জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
নিখোঁজ হওয়ার আগে নিজের হাতে মেয়ে আয়াতের চুলে ক্লিপ লাগিয়ে দিয়েছেন বাবা সোহেল রানা। ওই ক্লিপটা এখনো আছে। কোনো দাগও লাগেনি তাতে। চুলের সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়ার কারণে ক্লিপটাকে সুন্দর দেখাচ্ছিল। সেই মানুষটিই আজ আর নেই। কোনো বাবার পক্ষেই তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তেমনি মেনে নিতে পারেননি আয়াতের বাবা সোহেল রানাও। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তিনি পাগলপ্রায়। একের পর এক মেয়ের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করার খবরে আঁতকে উঠছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে অপহরণের পর খুন হওয়া শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের মাথার অংশটি উদ্ধারের খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান সোহেল রানা। মাথার অংশটি দেখেই নিশ্চিত হন যে, এটি আয়াতেরই। কারণ যেদিন আয়াত নিখোঁজ হন ওই দিন নিজ হাতে চুলের সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছিলেন একটি ক্লিপ। যেটি এখনো চুলের সঙ্গেই লেগে আছে।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সোহেল রানা বলেন, ‘দেখেন দেখেন-আমার মেয়েটা কত সুন্দর। ওই যে চুল। চুলের সঙ্গে লাগানো ক্লিপটা। চেহারা এখনো কত সুন্দর। বাবা যে ক্লিপ লাগাই দিছে, ওই ক্লিপটাতো কিছু হয় নাই। ওই ক্লিপটাতো আছে। হয়তো আয়াত বলছে, বাবা আমি ঘুমিয়েছি। আমাকে নিয়ে যাও না।’
সোহেল রানা আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে হত্যার এত কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারপরও যদি ফাঁসি না হয় তাহলে আর কিছুই বলার নেই। আমার একটাই দাবি যে,৩০ দিনের মধ্যে ওই খুনির ফাঁসি চাই। আর কিছু চাই না আমি।’
অভিযুক্ত খুনি আবির সোহেল রানার ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাই আয়াত তাকে চিনত। যখন থেকে মেয়ের বুদ্ধি হয়েছে, তখন থেকেই আবিরকে চাচ্চু চাচ্চু বলে ডাকত। ওতো পরিচিত মুখ। ডেকেছে বলে ওর কাছে গিয়েছিল। তাই বলে আমার মেয়েকে এভাবে মেরে ফেলবে। কোন স্বার্থে মারছে তার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না বাবা সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘কোন স্বার্থে মারছে। মানুষতো মুক্তিপণের জন্য মারে। আমার মেয়েরতো কোনো স্বার্থ ছিল না। আমার নিষ্পাপ মেয়ে ছিল। তার-তো কোনো দোষই ছিল না যে, মারতে হবে। টুকর টুকর করে সাগরে ভাসিয়ে দিছে।’
আয়াতের দাদি বলেন, ‘আমার নাতিনকে আমার বুকে দাও। আমার বুকটা ঠান্ডা করো রে। আল্লাহ আমার নাতিনতো কোনো অপরাধ করেনি।’
জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে নালা সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই পায়ের বিচ্ছিন্ন অংশ পাওয়া যায় বলে দাবি করে পিবিআই। এ নিয়ে শরীরের তিনটি খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করা হলো।
এ বিষয়ে পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাথার যে অংশটি পাওয়া গেছে, সেটি মনে হচ্ছে শিশু আয়াতেরই। চেহারার অংশটিও আছে, তবে বিকৃত। ডিএনএ পরীক্ষার পর অধিকতর নিশ্চিত হওয়া যাবে। স্লুইসগেটে আটকে থাকা পানির মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে মাথাটি পাওয়া গেছে।’
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে একই এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন দুই পায়ের অংশ পাওয়া যায়। সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্লুইসগেটের চারটি প্রকোষ্ঠের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর একটি প্রকোষ্ঠে আটকে যাওয়া পলিথিনে পা দুটি পাওয়া যায়। পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে খুনি হিসেবে দাবি করা আবিরের বর্ণনামতো পলিথিনের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল খণ্ডিত অংশগুলো।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার মেয়ে চার বছর ১১ মাস বয়সী আলীনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হয়। ১০ দিন পর ২৪ নভেম্বর পিবিআই আবির আলীকে গ্রেপ্তারের পর জানায়, আয়াতকে শ্বাসরোধে খুন করে লাশ কেটে ছয় টুকরো করে। এরপর সেগুলো সাগরে ভাসিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন:
নিখোঁজ হওয়ার আগে নিজের হাতে মেয়ে আয়াতের চুলে ক্লিপ লাগিয়ে দিয়েছেন বাবা সোহেল রানা। ওই ক্লিপটা এখনো আছে। কোনো দাগও লাগেনি তাতে। চুলের সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়ার কারণে ক্লিপটাকে সুন্দর দেখাচ্ছিল। সেই মানুষটিই আজ আর নেই। কোনো বাবার পক্ষেই তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তেমনি মেনে নিতে পারেননি আয়াতের বাবা সোহেল রানাও। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তিনি পাগলপ্রায়। একের পর এক মেয়ের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করার খবরে আঁতকে উঠছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে অপহরণের পর খুন হওয়া শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের মাথার অংশটি উদ্ধারের খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান সোহেল রানা। মাথার অংশটি দেখেই নিশ্চিত হন যে, এটি আয়াতেরই। কারণ যেদিন আয়াত নিখোঁজ হন ওই দিন নিজ হাতে চুলের সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছিলেন একটি ক্লিপ। যেটি এখনো চুলের সঙ্গেই লেগে আছে।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সোহেল রানা বলেন, ‘দেখেন দেখেন-আমার মেয়েটা কত সুন্দর। ওই যে চুল। চুলের সঙ্গে লাগানো ক্লিপটা। চেহারা এখনো কত সুন্দর। বাবা যে ক্লিপ লাগাই দিছে, ওই ক্লিপটাতো কিছু হয় নাই। ওই ক্লিপটাতো আছে। হয়তো আয়াত বলছে, বাবা আমি ঘুমিয়েছি। আমাকে নিয়ে যাও না।’
সোহেল রানা আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে হত্যার এত কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারপরও যদি ফাঁসি না হয় তাহলে আর কিছুই বলার নেই। আমার একটাই দাবি যে,৩০ দিনের মধ্যে ওই খুনির ফাঁসি চাই। আর কিছু চাই না আমি।’
অভিযুক্ত খুনি আবির সোহেল রানার ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাই আয়াত তাকে চিনত। যখন থেকে মেয়ের বুদ্ধি হয়েছে, তখন থেকেই আবিরকে চাচ্চু চাচ্চু বলে ডাকত। ওতো পরিচিত মুখ। ডেকেছে বলে ওর কাছে গিয়েছিল। তাই বলে আমার মেয়েকে এভাবে মেরে ফেলবে। কোন স্বার্থে মারছে তার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না বাবা সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘কোন স্বার্থে মারছে। মানুষতো মুক্তিপণের জন্য মারে। আমার মেয়েরতো কোনো স্বার্থ ছিল না। আমার নিষ্পাপ মেয়ে ছিল। তার-তো কোনো দোষই ছিল না যে, মারতে হবে। টুকর টুকর করে সাগরে ভাসিয়ে দিছে।’
আয়াতের দাদি বলেন, ‘আমার নাতিনকে আমার বুকে দাও। আমার বুকটা ঠান্ডা করো রে। আল্লাহ আমার নাতিনতো কোনো অপরাধ করেনি।’
জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে নালা সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই পায়ের বিচ্ছিন্ন অংশ পাওয়া যায় বলে দাবি করে পিবিআই। এ নিয়ে শরীরের তিনটি খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করা হলো।
এ বিষয়ে পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাথার যে অংশটি পাওয়া গেছে, সেটি মনে হচ্ছে শিশু আয়াতেরই। চেহারার অংশটিও আছে, তবে বিকৃত। ডিএনএ পরীক্ষার পর অধিকতর নিশ্চিত হওয়া যাবে। স্লুইসগেটে আটকে থাকা পানির মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে মাথাটি পাওয়া গেছে।’
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে একই এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন দুই পায়ের অংশ পাওয়া যায়। সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্লুইসগেটের চারটি প্রকোষ্ঠের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর একটি প্রকোষ্ঠে আটকে যাওয়া পলিথিনে পা দুটি পাওয়া যায়। পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে খুনি হিসেবে দাবি করা আবিরের বর্ণনামতো পলিথিনের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল খণ্ডিত অংশগুলো।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার মেয়ে চার বছর ১১ মাস বয়সী আলীনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হয়। ১০ দিন পর ২৪ নভেম্বর পিবিআই আবির আলীকে গ্রেপ্তারের পর জানায়, আয়াতকে শ্বাসরোধে খুন করে লাশ কেটে ছয় টুকরো করে। এরপর সেগুলো সাগরে ভাসিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে