কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই শিশু হত্যার মামলায় চাচি ইয়াসমিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দাদি মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের রোজিনা খাঁন এ রায় দেন।
মৃত শিশু ইয়াছিন আরাফাত (৮) মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে ও মো. জসিম (৭) শাহ আলমের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২০) ও সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৫)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল দুপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে কুমিল্লার মুরাদনগরের লাজৈর এলাকায় ওই দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় শিশু আরাফাতের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন বাদী হয়েছে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমার ছোট ভাই বাবুল হোসেন প্রবাসে থাকত। এই সুযোগে তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে বাধা দিলে আমাদের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষোভের জেরে আমার ছেলে ও চাচাতো ভাই জসিমকে হত্যা করে ইয়াসমিন।’
বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন দুপুরে ওই দুই শিশু আমাদের বাড়ির একটি আমগাছের নিচে খেলছিল। এ সময় চকলেট দেওয়ার কথা বলে ইয়াসমিন দুজনকে ডেকে নিয়ে পাশের ভুট্টা খেতে যায়। পরে আমার ছেলে আরাফাতকে গলা কেটে ও জসিমকে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে কচুরিপানা দিয়ে লুকিয়ে রাখে। পুরো হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করে মাজেদা বেগম। তবে, এ ঘটনা দেখে ফেলে অপর এক শিশু। সে বাড়ি ফিরে বিষয়টি সবাইকে জানায়। পরে ওই শিশুটির দেখানো জায়গা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।’
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার সাক্ষীসহ সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এবং সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আদালত ইয়াসমিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই শিশু হত্যার মামলায় চাচি ইয়াসমিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দাদি মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের রোজিনা খাঁন এ রায় দেন।
মৃত শিশু ইয়াছিন আরাফাত (৮) মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে ও মো. জসিম (৭) শাহ আলমের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২০) ও সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৫)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল দুপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে কুমিল্লার মুরাদনগরের লাজৈর এলাকায় ওই দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় শিশু আরাফাতের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন বাদী হয়েছে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমার ছোট ভাই বাবুল হোসেন প্রবাসে থাকত। এই সুযোগে তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে বাধা দিলে আমাদের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষোভের জেরে আমার ছেলে ও চাচাতো ভাই জসিমকে হত্যা করে ইয়াসমিন।’
বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন দুপুরে ওই দুই শিশু আমাদের বাড়ির একটি আমগাছের নিচে খেলছিল। এ সময় চকলেট দেওয়ার কথা বলে ইয়াসমিন দুজনকে ডেকে নিয়ে পাশের ভুট্টা খেতে যায়। পরে আমার ছেলে আরাফাতকে গলা কেটে ও জসিমকে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে কচুরিপানা দিয়ে লুকিয়ে রাখে। পুরো হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করে মাজেদা বেগম। তবে, এ ঘটনা দেখে ফেলে অপর এক শিশু। সে বাড়ি ফিরে বিষয়টি সবাইকে জানায়। পরে ওই শিশুটির দেখানো জায়গা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।’
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার সাক্ষীসহ সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এবং সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আদালত ইয়াসমিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে