সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ১৫
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ১২

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তাঁর পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ বুধবার দুদকের কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
 
দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়া গেছে। 

দুদকের চিঠিতে বলা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি কেনার অভিযোগ রয়েছে। 

সাবেক সেনাপ্রধানের ভাইদের দুর্নীতির বিষয়ে কমিশনের অনুসন্ধানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দুদক সচিব বলেন, তাঁদের তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধান কর্মকর্তারা কাজ করছেন। 

একই দিনে কমিশন সভায়, ফেনী–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও স্ত্রী নূরজাহানের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির সুবিধাভোগী, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, পুলিশ, আমলাসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তির তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে দুদক। 

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিনও তথ্য চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’ 

দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল
দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল আজ। তবে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে কমিশনের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। তাঁর পক্ষে এই আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ হোসেন খান। 

দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রধান উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমানের কাছে করা আবেদনে কামরুল উল্লেখ করেন, ‘বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার এমপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ৪ সেপ্টেম্বর আমাকে ডাকা হয়। আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই তারিখে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়। আমাকে আগামী এক মাসের জন্য সময় দিয়ে বাধিত করবেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত