ছাতকে অরক্ষিত রেলের কোটি টাকার মালপত্র

সদরুল আমিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ)
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১: ১১

সুনামগঞ্জের ছাতকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পদ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রায় প্রতি রাতেই চুরি হচ্ছে মালপত্র। অরক্ষিত রেলওয়ের সম্পদ একটি চক্র লুটেপুটে খাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে সিলেটের জালালাবাদ থানা-পুলিশ লামাকাজি এলাকা থেকে ছাতক রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ চোরাই মালসহ রজত নামের একজনকে আটক করেছে। ছাতক রেলপথের চোরাই মালসহ পুলিশ আরও একাধিকবার সিলেট থেকে একাধিক চোরকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামারির সময় থেকে ছাতক-সিলেট রেলপথে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ। পরে ভয়াবহ বন্যায় এ রেলপথের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ফলে এ পর্যন্ত ছাতক-সিলেট রেলপথে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। তখন থেকেই এখানে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পদ।

অভিযোগ উঠেছে, ছাতক ও ভোলাগঞ্জে রেলওয়ের গুদাম, বাসাবাড়ি, পুকুর, দোকান ও ভূমি ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আদায় করছে রেলওয়ের একটি সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বহিরাগতদের নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি চোর চক্র। সিলেটের কর্মকর্তারাও এখানের বাসাভাড়া, দোকানভাড়া, পাথরসহ মূল্যবান মালপত্র চুরির ভাগ পেয়ে থাকেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।

বর্তমানে লাইনের স্লিপার, নাটবল্টু গাড়ির চাকা ও কাঠ চুরি হচ্ছে ব্যাপক হারে। ছাতকে রেলওয়ের সম্পদ পাহারায় (রক্ষায়) যেসব টিএলআর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তা শুধু কাগজে-কলমে। ১২ থেকে ১৫ জন টিএলআরের নামে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা (প্রতিজনের) বেতন উত্তোলন করে ছাতক ও সিলেটের কর্মকর্তারা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিচ্ছেন। আদৌ ছাতক-ভোলাগঞ্জে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো টিএলআরকে (পাহারাদার) কাজ করতে দেখা যায়নি।

সিলেট জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, রেলগাড়ির চাকা, লোহা, ইত্যাদি চোরাই মাল পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে পালানোর সময় রজত দাসকে আটক করা হয়েছে।

ছাতক রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী জুবায়ের আহমদ জানান, রেলওয়ের অনেক মালপত্র এখান থেকে খোয়া গেছে। এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই অনিয়ম-দুর্নীতি ও চুরির সঙ্গে জড়িত নন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত