Ajker Patrika

চিকিৎসকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা, মালিক কারাগারে

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
চিকিৎসকসহ পাঁচজনের  বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা, মালিক কারাগারে

বরগুনার পাথরঘাটায় প্রতারণার মামলায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকের মালিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

জানা গেছে, গতকাল দুপুরে শাপলা ক্লিনিক সিলগালা করে দিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার।

এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা বশির আহমেদ, সাবেক সিভিল সার্জন তরুণ কুমার সিকদার, পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, শাপলা ক্লিনিকের মালিক মকবুল হোসেন মিলন, ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মিলন, নার্স মনিকাকে আসামি করে প্রতারণার মামলাটি করেন এক রোগীর স্বজন। পরে পুলিশ বশির আহমেদ ও ক্লিনিকের মালিক মিলনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল আদালতে তোলা হলে চিকিৎসক বশিরকে আদালত জামিন দেন।

চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে গতকাল পাথরঘাটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিক মালিক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা অনেকে। পরে বেলা দুইটার দিকে ক্লিনিক মালিক সমিতির সঙ্গে জরুরি সভা করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাইফুল হাসান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার পাথরঘাটা হাসপাতাল রোডে অবস্থিত শাপলা ক্লিনিকে সুরমা আক্তার নামে এক রোগী ভর্তি হন। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাঁর অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে। ওই দিন রাত ১০টার দিকে অপারেশন থিয়েটার নিয়ে ডা. বশির আহমেদ অপারেশন শুরু করেন। অস্ত্রোপচারের পর দেখতে পান অ্যাপেন্ডিসাইটিসের পাশে আরেকটি টিউমার।

তাৎক্ষণিক তিনি রোগীর স্বজনদের কাছে এ অপারেশনের অপারগতা প্রকাশ করেন। এবং রোগীর কাটাছেঁড়া স্থানে সেলাই করে তাঁকে ক্লিনিকের বেডে পাঠান এবং তাৎক্ষণিক রোগীকে বরিশাল নেওয়ার জন্য তিনি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর স্বজনদের নির্দেশ দেন।

এ সময় রোগীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে না পাঠিয়ে ঢাকা থেকে আসা সাবেক সিভিল সার্জন তরুণ কুমার দ্বিতীয়বার অপারেশন থিয়েটারে কাটাছেঁড়া করেন। তিনি টিউমারের সঙ্গে নাড়ির প্যাঁচ লাগানো দেখে অপারেশন করতে অস্বীকৃতি জানান।

এবং বরিশালে নেওয়ার কথা বলেন। একই স্থানে দুইবার অপারেশন করায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রোগীর বাবা লাহু হাওলাদার থানায় মামলা করেন। ইউএনও জানান, নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে শাপলা ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত