নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
মেয়ের সঙ্গে কথা বলায় ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে শিবির। এমন খবরে রীতিমতো আলোচনায় চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ। কিন্তু মারধরের শিকার ছাত্রদল কর্মী আশরাফ হোসেন লিখিত অভিযোগে ‘মেয়ের সঙ্গে কথা বলায় মারধরের’ বিষয়টি উল্লেখ করেননি। এমনকি ওই কলেজের ছাত্রদলের নেতারাও বলছেন, মেয়ে–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারধরের খবরটি সঠিক নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রথমে ও পরে বেলা ৩টার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলার শিকার হওয়ার কথা জানায় কলেজ শাখা ছাত্রদল। এ সময় পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে দাবি ছাত্রদলের। আহতরা হলেন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র আশরাফ হোসাইন, সাইফুল করিম আরিয়ান, শরীফুল ইসলাম আবীর, নাঈম ভূঁইয়া ও শোয়াইবুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে আশরাফ ছাড়া বাকি সবাই চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মারধরের শিকার হওয়া আশরাফ হোসেন চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ক্লাস করতে সহপাঠী নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে গেলে অতর্কিত হামলা করা হয়। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে না আসার জন্য হুমকি দেয়। ক্লাস করতে এলে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম আবির বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা আছে, কলেজে রাজনীতি বা ওই রকম মিছিল–মিটিং না করতে। তবে, ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেছে। ছোট ভাই আশরাফ ক্লাস করতে গেলে, তাকে শিবির হামলা করে। মেয়ের সঙ্গে কথা বলায় শিবির হামলা করেছে, এ রকম কোথাও আমরা বলিনি। অভিযোগও করিনি।’
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ওরা (ছাত্রদল) যে লিখিত আকারে অভিযোগ দিয়েছে, সেখানে মেয়ে–সংক্রান্ত কোনো বিষয় উল্লেখ করেনি। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বলেছে, মেয়ে–সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। দোষী যে–ই হোক, শাস্তি পাবে।’
নগর পুলিশের চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। ছাত্রদলের দাবি, শিবির তাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
এদিকে এই ঘটনায় শিবিরকে দায়ী করা হলেও তারা বলছে, সেখানে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। ঘটনার সঙ্গে শিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শিবির মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামের বাইরে অবস্থান করছি। কিন্তু কয়েকটি সংবাদমাধ্যম আমার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। আমি লাইভে গিয়েও প্রমাণ দিয়েছি যে আমি ঢাকায় রয়েছি।’
ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। সেখানে কোনো ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। গতকাল চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘটিত কোনো ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবির জড়িত ছিল না। সংঘাতমূলক ঘটনার পর প্রতিবারই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম জড়ানোর একটি প্রক্রিয়া চলছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
মেয়ের সঙ্গে কথা বলায় ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে শিবির। এমন খবরে রীতিমতো আলোচনায় চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ। কিন্তু মারধরের শিকার ছাত্রদল কর্মী আশরাফ হোসেন লিখিত অভিযোগে ‘মেয়ের সঙ্গে কথা বলায় মারধরের’ বিষয়টি উল্লেখ করেননি। এমনকি ওই কলেজের ছাত্রদলের নেতারাও বলছেন, মেয়ে–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারধরের খবরটি সঠিক নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রথমে ও পরে বেলা ৩টার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলার শিকার হওয়ার কথা জানায় কলেজ শাখা ছাত্রদল। এ সময় পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে দাবি ছাত্রদলের। আহতরা হলেন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র আশরাফ হোসাইন, সাইফুল করিম আরিয়ান, শরীফুল ইসলাম আবীর, নাঈম ভূঁইয়া ও শোয়াইবুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে আশরাফ ছাড়া বাকি সবাই চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মারধরের শিকার হওয়া আশরাফ হোসেন চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ক্লাস করতে সহপাঠী নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে গেলে অতর্কিত হামলা করা হয়। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে না আসার জন্য হুমকি দেয়। ক্লাস করতে এলে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম আবির বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা আছে, কলেজে রাজনীতি বা ওই রকম মিছিল–মিটিং না করতে। তবে, ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেছে। ছোট ভাই আশরাফ ক্লাস করতে গেলে, তাকে শিবির হামলা করে। মেয়ের সঙ্গে কথা বলায় শিবির হামলা করেছে, এ রকম কোথাও আমরা বলিনি। অভিযোগও করিনি।’
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ওরা (ছাত্রদল) যে লিখিত আকারে অভিযোগ দিয়েছে, সেখানে মেয়ে–সংক্রান্ত কোনো বিষয় উল্লেখ করেনি। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বলেছে, মেয়ে–সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। দোষী যে–ই হোক, শাস্তি পাবে।’
নগর পুলিশের চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। ছাত্রদলের দাবি, শিবির তাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
এদিকে এই ঘটনায় শিবিরকে দায়ী করা হলেও তারা বলছে, সেখানে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। ঘটনার সঙ্গে শিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শিবির মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামের বাইরে অবস্থান করছি। কিন্তু কয়েকটি সংবাদমাধ্যম আমার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। আমি লাইভে গিয়েও প্রমাণ দিয়েছি যে আমি ঢাকায় রয়েছি।’
ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। সেখানে কোনো ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। গতকাল চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘটিত কোনো ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবির জড়িত ছিল না। সংঘাতমূলক ঘটনার পর প্রতিবারই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম জড়ানোর একটি প্রক্রিয়া চলছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৫ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৪ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫