রডের বদলে সুপারিগাছ, নির্মাণের কয়েক মাসেই ভেঙে পড়ল সাঁকো

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০: ৫৬
Thumbnail image

নির্মাণের কয়েক মাস পরেই ভেঙে পড়েছে পিরোজপুরের কাউখালীর একটি আয়রন ব্রিজ। ব্রিজের স্ল্যাবগুলো মাঝখান থেকে ভেঙে গেছে। ভাঙার পরেই জানা গেল, কংক্রিটের স্ল্যাবে লোহার রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে সুপারিগাছ! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই দৃশ্য। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিরোজপুরের কাউখালীর দুটি ব্রিজসহ বেশ কিছু স্থাপনা মেরামতের জন্য সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) ২০২১-২২ অর্থবছরে কাউখালী উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ছয়টি কাজের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করে, যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে সদর ইউনিয়নের কাঠালিয়া খালের গোড়ায় নুরুল ইসলাম শরীফের বাড়ির সামনে একটি আয়রন ব্রিজের সংস্কারকাজ করে পিরোজপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ। 

মাত্র কয়েক মাস আগে আয়রন ব্রিজ পুনর্নিমাণ করা হয়কয়েক মাস আগে কাজ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিজের ওপরের স্ল্যাবগুলোর কিছু ভেঙে যায়। এতেই বেরিয়ে আসে সুপারির গাছ। রডের বদলে স্ল্যাব নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে এই সুপারিগাছ। 

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এর কয়েকটি স্ল্যাব ভেঙে পড়ে। সেই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। 

এলাকাবাসী বলেন, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই আয়রন ব্রিজের স্ল্যাবগুলো মাঝখান দিয়ে ভেঙে গেছে। ভাঙা স্ল্যাবের ভেতরে রডের পরিবর্তে সুপারিগাছ পাওয়া গেছে। এই ব্রিজ দিয়ে কয়েক শ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। এমন কাজের জন্য ঠিকাদাির প্রতিষ্ঠানের শাস্তি হওয়া দরকার। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউখালীর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ মিঞা জানান, জানার পর কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এর সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে। পরে এক সভায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

মাত্র কয়েক মাস আগে আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করা হয়কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বজল মোল্লা বলেন, ‘এটি একটি অব্যবস্থাপনা।’ এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ইউএনও বলেন, যাঁরা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন, তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। 

 ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে এই আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করা হয়। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁদের সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত