তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার তিতাসে যুবলীগ নেতা জহির হত্যার জেরে আবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের জগৎপুর গ্রামের মৃত সুবিদ আলী সরকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. রিপন (২৮), ইউসুফ রানা (৩০), বিল্লাল সরকার (৪০), বাবু (২৭), হান্নান (২৪) ও মাসুম (২২)। তাঁদের মধ্যে বিল্লাল সরকারের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জহির হত্যা মামলার আসামি ইউসুফ রানার স্ত্রী স্বপনা আক্তার বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁর স্বামীকে জহির হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ইউসুফ রানা বাড়ি গেলে আবু মোল্লার তিন ছেলেসহ ৩০-৪০ জন তাঁকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাস্তায় নিয়ে তিনবার গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে ইউসুফ রানার বড় ভাই বিল্লালসহ আরও লোকজন এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। এ সময় বিল্লাল সরকারের একটি চোখ তুলে ফেলা হয়।
ইউসুফ রানার ছোট ভাই হেলাল সরকার বলেন, ‘আমার ভাই জহির হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল না। জহিরদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি কমপক্ষে ৩-৪ মাইল দূরে। আমরা জহিরের জানাজায় গিয়েছি, আমরাও জহির হত্যার বিচার চাই।’
অপরদিকে মামলার ১ নম্বর আসামি সাইফুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আবু মোল্লা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তিনিসহ তাঁর ছেলেরা প্রায় ১০ বছর ধরে তাঁদের পরিবারের ওপর অত্যাচার ও জমি দখল করে আসছেন। ২০১৩ সালে তাঁর ছোট ছেলে সোহরাবকে মেরে দুই পা ভেঙে দেওয়া হয়। হাসপাতালে নিতে দেয়নি, অ্যাম্বুলেন্সও আটকে রেখেছিল। তারপর তাঁদের বাড়িতে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে, তাঁদের মারধর করেছে। তাঁদের ভয়ে প্রায় ১০ বছর বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় ছিলেন। এখন এক বছর হয়েছে বাড়িতে এসেছেন, আবার তাঁদের পরিবারের ওপর হামলা-মামলা শুরু করছে।
নাজমা বেগম আরও বলেন, ৬ ডিসেম্বর তাঁদের কেনা পুকুরে মাছ ধরতে গেলে জহির দলবল নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। পরে জহির তাঁর বাহিনী নিয়ে আবার তাঁদের বাড়িতে যান তাঁর ছেলে সোহরাবকে ধরে নেওয়ার জন্য, তখন মারামারি হয়। পরে তাঁরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এই সুযোগে তাঁদের বাড়ির আলমারিতে থাকা ৫ লাখ টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণ, ৯টি খাট, কাঠ ও স্টিলের আলমারি, শোকেস, ফ্রিজ, টিভি, সোফাসহ মূল্যবান আসবাব লুটপাট করেন। পরে ভবনে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে তাঁদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জহির হত্যা মামলার বাদী এসহাক মোল্লা বলেন, তাঁর বড় ভাই জহির মোল্লা হত্যা মামলার আসামি ইউসুফ রানার বাড়ির পাশে তাঁদের ইটভাটা আছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর বাবা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা ও তাঁর অন্য ভাইয়েরা ভাটায় যান। এ সময় ইউসুফ লোকজন নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা ভাটার ক্যাশ থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যান। তাঁরা বাধা দিলে হান্নান (২৪) ও মাসুম (২২) নামে দুজনকে রক্তাক্ত জখম করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিটিকান্দি ইউনিয়নের জগৎপুরে মারামারির খবর পান।তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। বর্তমানে ওই এলাকা শান্ত রয়েছে।
ওসি আরও জানান, এক পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন, অন্য পক্ষও লিখিত অভিযোগ দেবে বলে শুনেছেন। উভয় পক্ষের অভিযোগের আলোকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
কুমিল্লার তিতাসে যুবলীগ নেতা জহির হত্যার জেরে আবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের জগৎপুর গ্রামের মৃত সুবিদ আলী সরকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. রিপন (২৮), ইউসুফ রানা (৩০), বিল্লাল সরকার (৪০), বাবু (২৭), হান্নান (২৪) ও মাসুম (২২)। তাঁদের মধ্যে বিল্লাল সরকারের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জহির হত্যা মামলার আসামি ইউসুফ রানার স্ত্রী স্বপনা আক্তার বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁর স্বামীকে জহির হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ইউসুফ রানা বাড়ি গেলে আবু মোল্লার তিন ছেলেসহ ৩০-৪০ জন তাঁকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাস্তায় নিয়ে তিনবার গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে ইউসুফ রানার বড় ভাই বিল্লালসহ আরও লোকজন এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। এ সময় বিল্লাল সরকারের একটি চোখ তুলে ফেলা হয়।
ইউসুফ রানার ছোট ভাই হেলাল সরকার বলেন, ‘আমার ভাই জহির হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল না। জহিরদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি কমপক্ষে ৩-৪ মাইল দূরে। আমরা জহিরের জানাজায় গিয়েছি, আমরাও জহির হত্যার বিচার চাই।’
অপরদিকে মামলার ১ নম্বর আসামি সাইফুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আবু মোল্লা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তিনিসহ তাঁর ছেলেরা প্রায় ১০ বছর ধরে তাঁদের পরিবারের ওপর অত্যাচার ও জমি দখল করে আসছেন। ২০১৩ সালে তাঁর ছোট ছেলে সোহরাবকে মেরে দুই পা ভেঙে দেওয়া হয়। হাসপাতালে নিতে দেয়নি, অ্যাম্বুলেন্সও আটকে রেখেছিল। তারপর তাঁদের বাড়িতে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে, তাঁদের মারধর করেছে। তাঁদের ভয়ে প্রায় ১০ বছর বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় ছিলেন। এখন এক বছর হয়েছে বাড়িতে এসেছেন, আবার তাঁদের পরিবারের ওপর হামলা-মামলা শুরু করছে।
নাজমা বেগম আরও বলেন, ৬ ডিসেম্বর তাঁদের কেনা পুকুরে মাছ ধরতে গেলে জহির দলবল নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। পরে জহির তাঁর বাহিনী নিয়ে আবার তাঁদের বাড়িতে যান তাঁর ছেলে সোহরাবকে ধরে নেওয়ার জন্য, তখন মারামারি হয়। পরে তাঁরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এই সুযোগে তাঁদের বাড়ির আলমারিতে থাকা ৫ লাখ টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণ, ৯টি খাট, কাঠ ও স্টিলের আলমারি, শোকেস, ফ্রিজ, টিভি, সোফাসহ মূল্যবান আসবাব লুটপাট করেন। পরে ভবনে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে তাঁদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জহির হত্যা মামলার বাদী এসহাক মোল্লা বলেন, তাঁর বড় ভাই জহির মোল্লা হত্যা মামলার আসামি ইউসুফ রানার বাড়ির পাশে তাঁদের ইটভাটা আছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর বাবা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা ও তাঁর অন্য ভাইয়েরা ভাটায় যান। এ সময় ইউসুফ লোকজন নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা ভাটার ক্যাশ থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যান। তাঁরা বাধা দিলে হান্নান (২৪) ও মাসুম (২২) নামে দুজনকে রক্তাক্ত জখম করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিটিকান্দি ইউনিয়নের জগৎপুরে মারামারির খবর পান।তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। বর্তমানে ওই এলাকা শান্ত রয়েছে।
ওসি আরও জানান, এক পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন, অন্য পক্ষও লিখিত অভিযোগ দেবে বলে শুনেছেন। উভয় পক্ষের অভিযোগের আলোকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে