Ajker Patrika

আরাভ খানকে ফেরানো নিয়ে নির্দেশনা নেই

তোফাজ্জল হোসেন রুবেল
আরাভ খানকে ফেরানো নিয়ে নির্দেশনা নেই

দুবাইয়ে একটি সোনার দোকান উদ্বোধন ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। অবশ্য তিনি সে দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন তৎপরতার কথা শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে কিছু জটিলতার বিষয়ও সামনে এসেছে। এসব নিয়ে দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এ বি এম জামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফাজ্জল হোসেন রুবেল।

প্রশ্ন: আরাভ খান ইস্যুতে দুবাইয়ে বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? 
উত্তর: আসলে বলতে গেলে এখন পর্যন্ত আমাদের অফিশিয়াল কোনো কার্যক্রম নেই। কারণ, আরাভ খান এখানে (দুবাই) ভারতীয় নাগরিক। তাঁর সে দেশের পাসপোর্ট আছে। সেই হিসেবে দুবাই পুলিশ কোনো কার্যক্রম করলে তা ভারতীয় দূতাবাসকে অবহিত করবে। এ কারণে তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। যদিও সব সময় স্বীকার করেছেন তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আপনারা দুবাই কর্তৃপক্ষকে কিছু জানিয়েছেন? 
উত্তর: আমাদের কর্তৃপক্ষ বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এখনো আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তাই আমাদের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। আরাভ ইস্যুতে দুবাইয়ে ভারতীয় মিশনের সঙ্গেও কোনো দাপ্তরিক আলোচনা হয়নি।

প্রশ্ন: শোনা যায়, আরাভ খানের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ ছিল, এটি কী সত্য? 
উত্তর: আরাভ খান সম্পর্কে মিডিয়ায় আসার আগে আমরা আসলে খুব বেশি কিছু জানতাম না। আমরা মূলত ১৪ মার্চ জেনেছি। ১৫ মার্চ তাঁর স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন ছিল। এর আগের দিন বাংলাদেশ থেকে সেলিব্রিটিরা এসেছেন। এসব যখন মিডিয়ায় এল, তখন জেনেছি। এ ছাড়া যেহেতু বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন হবে, তিনি (আরাভ) আমাদেরও আমন্ত্রণপত্র দিয়েছেন। কিন্তু আমরা যাইনি।

প্রশ্ন: আরাভকে দেশে ফিরিয়ে নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা এলে কী কী বিধান অনুসরণ করতে হবে?
উত্তর: তাঁকে বাংলাদেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে যদি বাংলাদেশ থেকে কনসার্ন অথরিটি আমাদের কোনো ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট দেয় বা নির্দেশনা থাকে, তাহলে সেই নির্দেশনার স্পষ্টতা অনুযায়ী আমরা অ্যাকশনে যাব।

প্রশ্ন: আপনারা কী কী ধাপে কাজ করবেন? 
উত্তর: এটা বলা যাবে না। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এটা আমরা জানি। তিনি স্বীকারও করেছেন। কিন্তু দুবাইয়ের নথিপত্রে তিনি ভারতীয় নাগরিক। এখন ইন্টারপোল ও বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা অনুযায়ী এ দেশের সরকার কীভাবে টেকনিক্যাল সমস্যাগুলোর সমাধান করবে, তা তাদের ওপর নির্ভর করবে। 

প্রশ্ন: কিছু গণমাধ্যম বলছে, আরাভ দুবাইয়ে আটক হয়েছেন বা তাঁকে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এ বিষয়ে আপনার কাছে কী তথ্য আছে? 
উত্তর: বাংলাদেশ পুলিশ আর দুবাই পুলিশের মধ্যে যোগাযোগ হয়ে থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আরেকটা বিষয়, বাংলাদেশের অনুরোধে যদি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে দুবাই পুলিশ আমাদের জানাবে। কিন্তু বিধি অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে যদি দুবাই সরকার গ্রেপ্তার করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবহিত করার কথা। সেই হিসাবে আমাদের নয়, ভারতীয় দূতাবাসকে অবহিত করবে।

প্রশ্ন: ইন্টারপোলে চিঠি চালাচালি হয়েছে। এখন আরাভ চাইলে কী দুবাই ছাড়তে পারবেন?
উত্তর: তিনি দুবাই ত্যাগ করতে পারবেন কি না, সেটা নির্ভর করছে তাঁর দুবাই ত্যাগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে কি না। তবে যেহেতু ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে এবং দুবাই সরকার যেহেতু আরাভের বিষয়টা অবগত, তাই তিনি নজরদারিতে, তা বলতে পারি। দুবাই পুলিশ তাঁকে নজরদারিতে রেখেছে।

প্রশ্ন: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
উত্তর: আপনাকেও ধন্যবাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত