
গত বছরের সেপ্টেম্বরের এক সোনালি সকাল। ক্যালভিন লো নামের এক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসের এক সম্পাদককে হংকংয়ে পারিবারিক জীবনবিমা ব্রোকারেজ ফার্মে ডেকে পাঠান। আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই ফার্মে যাওয়ার পর ফোর্বস সম্পাদকের চোখ তো ছানাবড়া! অফিসের সাজসজ্জা দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। অবশ্য সেই বিস্ময় কেটে যায় ফোর্বসের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর।
থ্রিপিস স্যুট, টাই এবং এর সঙ্গে মিলিয়ে পকেট স্কয়ার পরা ক্যালভিন লো অফিসের কনফারেন্স রুমে ফোর্বস সম্পাদককে নিয়ে বসেছিলেন। অফিসটি কাঠ দিয়ে মোড়ানো, চামড়ার মলাটযুক্ত বই এবং ফুলদানি দিয়ে সজ্জিত।
ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না, তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
বয়স্ক বিলিয়নিয়ার গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের ধনকুবেররা তাঁদের বিপরীত—এই প্রবণতা তাঁকে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় স্থান পেতে আগ্রহী করেছে বলেও জানান লো।
পরবর্তী সময়ে ফোর্বসের নথি যাচাইয়ে উঠে আসে, বাস্তবে লোর কৌতূহলী এবং দ্বিধান্বিত ভাব দেখানো ছিল একটা ফাঁদ। আসলে তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করছিলেন ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় স্থান পেতে। অবশ্য লো একা নন, তাঁর মতো ২০২০ সাল থেকে কমপক্ষে সাত ব্যক্তি ২০টিরও বেশি অনুষ্ঠানে ফোর্বসের ১১ জন সাংবাদিকের কাছে ধরনা দিয়েছেন।
ফোর্বস সম্পাদককে জানানো হয়, লো একজন আড়ালে থাকা বিলিয়নিয়ার, জনহিতৈষী ও বিনিয়োগকারী। ওই সাক্ষাতের পর ফোর্বসের কাছে এক ডজনেরও বেশি নথি পাঠানো হয়। কিছু নথি ব্যক্তিগত ও গোপনীয় সিলযুক্ত।
প্রাথমিকভাবে ফোর্বস বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। কারণ, প্রতিবছরই অসংখ্য লোক ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় ওঠার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
হংকংয়ে ফোর্বসের ছয়জন সম্পাদকের ব্যুরো। সেখানে আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল অবস্থিত হলেও প্রতিষ্ঠানটির নাম তাঁরা কখনো শোনেননি। আর বিমা পলিসি বিক্রি করে বিলিয়ন ডলার আয় করা অবিশ্বাস্যই মনে হয়েছিল সম্পাদকদের কাছে।
তবে ক্যালভিন লো ক্ষান্ত হননি। ঘুষ দিয়ে ফোর্বসের মধ্যপ্রাচ্য শাখা থেকে একটি ফিচার ছাপিয়েছিলেন। যেখানে তাঁকে বিলিয়নিয়ার বলা হয়। পরে অবশ্য ফোর্বসের মূল শাখা বিষয়টি জানতে পেরে নিবন্ধটি সরিয়ে দেয়।
‘ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকায়’ ওঠার এই ভুয়া খবর বিশ্বের নামকরা সব সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন লো। তারা ফোর্বসকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশ করে। বিবিসি, সিএনবিসি, ডেইলি এক্সপ্রেস, ডেইলি মিরর, দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, নিক্কেই এশিয়া, রয়টার্স এবং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মতো সংবাদমাধ্যমও এ তালিকায় রয়েছে। সব খবরেই ক্যালভিন লোকে বিলিয়নিয়ার বলে উল্লেখ করা হয়।
হংকংয়ে লোর সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর কমপক্ষে এক বছর তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই করেছে ফোর্বস। এ সময় ছয় দেশের ৪০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। লোর দেওয়া শত শত পৃষ্ঠার নথিতে দাবি করা হয়, আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ইনস্যুরেন্স ব্রোকার, যার প্রিমিয়াম মূল্য ১ বিলিয়ন ডলার। আর প্রতিষ্ঠাতা লোর সম্পদের মূল্য ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার।
হার্ভার্ডে পড়ুয়া দাবি করা এই বিনিয়োগকারী ২০১৮ সালে ব্যক্তিগত গাড়ি, আর. ই. লি. অক্টাগন এবং তাইওয়ানের পাঁচ তারকা ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেল কিনতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া ২৫০ মিলিয়ন ডলারের দাতব্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সারা বিশ্বে দেড় ডজন বাড়ির মালিক বলেও দাবি করা হয় নথিতে।
শুধু তাই নয়, তিনি এশিয়ার বৃহত্তম বিনিয়োগকারী, দামি অ্যালকোহল শ্যাম্পেন সংগ্রাহক, এশিয়ায় প্রথম গালফস্ট্রিম জি৬৫০ প্রাইভেট জেটের মালিক এবং কিংবদন্তি উইলিয়ামস ফর্মুলা-১ রেসিং দলের বিনিয়োগকারী—এমনটি দাবি করা হয়।
তবে ফোর্বসের তদন্তে এসব দাবির বেশির ভাগেরই সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আর বাকিগুলো সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ।
এফ-১ রেসিং দলে লোর কোনো অংশীদারত্ব নেই। তিনি ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল তাইপেই হোটেলের মালিক নন। তাঁর সরবরাহ করা ঠিকানায় বাড়িগুলো হয় তাঁর বাবা-মায়ের বা অন্য লোকের। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ক্যালভিন লো নামে কারও স্নাতক হওয়ার রেকর্ড নেই। তাঁর দাতব্য ফাউন্ডেশন বা আর. ই. লি. অক্টাগনের অস্তিত্বও পাওয়া যায়নি।
এদিকে আর. ই. লি. ক্যাপিটাল ফোর্বসকে জানিয়েছে, লো প্রকৃতপক্ষে এই ফার্মের একজন নন-এক্সিকিউটিভ ইক্যুইটি বিনিয়োগকারীর ছেলে। তাঁর মা রেজিনা লি এটির চেয়ারম্যান হলেও ক্যালভিন লোকে কোম্পানির সহযোগী বলে মনে করা উচিত নয়। এ ছাড়া আর. ই. লি. ক্যাপিটালের সম্পদ ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নয় বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে লোর প্রতিষ্ঠিত আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনালের সাবেক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছর প্রতিষ্ঠানটির অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) ৮০০ মিলিয়নের বেশি ছিল না। ফোর্বসের অনুমান কোম্পানিটির মূল্য সর্বসাকল্যে ৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো। আর এই অর্থের মালিক প্রকৃতপক্ষে কে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা, লোর মা ২০১৫ সালে কোম্পানিটি কিনেছিলেন।
তবে লোর বাবা ফ্রান্সিস লো এবং মা রেজিনা লির দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে হংকংয়ের অভিজাত এলাকায়। এ ছাড়া হংকংয়ের বাণিজ্যিক এলাকায় ও ভ্যানকুভারে আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনালের মোট ৪ হাজার ৪৫ বর্গফুটের অফিস রয়েছে।
লোর পরিবার ধনিক শ্রেণির—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, তবে বিলিয়নিয়ার নয়। ফোর্বসের ধারণা, লো ও তাঁর বাবা-মায়ের মোট সম্পদ ২০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
ফোর্বস লো এবং তাঁর মায়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে একটি দীর্ঘ প্রশ্নের তালিকা পাঠিয়েছিল। জবাবে একটি আইনি সংস্থা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিল, তাঁদের মক্কেল ‘অসৎ, অসত্য বা অনৈতিক’ বলে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সত্য নয়।
লোর কথিত ব্যক্তিগত বিনিয়োগ সংস্থা আর. ই. লি. অক্টাগনের অস্তিত্ব নেই। ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, হংকং বা সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত এমন কোনো সংস্থা নেই। জুলাই মাসের শেষ দিকে সংস্থাটির একটি একক ই-মেইল ঠিকানাসহ এক পৃষ্ঠার ওয়েবসাইট ছিল। কিন্তু সাইটটি এখন আর নেই।
গভীর জলের মাছ লোর একজন প্রতিনিধি দাবি করেছিলেন, তাঁর প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি শ্যাম্পেন সংগ্রহশালা রয়েছে। এ বিষয়ে লন্ডনের ক্রিস্টির ওয়াইন অ্যান্ড স্পিরিটসের আন্তর্জাতিক পরিচালক টিম ট্রিপট্রি বলেন, ‘আমি মনে করি না এটি ১০০ মিলিয়নের বেশি। এটি অসম্ভব বলে মনে করি। কারণ ১৮ বছরে এত মূল্যবান ওয়াইনের কোনো সংগ্রহ খুঁজে পাইনি।’
লো একটি পাগানি হুয়ারা বিসিসহ অন্যান্য বিরল সুপার কারের মালিক বলেও গর্ব করে বলেছিলেন। ফোর্বস তাঁর একটি পাগানি হুয়ারা টেম্পেস্টার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছবি খুঁজে পেয়েছে। হংকং-ভিত্তিক মিং পাও সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের কেউ একজন ছবিটি তুলেছিলেন। পত্রিকায় সেটি ছাপাও হয়েছিল।
কিন্তু ফোর্বস ঠিক একই ছবি খুঁজে পেয়েছে যেখানে লো নেই। ২০১৭ সালে সোথবির নিলামের জন্য ফটোগ্রাফার রবিন অ্যাডামস ছবিটি তুলেছিলেন। তিনি ফোর্বসকে বলেন, তাঁর সেই ছবিই এডিট করে লোর ছবি বসানো হয়েছে। তাঁর কোনো অনুমতি ছাড়াই ছবিটি তারা ব্যবহার করেছে। আর সেই গাড়িটি আসলে কোনো এক ব্যক্তি ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারে কিনেছেন।
পরে ফোর্বস চাপ দিলে পৃথিবীর ছয় শহরে (হংকং, সিঙ্গাপুর, টোকিও, লন্ডন, ভ্যাঙ্কুভার এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে) বাড়ি আছে—এমন দাবি থেকে সরে আসেন লো। এরপর প্রথমে পাঁচটি ও শেষ পর্যন্ত হংকংয়ে চারটি এবং সিঙ্গাপুরে একটি সম্পত্তির তথ্য দেন। কিন্তু রিয়েল এস্টেট রেকর্ড থেকে জানা যায়, এসব বাড়ির মধ্যে দুটি তাঁর বাবা–মার এবং বাকিগুলো অন্যদের।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর্বসের সঙ্গে একটি বৈঠকে লো বলেছিলেন, তিনি বোস্টনের সান লাইফ ফাইন্যান্সিয়াল এবং নিউইয়র্কের জেপি মরগানে কাজ করেছেন। তবে জেপি মরগান জানিয়েছে, তিনি ২০০১-২০০২ সালে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং বিভাগে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করেছিলেন। কিন্তু লোর ফার্মের মাধ্যমে বিমা পলিসি বিক্রি করার কথা বলা হলেও সান লাইফ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে লোর কাজ করার কোনো রেকর্ড নেই।
ফোর্বস সব তদন্ত শেষে লোকে সেসব নথি পাঠিয়েছিল। তখন লো প্রতিনিধির মাধ্যমে জানান, এ নিয়ে তাঁর আর কোনো আগ্রহ নেই। ফোর্বসে প্রকাশিত বিলিয়নিয়ার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন। পাশাপাশি এ নিয়ে ফোর্বসে আর কোনো লেখা প্রকাশ হোক সেটিও চান না বলে উল্লেখ করেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের এক সোনালি সকাল। ক্যালভিন লো নামের এক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসের এক সম্পাদককে হংকংয়ে পারিবারিক জীবনবিমা ব্রোকারেজ ফার্মে ডেকে পাঠান। আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই ফার্মে যাওয়ার পর ফোর্বস সম্পাদকের চোখ তো ছানাবড়া! অফিসের সাজসজ্জা দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। অবশ্য সেই বিস্ময় কেটে যায় ফোর্বসের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর।
থ্রিপিস স্যুট, টাই এবং এর সঙ্গে মিলিয়ে পকেট স্কয়ার পরা ক্যালভিন লো অফিসের কনফারেন্স রুমে ফোর্বস সম্পাদককে নিয়ে বসেছিলেন। অফিসটি কাঠ দিয়ে মোড়ানো, চামড়ার মলাটযুক্ত বই এবং ফুলদানি দিয়ে সজ্জিত।
ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না, তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
বয়স্ক বিলিয়নিয়ার গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের ধনকুবেররা তাঁদের বিপরীত—এই প্রবণতা তাঁকে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় স্থান পেতে আগ্রহী করেছে বলেও জানান লো।
পরবর্তী সময়ে ফোর্বসের নথি যাচাইয়ে উঠে আসে, বাস্তবে লোর কৌতূহলী এবং দ্বিধান্বিত ভাব দেখানো ছিল একটা ফাঁদ। আসলে তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করছিলেন ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় স্থান পেতে। অবশ্য লো একা নন, তাঁর মতো ২০২০ সাল থেকে কমপক্ষে সাত ব্যক্তি ২০টিরও বেশি অনুষ্ঠানে ফোর্বসের ১১ জন সাংবাদিকের কাছে ধরনা দিয়েছেন।
ফোর্বস সম্পাদককে জানানো হয়, লো একজন আড়ালে থাকা বিলিয়নিয়ার, জনহিতৈষী ও বিনিয়োগকারী। ওই সাক্ষাতের পর ফোর্বসের কাছে এক ডজনেরও বেশি নথি পাঠানো হয়। কিছু নথি ব্যক্তিগত ও গোপনীয় সিলযুক্ত।
প্রাথমিকভাবে ফোর্বস বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। কারণ, প্রতিবছরই অসংখ্য লোক ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় ওঠার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
হংকংয়ে ফোর্বসের ছয়জন সম্পাদকের ব্যুরো। সেখানে আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল অবস্থিত হলেও প্রতিষ্ঠানটির নাম তাঁরা কখনো শোনেননি। আর বিমা পলিসি বিক্রি করে বিলিয়ন ডলার আয় করা অবিশ্বাস্যই মনে হয়েছিল সম্পাদকদের কাছে।
তবে ক্যালভিন লো ক্ষান্ত হননি। ঘুষ দিয়ে ফোর্বসের মধ্যপ্রাচ্য শাখা থেকে একটি ফিচার ছাপিয়েছিলেন। যেখানে তাঁকে বিলিয়নিয়ার বলা হয়। পরে অবশ্য ফোর্বসের মূল শাখা বিষয়টি জানতে পেরে নিবন্ধটি সরিয়ে দেয়।
‘ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকায়’ ওঠার এই ভুয়া খবর বিশ্বের নামকরা সব সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন লো। তারা ফোর্বসকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশ করে। বিবিসি, সিএনবিসি, ডেইলি এক্সপ্রেস, ডেইলি মিরর, দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, নিক্কেই এশিয়া, রয়টার্স এবং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মতো সংবাদমাধ্যমও এ তালিকায় রয়েছে। সব খবরেই ক্যালভিন লোকে বিলিয়নিয়ার বলে উল্লেখ করা হয়।
হংকংয়ে লোর সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর কমপক্ষে এক বছর তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই করেছে ফোর্বস। এ সময় ছয় দেশের ৪০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। লোর দেওয়া শত শত পৃষ্ঠার নথিতে দাবি করা হয়, আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনাল পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ইনস্যুরেন্স ব্রোকার, যার প্রিমিয়াম মূল্য ১ বিলিয়ন ডলার। আর প্রতিষ্ঠাতা লোর সম্পদের মূল্য ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার।
হার্ভার্ডে পড়ুয়া দাবি করা এই বিনিয়োগকারী ২০১৮ সালে ব্যক্তিগত গাড়ি, আর. ই. লি. অক্টাগন এবং তাইওয়ানের পাঁচ তারকা ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেল কিনতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া ২৫০ মিলিয়ন ডলারের দাতব্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সারা বিশ্বে দেড় ডজন বাড়ির মালিক বলেও দাবি করা হয় নথিতে।
শুধু তাই নয়, তিনি এশিয়ার বৃহত্তম বিনিয়োগকারী, দামি অ্যালকোহল শ্যাম্পেন সংগ্রাহক, এশিয়ায় প্রথম গালফস্ট্রিম জি৬৫০ প্রাইভেট জেটের মালিক এবং কিংবদন্তি উইলিয়ামস ফর্মুলা-১ রেসিং দলের বিনিয়োগকারী—এমনটি দাবি করা হয়।
তবে ফোর্বসের তদন্তে এসব দাবির বেশির ভাগেরই সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আর বাকিগুলো সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ।
এফ-১ রেসিং দলে লোর কোনো অংশীদারত্ব নেই। তিনি ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল তাইপেই হোটেলের মালিক নন। তাঁর সরবরাহ করা ঠিকানায় বাড়িগুলো হয় তাঁর বাবা-মায়ের বা অন্য লোকের। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ক্যালভিন লো নামে কারও স্নাতক হওয়ার রেকর্ড নেই। তাঁর দাতব্য ফাউন্ডেশন বা আর. ই. লি. অক্টাগনের অস্তিত্বও পাওয়া যায়নি।
এদিকে আর. ই. লি. ক্যাপিটাল ফোর্বসকে জানিয়েছে, লো প্রকৃতপক্ষে এই ফার্মের একজন নন-এক্সিকিউটিভ ইক্যুইটি বিনিয়োগকারীর ছেলে। তাঁর মা রেজিনা লি এটির চেয়ারম্যান হলেও ক্যালভিন লোকে কোম্পানির সহযোগী বলে মনে করা উচিত নয়। এ ছাড়া আর. ই. লি. ক্যাপিটালের সম্পদ ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নয় বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে লোর প্রতিষ্ঠিত আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনালের সাবেক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছর প্রতিষ্ঠানটির অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) ৮০০ মিলিয়নের বেশি ছিল না। ফোর্বসের অনুমান কোম্পানিটির মূল্য সর্বসাকল্যে ৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো। আর এই অর্থের মালিক প্রকৃতপক্ষে কে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা, লোর মা ২০১৫ সালে কোম্পানিটি কিনেছিলেন।
তবে লোর বাবা ফ্রান্সিস লো এবং মা রেজিনা লির দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে হংকংয়ের অভিজাত এলাকায়। এ ছাড়া হংকংয়ের বাণিজ্যিক এলাকায় ও ভ্যানকুভারে আর. ই. লি. ইন্টারন্যাশনালের মোট ৪ হাজার ৪৫ বর্গফুটের অফিস রয়েছে।
লোর পরিবার ধনিক শ্রেণির—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, তবে বিলিয়নিয়ার নয়। ফোর্বসের ধারণা, লো ও তাঁর বাবা-মায়ের মোট সম্পদ ২০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
ফোর্বস লো এবং তাঁর মায়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে একটি দীর্ঘ প্রশ্নের তালিকা পাঠিয়েছিল। জবাবে একটি আইনি সংস্থা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিল, তাঁদের মক্কেল ‘অসৎ, অসত্য বা অনৈতিক’ বলে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সত্য নয়।
লোর কথিত ব্যক্তিগত বিনিয়োগ সংস্থা আর. ই. লি. অক্টাগনের অস্তিত্ব নেই। ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, হংকং বা সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত এমন কোনো সংস্থা নেই। জুলাই মাসের শেষ দিকে সংস্থাটির একটি একক ই-মেইল ঠিকানাসহ এক পৃষ্ঠার ওয়েবসাইট ছিল। কিন্তু সাইটটি এখন আর নেই।
গভীর জলের মাছ লোর একজন প্রতিনিধি দাবি করেছিলেন, তাঁর প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি শ্যাম্পেন সংগ্রহশালা রয়েছে। এ বিষয়ে লন্ডনের ক্রিস্টির ওয়াইন অ্যান্ড স্পিরিটসের আন্তর্জাতিক পরিচালক টিম ট্রিপট্রি বলেন, ‘আমি মনে করি না এটি ১০০ মিলিয়নের বেশি। এটি অসম্ভব বলে মনে করি। কারণ ১৮ বছরে এত মূল্যবান ওয়াইনের কোনো সংগ্রহ খুঁজে পাইনি।’
লো একটি পাগানি হুয়ারা বিসিসহ অন্যান্য বিরল সুপার কারের মালিক বলেও গর্ব করে বলেছিলেন। ফোর্বস তাঁর একটি পাগানি হুয়ারা টেম্পেস্টার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছবি খুঁজে পেয়েছে। হংকং-ভিত্তিক মিং পাও সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের কেউ একজন ছবিটি তুলেছিলেন। পত্রিকায় সেটি ছাপাও হয়েছিল।
কিন্তু ফোর্বস ঠিক একই ছবি খুঁজে পেয়েছে যেখানে লো নেই। ২০১৭ সালে সোথবির নিলামের জন্য ফটোগ্রাফার রবিন অ্যাডামস ছবিটি তুলেছিলেন। তিনি ফোর্বসকে বলেন, তাঁর সেই ছবিই এডিট করে লোর ছবি বসানো হয়েছে। তাঁর কোনো অনুমতি ছাড়াই ছবিটি তারা ব্যবহার করেছে। আর সেই গাড়িটি আসলে কোনো এক ব্যক্তি ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারে কিনেছেন।
পরে ফোর্বস চাপ দিলে পৃথিবীর ছয় শহরে (হংকং, সিঙ্গাপুর, টোকিও, লন্ডন, ভ্যাঙ্কুভার এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে) বাড়ি আছে—এমন দাবি থেকে সরে আসেন লো। এরপর প্রথমে পাঁচটি ও শেষ পর্যন্ত হংকংয়ে চারটি এবং সিঙ্গাপুরে একটি সম্পত্তির তথ্য দেন। কিন্তু রিয়েল এস্টেট রেকর্ড থেকে জানা যায়, এসব বাড়ির মধ্যে দুটি তাঁর বাবা–মার এবং বাকিগুলো অন্যদের।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর্বসের সঙ্গে একটি বৈঠকে লো বলেছিলেন, তিনি বোস্টনের সান লাইফ ফাইন্যান্সিয়াল এবং নিউইয়র্কের জেপি মরগানে কাজ করেছেন। তবে জেপি মরগান জানিয়েছে, তিনি ২০০১-২০০২ সালে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং বিভাগে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করেছিলেন। কিন্তু লোর ফার্মের মাধ্যমে বিমা পলিসি বিক্রি করার কথা বলা হলেও সান লাইফ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে লোর কাজ করার কোনো রেকর্ড নেই।
ফোর্বস সব তদন্ত শেষে লোকে সেসব নথি পাঠিয়েছিল। তখন লো প্রতিনিধির মাধ্যমে জানান, এ নিয়ে তাঁর আর কোনো আগ্রহ নেই। ফোর্বসে প্রকাশিত বিলিয়নিয়ার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন। পাশাপাশি এ নিয়ে ফোর্বসে আর কোনো লেখা প্রকাশ হোক সেটিও চান না বলে উল্লেখ করেন।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৮ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
০৮ আগস্ট ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৮ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
০৮ আগস্ট ২০২৩
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
০৮ আগস্ট ২০২৩
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৮ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ক্যালভিন লো মূলত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পাদককে ডেকেছিলেন। প্রথমে এশিয়ার অন্য বিলিয়নিয়ারদের র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হয় তা জানতে ‘কৌতূহলী’ বলে জানান। ফোর্বসকে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন কি না তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ আছেন—এমন ভান করেন।
০৮ আগস্ট ২০২৩
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৮ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫