সুমাইয়াকে গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করলেন সৎ মা

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩, ১৮: ৩২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমাইয়া আক্তারকে (১২) গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সুমাইয়ার সৎ মা শারমিন আক্তার (৩৫)। আজ শনিবার সকালে পুলিশি রিমান্ডে এ কথা স্বীকার করলেন শারমিন আক্তার।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি কসবা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যার কারণ উৎঘাটনে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে প্রথমে বিভিন্ন বাহানায় অস্বীকার করলেও পরে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন শাসন করতে গিয়ে প্রচণ্ড রাগের মাথায় অনেকক্ষণ ধরে সুমাইয়ার গলা চেপে ধরেছিলেন সৎ মা শারমিন আক্তার। এ সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় সুমাইয়া আক্তার।

কসবা থানার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, শারমিন আক্তারকে রিমান্ডে আনার পর হত্যার কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, শাসন করতে গিয়ে সুমাইয়ার গলা চেপে ধরেছিলো। এ সময় সুমাইয়া শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের জন্য সৎ মায়ের কাছে ফুল কেনার টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরী সুমাইয়াকে মারধর শুরু করে সৎমা শারমিন আক্তার। একপর্যায়ে রাগের মাথায় মেয়ের গলা চেপে ধরে রাখলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় সুমাইয়া। পরে বিছানায় শুয়াইয়া রাখে সুমাইয়াকে। 

পর দিন ২১ ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়ার জন্য বান্ধবীরা তাকে ডাকতে গেলে বিছানায় সুমাইয়াকে মৃত দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। 

পরে বাড়ির লোকজন এসে সুমাইয়ার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠালে হত্যার আলামত মিলে। ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সুমাইয়ার বড় ভাই আরমিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে সৎমায়ের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ সৎমাকে আটক করে পুলিশ। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত