উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরখানের এক নারীকে (৩৮) হত্যার ঘটনায় হজরত আলী (৪৮) নামে একজন আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। অভিযোগ উঠেছে, দুজনের মধ্যে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ওই নারীকে হত্যা করেন হজরত আলী। এরপর ঘটনাস্থলে আসা এলাকাবাসীর মারধর থেকে বাঁচতে নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করেন তিনি। পরে ঘটনস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার এবং সন্দেহভাজন হিসেবে হজরত আলীকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলার পর আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয় হজরত আলীকে। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরখানের পূর্ব মাস্টারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে হজরত আলীকে সন্দেহভাজন হিসেবে করে পুলিশ। আটকের পর পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।
নিহত ওই নারীর বাড়ি শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলা। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি একই উপজেলার বেলুছনা গ্রামের মন্ডল বাড়ির সিকান্দার আলী মন্ডলের ছেলে হজরত আলী। হজরত আলী উত্তরখানের কাজীবাড়ি চৌধুরী ভিলায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত নারী স্বামীর সঙ্গে উত্তরখান এলাকায় থাকতেন। অন্যদিকে হজরত আলীও ওই একই এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন তাঁরা একই সঙ্গে ছিলেন। ওই দিন দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে হজরত আলী ওই নারীকে ঘরে থাকা শীল দিয়ে আঘাত করলে তিনি চিৎকার করেন। এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ওই নারীকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা হজরত আলীকে মারতে উদ্যত হলে তিনি পুলিশকে কল করেন।
এ নিয়ে বাসিন্দা ইসহাক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হজরত আলী একটি ঝুপড়ি ঘরে একাই থাকত। হঠাৎ করে রাতের বেলায় আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনতে পায়। পরে সেখানে লোকজন ঝড় হলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পারে। তখন সাধারণ জনগণ হজরত আলীকে ঘরের ভেতর আটকিয়ে রেখে বাইরে অবস্থান নেয়। ওই সময় কিছু উৎসুক জনতা তাকে গণধোলাই দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে জনগণের গণধোলাই থেকে বাঁচতে সে পুলিশকে ফোন করে।’
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত হজরতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।’
ওসি বলেন, ‘ওই মামলায় হজরতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার হজরতকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আদালত হজরতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘হজরত আলী কবিরাজ। নিহত নারী ও হজরতের আলাদা আলাদা সংসার রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর হজরত পুলিশকে জানিয়েছেন—ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন। আসলে বিয়ে করেননি। হজরত যে পুলিশকে মিথ্যা বলেছে তা বুঝতে পারায় পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তিনি সত্য কথা স্বীকার করে।’
ওসি বলেন, ‘হজরত ওই নারীকে গতকাল (মঙ্গলবার) বাসায় নিয়ে এসে সময় কাটায়। এরপর তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে পান ছেচুনি ও শীল দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওই নারীকে হত্যা করে হজরত।’
হত্যার কারণ জানতে চাইলে মজিদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ওই নারী হজরতকে বিয়ে করতে চাপ দেয়। কিন্তু হজরত রাজি হয়নি। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ওই নারীকে হত্যা করে হজরত।’
রাজধানীর উত্তরখানের এক নারীকে (৩৮) হত্যার ঘটনায় হজরত আলী (৪৮) নামে একজন আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। অভিযোগ উঠেছে, দুজনের মধ্যে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ওই নারীকে হত্যা করেন হজরত আলী। এরপর ঘটনাস্থলে আসা এলাকাবাসীর মারধর থেকে বাঁচতে নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করেন তিনি। পরে ঘটনস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার এবং সন্দেহভাজন হিসেবে হজরত আলীকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলার পর আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয় হজরত আলীকে। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরখানের পূর্ব মাস্টারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে হজরত আলীকে সন্দেহভাজন হিসেবে করে পুলিশ। আটকের পর পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।
নিহত ওই নারীর বাড়ি শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলা। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি একই উপজেলার বেলুছনা গ্রামের মন্ডল বাড়ির সিকান্দার আলী মন্ডলের ছেলে হজরত আলী। হজরত আলী উত্তরখানের কাজীবাড়ি চৌধুরী ভিলায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত নারী স্বামীর সঙ্গে উত্তরখান এলাকায় থাকতেন। অন্যদিকে হজরত আলীও ওই একই এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন তাঁরা একই সঙ্গে ছিলেন। ওই দিন দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে হজরত আলী ওই নারীকে ঘরে থাকা শীল দিয়ে আঘাত করলে তিনি চিৎকার করেন। এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ওই নারীকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা হজরত আলীকে মারতে উদ্যত হলে তিনি পুলিশকে কল করেন।
এ নিয়ে বাসিন্দা ইসহাক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হজরত আলী একটি ঝুপড়ি ঘরে একাই থাকত। হঠাৎ করে রাতের বেলায় আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনতে পায়। পরে সেখানে লোকজন ঝড় হলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পারে। তখন সাধারণ জনগণ হজরত আলীকে ঘরের ভেতর আটকিয়ে রেখে বাইরে অবস্থান নেয়। ওই সময় কিছু উৎসুক জনতা তাকে গণধোলাই দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে জনগণের গণধোলাই থেকে বাঁচতে সে পুলিশকে ফোন করে।’
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত হজরতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।’
ওসি বলেন, ‘ওই মামলায় হজরতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার হজরতকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আদালত হজরতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘হজরত আলী কবিরাজ। নিহত নারী ও হজরতের আলাদা আলাদা সংসার রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর হজরত পুলিশকে জানিয়েছেন—ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন। আসলে বিয়ে করেননি। হজরত যে পুলিশকে মিথ্যা বলেছে তা বুঝতে পারায় পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তিনি সত্য কথা স্বীকার করে।’
ওসি বলেন, ‘হজরত ওই নারীকে গতকাল (মঙ্গলবার) বাসায় নিয়ে এসে সময় কাটায়। এরপর তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে পান ছেচুনি ও শীল দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওই নারীকে হত্যা করে হজরত।’
হত্যার কারণ জানতে চাইলে মজিদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ওই নারী হজরতকে বিয়ে করতে চাপ দেয়। কিন্তু হজরত রাজি হয়নি। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ওই নারীকে হত্যা করে হজরত।’
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
০৯ মার্চ ২০২৫সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫