সব ধরনের নেশাদ্রব্য হারাম

ড. মো. শাহজাহান কবীর
Thumbnail image

ইসলাম সব ধরনের মাদক তথা নেশাদ্রব্য হারাম ঘোষণা করেছে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘প্রতিটি নেশাদ্রব্যই মদ, আর সব মদই হারাম।’ মাদক হলো অপরাধের আকর। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হারুত ও মারুত এ মাদকের নেশায় মাতাল হয়েই জোহরার ইশারায় হত্যা, ব্যভিচারসহ নানা অপরাধে লিপ্ত হয়েছিল। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)

মাদকদ্রব্য বিভিন্ন ধরনের অন্যায় ও অপরাধ উসকে দেয়। ইসলামি শরিয়তের মৌলিক পাঁচটি উদ্দেশ্য রয়েছে। তা হলো—জীবনের নিরাপত্তা, সম্পদের নিরাপত্তা,জ্ঞানের সুরক্ষা, বংশের সুরক্ষা এবং ধর্ম পালনের নিশ্চয়তা। জীবনের সুরক্ষার জন্যই ইসলামি আইনে হত্যার পরিবর্তে হত্যার বিধান রাখা হয়েছে। আর জ্ঞান বা বিবেক-বুদ্ধির সুরক্ষার জন্য সব ধরনের নেশাদ্রব্য হারাম করা হয়েছে। তাই ইসলামি শরিয়তে মাদক সেবনের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা রয়েছে।

পবিত্র কোরআনে তিন ধাপে মাদক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রথমে এরশাদ হয়েছে, ‘লোকজন আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলুন, এ দুটির মধ্যে রয়েছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য কিছু উপকারও। তবে এগুলোতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি।’ (সুরা বাকারা: ২১৯) পরবর্তীকালে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, মদ, জুয়া, পূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু, এগুলো শয়তানের কাজ। সুতরাং, তোমরা তা বর্জন করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা মায়েদা: ৯০) সর্বশেষ এরশাদ হয়েছে, ‘শয়তান তো মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণে ও সালাতে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?’ (সুরা মায়েদা: ৯১) 

লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত