এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায়

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ০৪
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ০২

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এসএসসির প্রশংসাপত্র দেওয়ার সময় টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ফজলুল করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রশংসাপত্র নেওয়ার সময় ৫০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপর ছোটবাইশদিয়া ফজলুল করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রশংসাপত্র আনতে যায়। এ সময় তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় প্রত্যেককে প্রশংসাপত্র বাবদ ৫০০ টাকা করে নিয়ে আসতে হবে। বাধ্য হয়ে ওই শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে প্রশংসাপত্র নিচ্ছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রশংসাপত্র ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে না। এই সুযোগে তাদের জিম্মি করে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে একাধিক শিক্ষার্থী।

ওই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী রাজিব দাস বলে, ‘ফলাফল প্রকাশের দুই দিন পরে স্কুলে প্রশংসাপত্র আনতে গিয়েছি। তখন টাকা নিয়ে যাইনি বলে প্রধান শিক্ষক প্রশংসাপত্র ছাপানো নেই বলে পরের দিন যেতে বলেন। স্যারের কথা মতো পরের দিন স্কুলে গেলে প্রশংসাপত্র বাবদ ৫০০ টাকা চাওয়া হয়। বাধ্যতামূলক টাকা দেওয়া লাগবে কি না জিজ্ঞেস করলে, আমার ওপর চড়াও হন স্যার। নিরুপায় হয়ে সোহরাব স্যারের বিকাশ নম্বরে ৫০০ টাকা দিয়ে দুজনের প্রশংসাপত্র নিয়ে আসি।’

ছোটবাইশদিয়া ফজলুল করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিন শরত বলেন, ‘টাকা ছাড়া কেউ প্রশংসাপত্র দেয়? আপনারা কি জীবনে প্রশংসাপত্র আনছেন টাকা ছাড়া? আমার একার সিদ্ধান্তে কিছু হয় না। আমি যদি জানি একটা মানুষ হতদরিদ্র, খেতে পায় না, শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে হয়তো তার থেকে ৫০ টাকা কম নিতে পারি। এ ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই।’

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অনাদি কুমার বাহাদুর বলেন, ‘প্রশংসাপত্র দেওয়ার সময় টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ বাবদ খরচ নেওয়া হয়।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত