আশপাশে ৮ সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মাদক কারবার

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ৫৫
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৭

বরুড়া উপজেলার ঝলমের বাসিন্দা মনির হোসেনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন মাদক কারবারের অভিযোগ। মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণের জন্য তাঁর রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। প্রশাসনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে বাড়ি ও আশেপাশে লাগিয়েছেন আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলে মাদকদ্রব্য নিয়ে সরে পড়েন তিনি। এভাবেই কাটছিল দিন। অবশেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে তাঁর স্ত্রীকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তার করা যায়নি মনির হোসেনকে।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরে মনির হোসেনের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এতে নেতৃত্ব দেন। এতে বরুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ অংশ নেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, গতকাল ভোরে যখন অভিযুক্তকে ঘুমে রেখে বাড়িতে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ী অভিযান হয়। এ সময় বাড়ি থেকে ১ হাজার ৮১৫টি ইয়াবা বড়ি ও ৫০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় মনিরের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে। বাড়ি থেকে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা ও একটি মনিটর জব্দ করা হয়। ধ্বংস করা হয় ছয়টি সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে মনির পালিয়ে যান।

অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিদর্শক রূপন কান্তি পাল, মো. মুরাদ হোসেনসহ বিভাগীয় সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান, মনির তাঁর মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণের জন্য বাড়ি ও আশেপাশে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন। প্রধান সড়কসহ তাঁর বাড়ির আশপাশের এলাকা এ ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেন তিনি। সহকারী পরিচালক বলেন, ‘হয়তো আমাদের দলের গতিবিধি দেখে তিনি পালিয়ে গেছেন। মাদক উদ্ধারের বিষয়ে মনির ও তাঁর স্ত্রীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত