মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা করে লাশ ফেলা হয় ডোবায়: পুলিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৪: ৩৭
Thumbnail image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মুক্তিপণ না পাওয়ায় শিশু ফাতেহা আক্তারকে (৭) শ্বাসরোধে হত্যার পর ডোবার পানিতে ফেলে অপহরণকারীরা। দুই তরুণকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে এ তথ্য জানান তাঁরা। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুঁটকিকান্দি গ্রামের একটি ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফাতেহা আক্তার ওই গ্রামের বাছেদ মিয়ার মেয়ে। 

এ ঘটনায় নিহত শিশুর ফুপাতো ভাই দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নাজিম (১৯) ও শুঁটকিকান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিকে (২১) আটক করেছে পুলিশ। 

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিশুটি গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাচ্ছিল না। এর মধ্যে শিশুটির পরিবারে মুঠোফোনে কল দিয়ে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তবে মুক্তিপণ দেয়নি শিশুটির পরিবার। পুলিশকে বিষয়টি জানালে তদন্ত শুরু করে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দুই তরুণকে আটক করে। তাঁদের দুজনের মুঠোফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবিসংক্রান্ত চ্যাটিং পাওয়া যায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শিশুটিকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডোবার পানিতে লুকিয়ে রাখার কথা জানায়। পরে রাতে তাদের দেখানো ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই তরুণকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিশুটির পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত