কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
৭০ দশকে হবিগঞ্জ জেলায় ৫০টির অধিক নদী ছিল। বর্তমানে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকায় আছে মাত্র ২২টি নদীর নাম। অর্থাৎ গত ৫ দশকে হবিগঞ্জ জেলায় অর্ধেকেরও বেশি নদীর নাম মুছে গেছে। অস্তিত্ব নেই নদীর সঙ্গে মিশে থাকা শত শত খালের। এসব নদী ও খাল দখল করে গড়ে উঠেছে বসতি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা।
যে ২২টি নদী এখনো টিকে আছে সেগুলোও পরিণত হয়েছে খাল বা নালায়। সেই সঙ্গে নদী শাসনে মহা সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে কুশিয়ারা, কালনী, খোয়াই, ধলেশ্বরী, সুতাং, রত্না এবং করাঙ্গীর মতো বড় নদীগুলোও।
পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, এসব নদী হারিয়ে যাওয়া এবং দখল দূষণের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাই দায়ী। এখনো যেসব নদী টিকে আছে এগুলো সংরক্ষণ করা না হলে কয়েক বছর পর সেগুলোও হারিয়ে যাবে। এতে চরম সংকটে পড়বে পরিবেশ প্রকৃতি ও প্রাণীকুল।
নবীগঞ্জের এক সময়ের খরস্রোতা শাখাবরাক নদী। এই নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল নবীগঞ্জ শহর। এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। এই নদী দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করত শত শত নৌযান। নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন এই এলাকার বাসিন্দারা। গেল চার দশকে সেই নদীটি এখন মৃতপ্রায়। নদীর দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত বসতি আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ফলে মরা খালে পরিণত হয়েছে এক সময়ের খরস্রোতা নদীটি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘নদী হারিয়ে যাওয়া এবং দখল-দূষণের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দায়ী। তাঁরা এসব নদী রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই প্রতিনিয়ত দখল হচ্ছে। এ ছাড়া যে সরকারই যখন ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারের ক্ষমতাসীন নেতারা নদী দখল করেন।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ‘নদী রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। ইতিমধ্যে নদীর ওপর গড়ে ওঠা ৯৪২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকিগুলো উচ্ছেদেও তালিকা তৈরি করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে হাইকোর্টে মামলা থাকায় ৩৩টি স্থাপনায় হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন ‘নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর। এমনকি দখলদারদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে আদালতেও লড়াই করছি আমরা।’
৭০ দশকে হবিগঞ্জ জেলায় ৫০টির অধিক নদী ছিল। বর্তমানে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকায় আছে মাত্র ২২টি নদীর নাম। অর্থাৎ গত ৫ দশকে হবিগঞ্জ জেলায় অর্ধেকেরও বেশি নদীর নাম মুছে গেছে। অস্তিত্ব নেই নদীর সঙ্গে মিশে থাকা শত শত খালের। এসব নদী ও খাল দখল করে গড়ে উঠেছে বসতি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা।
যে ২২টি নদী এখনো টিকে আছে সেগুলোও পরিণত হয়েছে খাল বা নালায়। সেই সঙ্গে নদী শাসনে মহা সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে কুশিয়ারা, কালনী, খোয়াই, ধলেশ্বরী, সুতাং, রত্না এবং করাঙ্গীর মতো বড় নদীগুলোও।
পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, এসব নদী হারিয়ে যাওয়া এবং দখল দূষণের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাই দায়ী। এখনো যেসব নদী টিকে আছে এগুলো সংরক্ষণ করা না হলে কয়েক বছর পর সেগুলোও হারিয়ে যাবে। এতে চরম সংকটে পড়বে পরিবেশ প্রকৃতি ও প্রাণীকুল।
নবীগঞ্জের এক সময়ের খরস্রোতা শাখাবরাক নদী। এই নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল নবীগঞ্জ শহর। এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। এই নদী দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করত শত শত নৌযান। নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন এই এলাকার বাসিন্দারা। গেল চার দশকে সেই নদীটি এখন মৃতপ্রায়। নদীর দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত বসতি আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ফলে মরা খালে পরিণত হয়েছে এক সময়ের খরস্রোতা নদীটি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘নদী হারিয়ে যাওয়া এবং দখল-দূষণের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দায়ী। তাঁরা এসব নদী রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই প্রতিনিয়ত দখল হচ্ছে। এ ছাড়া যে সরকারই যখন ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারের ক্ষমতাসীন নেতারা নদী দখল করেন।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ‘নদী রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। ইতিমধ্যে নদীর ওপর গড়ে ওঠা ৯৪২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকিগুলো উচ্ছেদেও তালিকা তৈরি করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে হাইকোর্টে মামলা থাকায় ৩৩টি স্থাপনায় হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন ‘নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর। এমনকি দখলদারদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে আদালতেও লড়াই করছি আমরা।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে