

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি ভুয়া এনজিও গ্রাহকদের বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ নামের কথিত ওই এনজিওটি ঋণ দেওয়ার কথা বলে সঞ্চয় বাবদ আদায় করা প্রায় ১৫ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর ‘সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ নামের একটি এনজিওর পরিচয় দিয়ে কয়েক যুবক বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মাধবপুর, খরসুতি, বেলজানি, খাইরপাড়া গ্রামে গিয়ে ওই এনজিওর জন্য সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। এনজিওটির প্রধান শাখা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জাকোগ্রামে অবস্থিত বলে এনজিওটির কর্মকর্তারা গ্রামবাসীদের জানান। তাঁরা সদস্যদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করবেন বলে ঘোষণা দেন। এ জন্য ঋণপ্রাপ্তির আগে ঋণগ্রহীতাদের প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে হবে বলে শর্ত দেন। এতে গ্রামের মানুষেরা ওই শর্ত পূরণের জন্য ঋণপ্রাপ্তির আশায় লাখপ্রতি ১০ হাজার টাকা ওই এনজিওতে সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখেন। তিন দিন এভাবে চার গ্রামে সঞ্চয় সংগ্রহের পর ১২ ডিসেম্বর বিকেলের পর থেকে ওই এনজিওর কর্মকর্তারা আদায় করা টাকা নিয়ে সটকে পড়েন।

উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের ওহিদুজ্জামান বলেন, তাঁর ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এনজিওটির কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি জিডি করবেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, ময়না ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাঁরা পালিয়ে গেছেন।

একই গ্রামের নবীর হোসেন বলেন, ‘দুই লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা নিয়েছে। এখন তাঁদের খোঁজ নেই। আমরা তাঁদের নামও জানি না।’

ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা সাহেব আলী বলেন, দুই লাখ টাকা লোন দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকেও ২২ হাজার টাকা নিয়েছেন। আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ আরও দুই হাজার টাকা নিয়েছেন।

খরসুতি গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার বাড়িতে দুজন লোক আসেন। তাঁরা বলেন দুই লাখ টাকা লোন দেবেন। তাঁদের ২২ হাজার টাকা দিতে হবে সঞ্চয় হিসেবে। আমি তাঁদের বিশ্বাস করে টাকা দিই, এখন আর তাঁদের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।’

এ ব্যাপারে ময়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক মৃধা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি।’

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কেউ যদি থানা-পুলিশের সহযোগিতা চান তাহলে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত