লক্ষ্মীপুর-৪: স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৫ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুর 
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১: ১৩
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের সমর্থকদের ওপর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারেফ হোসেনের সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতের এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্যাহ হিরনসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাঁচ সমর্থককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রধান সমন্বয়ক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। 

স্বতন্ত্র সমর্থক কমলনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্যাহ হিরন বলেন, সোমবার রাতে কমলনগরের সাহেবেরহাট এলাকায় চা-দোকানে বসে ঈগলের সমর্থক সুমন হোসেনসহ অন্যরা ঈগল মার্কা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছিলেন। এ সময় নৌকার পক্ষের সমর্থক জেলা পরিষদের সদস্য গিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ অন্যরা দোকানে গিয়ে সুমনকে মারধর করেন। এরপর তিনিসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে সেখান থেকে আসার পথে ১১টার দিকে নোয়া হাটখোলা এলাকায় পৌঁছালে নৌকার সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। 

আহসান উল্যাহ হিরন জানান, এর জের ধরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নোয়া হাটখোলা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে নৌকার সমর্থকদের হামলায় তিনিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাঁচ সমর্থক আহত হন। আহত বাকিরা হলেন যুবলীগের কর্মী মাকসুদুর রহমান, বাবু, সুমন হোসেন ও মাহফুজুর রহমান। এ সময় তাঁদের সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবু তাহির বলেন, রাতে আহসান উল্যাহ হিরন, মাকসুদুর রহমান, সুমন হোসেন, বাবু ও মাহফুজুর রহমান নামে আহত পাঁচজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বাবুর মাথায় আঘাত রয়েছে। 

ঈগল পাখির প্রার্থী সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নৌকার মিছিলে না যাওয়ায় জেলা পরিষদের সদস্য গিয়াস উদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে তাঁর বেশ কয়েকজন সমর্থককে আহত করে। এ ছাড়া সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। 

তবে এই আসনে নৌকার প্রধান সমন্বয়ক ও রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, সাহেবেরহাট এলাকায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে ঈগলের সমর্থকেরা তাঁর এক কর্মীকে মারধর করেন। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নৌকার কয়েকজন সমর্থক আহত হন। হামলার বিষয়টি সঠিক নয়। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত