ব্যবসায়ীদের কোটি টাকা নিয়ে মদিনা গ্রুপের মাঠ কর্মকর্তা উধাও

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭: ৫৬
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮: ০৮

বরিশালের মুলাদীতে মদিনা গ্রুপের এক মাঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৯ ব্যবসায়ীর ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার মাঠ কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলামের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

আরিফুল ইসলাম খুলনা জেলার খান জাহান আলী থানার গিলাতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মদিনা গ্রুপের মুলাদী-হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা (ফিল্ড অফিসার) হিসেবে কাজ করেন।

মদিনা গ্রুপের পানির ট্যাংক, স্যানিটারি ও নলকূপের মালামাল পৌঁছে দেওয়ার চুক্তিতে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন আরিফুল ইসলাম। মালামাল না দিয়ে সেই টাকা নিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় আজ মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ী বাবুল শেখ ওরফে সুজন শেখ বাদী হয়ে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।

মামলার সূত্রে এবং ব্যবসায়ীরা জানান, আরিফুল ইসলাম প্রায় চার বছর ধরে মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় মদিনা গ্রুপের কাজ করছেন। তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে দোকানে স্যানিটারি ও নলকূপের মালামাল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিতেন। গত আগস্ট মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৯ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোট ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা নিলেও কোনো মালামাল দেননি আরিফুল।

অভিযোগকারী ব্যবসায়ীরা হলেন বাবুল শেখ, হেমায়েত উদ্দীন, কাওসার মল্লিক, রুবেল হোসেন, মাসুম হোসেন, নেছার ঢালী, রায়হান কবির, মিজানুর রহমান এবং হেমায়েত হাওলাদার। ব্যবসায়ীদের টাকার নিরাপত্তার বিষয়টি আশ্বস্ত করতে আরিফুল ইসলাম ৩০০ টাকা স্টাম্পে চুক্তি এবং ব্যাংকের চেক দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ব্যবসায়ী বাবুল শেখ জানান, মাঠ কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম গত ৩ আগস্ট থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর থেকে মোট ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন। মদিনা গ্রুপের পানির ট্যাংক, স্যানিটারি ও নলকূপের মালামাল দেওয়ার চুক্তিতে এই টাকাগুলো তাঁকে দেন তিনি। টাকার নিরাপত্তার জন্য আরিফুল মুলাদী ইসলামী ব্যাংকের চেক এবং স্টাম্পে লিখিত দিয়েছেন। কিন্তু মালামাল না দিয়ে তিনি পালিয়েছেন। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় মুলাদী থানায় মামলা করা হয়েছে।

মদিনা গ্রুপের বরিশাল বিভাগীয় সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. মাহফুজুর রহমান মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে জানান, মাঠ কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ছুটি না নিয়েই কাজ ছেড়ে গেছেন। মুলাদী ও হিজলা বন্দরের ব্যবসায়ীরা তাঁর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীদের টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার এবং টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত